বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

সাকিবের দৃষ্টিতে চার দুর্ভাগা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর -০০০১, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৪ এএম
সাকিবের দৃষ্টিতে চার দুর্ভাগা

বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন, যাদের ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত, কিন্তু ফর্মহীনতা, পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়া বা মাঠের বাইরের কাণ্ডে তারা তাদের ক্যারিয়ারকে বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। আবুধাবি টিটেন লিগের দল বাংলা টাইগার্সেরফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এমন কয়েকজন সতীর্থের নাম জানতে চাওয়া হলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান চারজনের নাম বলেছেন।

তারা হলেন নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস ও মিঠুন। সাকিব আরও বলেন, ‘এ রকম আসলে অনেক... এটা নির্বাচকরা ভালো উত্তর দিতে পারবেন। আরও অনেক খেলোয়াড়ই আছে, যাদের ক্যারিয়ার অনেক ছোট ছিল, হয়তো আরও ভালো করতে পারত।’

জাতীয় দলে সবার সমান সুযোগ না পাওয়ার বিষয়েও কথা বলেছেন সাকিব। তার মতে, ‘আসলে খেলাটাই এমন। ওই যে আপনার ১৫ জন নির্বাচন করতে হবে, তারপর ১১ জন। সেখান থেকে যারা সুযোগ পায়, আসলে তাদের পারফর্ম করারও একটা দায়িত্ব আছে। কেউ বলতে পারে, কেউ কম সুযোগ পেয়েছে। যা ঘটে, সবাই আসলে এক রকম সুযোগ পায় না। এটা দেওয়াও আসলে সম্ভব নয়।’

এই সুযোগের ক্ষেত্রে নির্বাচকদের আস্থার বিষয়টি জড়িত বলে মনে করেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আপনার দল আপনি চালাচ্ছেন, সবাইকে আপনি একভাবে বিশ্বাসও করতে পারবেন না, একভাবে সুযোগও দিতে পারবেন না। কাউকে এক ম্যাচ পর মনে হবে, না একে দিয়ে হবে না। আবার কাউকে দেখে মনে হবে না ও পারবে। এ ব্যাপারটা আসলে থাকে। ভুল কিছু না। যেটা হচ্ছে, কেউ কম সুযোগ পাবে কেউ বেশি। যে কম পাচ্ছে, তার জন্য সেটাই যথেষ্ট সুযোগ, যে বেশি পাচ্ছে তার জন্য ওটাই যথেষ্ট। ওখান থেকেই একজন খেলোয়াড়ের দায়িত্ব নিজেকে সে কীভাবে মেলে ধরবে।’ উল্লেখ্য, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সাকিব আল হাসান ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলতে পারেননি। তবে দলের খারাপ অবস্থায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাকিবকে দলে ফেরানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

তাসকিনকে ঘিরে ভিন্ন পরিকল্পনা
টিম বাস থেকে ড্রেসিংরুম—এরপর মাঠে এসেই ফুটবল নিয়ে অনুশীলনে তাসকিন আহমেদ। সতীর্থদের অনেকে তখন মাঠের এক এক কোণে ব্যাটিং ও বোলিং করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাসকিনকে দেখা মিলেছিল অনেকটাই বিশ্রামে। কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যে, ডানহাতি এই পেসার খেলছেন না—সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। ম্যাচের আগে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবেই একাদশে জায়গা হয়নি তার। জানা গেছে, সামনে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একই ধরনের পরিকল্পনায় থাকবেন ৩০ বছর বয়সী এ পেসার। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে লম্বা সময় চোটের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন তাসকিন। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে সময় লেগেছিল তিন মাস। এরই মধ্যে নিজেকে প্রস্তুত করে যান তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে ফিরেই তার ঝলকও দেখিয়েছেন। শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চেপে রেখেছিলেন। দুই মেডেনে ৪৭ রান খরচ করে নেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই তার একাদশে সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেডিকেল বিভাগের চাওয়াতেই বিশ্রামে থাকতে হয়েছে তাসকিনকে। দীর্ঘদিন ধরে গোড়ালির চোটে ভুগছেন তাসকিন। গোড়ালির হাড় বৃদ্ধির সমস্যা নিয়ে বিদেশে চিকিৎসকও দেখান তিনি। তবে অস্ত্রোপচার এড়িয়ে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমেই চিকিৎসা পদ্ধতির পরামর্শ দেওয়া হয় তাসকিনকে। সেভাবেই এ সফরটা খেলতে হবে তার। টিম সূত্রে জানা যায়, শুধু ওয়ানডে সিরিজ নয়, প্রয়োজনে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইসিসির আন্তর্জাতিক মেডিকেল বিভাগের মানদণ্ড অনুযায়ী একজন পেসার সপ্তাহে ৩৬ ওভার বোলিং করতে পারেন। ফিটনেস অনুযায়ী, এর কিছুটা কমও হতে পারে। তবে চোট কাটিয়ে ফেরা ক্রিকেটারের জন্য সতর্কটা বেশিই। সেজন্যই এক সপ্তাহে তিন ওয়ানডে থাকায় তাসকিনকে বিশ্রামের মাধ্যমে খেলানোর কথা টিম ম্যানেজমেন্টকে বলেছিল বিসিবির মেডিকেল বিভাগ। সেভাবেই পদক্ষেপ নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচ নয়, অনুশীলনের ক্ষেত্রেও সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে নেট কিংবা অন্য কোথাও কোনো বোলিং করেননি ডানহাতি এ পেসার। কলম্বোতে প্রথম ম্যাচের পর থেকে শুধু জিম সেশনেই সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। তবে ক্যান্ডিতে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আবারও একাদশে দেখা মিলবে তাসকিনের—এমনটাই নিশ্চিত করে টিম ম্যানেজমেন্ট। বড়সড় কোনো ঘটনা না এলে ছন্দময় এই পেসারকে মাঠে দেখা যাবে আবারও। অবশ্য দলে ৫ পেসার থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে খুব বেশি বেগও পেতে হচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্টকে।
তাসকিনকে ঘিরে ভিন্ন পরিকল্পনা
পরের বছরের সেপ্টেম্বরে আসবে ভারত
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশের মাটিতে ভারতের আসন্ন সাদা বলের সফর ২০২৫ সালের আগস্ট থেকে পিছিয়ে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নেওয়া হবে। দুই দেশের মধ্যে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুই বোর্ডের মধ্যে আলোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচি এবং উভয় দলের ক্রিকেটীয় অঙ্গনের ব্যস্ততা বিবেচনায় নিয়েই সিরিজটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিসিবি আরও জানায়, ‘আমরা ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় দলকে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে আছি। এই বহুপ্রতীক্ষিত সিরিজের নতুন সূচি এবং খেলার সূচি শিগগির ঘোষণা করা হবে।’ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দুই দলের আগামী সিরিজগুলোর কথা মাথায় রেখে দুই বোর্ডের আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই সিরিজ আয়োজন করতে চায় তারা। তার আগে সিরিজের নতুন সূচি ঘোষণা করা হবে।’ এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেও বাংলাদেশ দল ভারত সফর করেছিল। তবে সে সফর চূড়ান্ত হয়েছিল অনেক আগেই এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেও তা সম্পন্ন হয়।
পরের বছরের সেপ্টেম্বরে আসবে ভারত
হকির দুই বিভাগেই জিতল বাংলাদেশ
অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকি প্রতিযোগিতায় ছেলেদের বিভাগে শ্রীলঙ্কাকে ১৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। নারী বিভাগের ম্যাচে উজবেকিস্তানকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে লাল-সবুজরা। এ জয় দিয়ে জাপানের কাছে বড় হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠল লাল-সবুজরা। চীনের দাঝুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বয়সভিত্তিক এ প্রতিযোগিতার দুই বিভাগের খেলা। ছেলেদের বিভাগে গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল উৎসবে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল করেছেন তিনি। ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন ইসমাইল হোসেনও। জোড়া গোল করেছেন দ্বীন ইসলাম ও সাজেদুল ইসলাম। বাকি দুটি গোল এসেছে বিশাল আহমেদ ও মোহাম্মদ মেহদির স্টিক থেকে। ‘বি’ গ্রুপে এ নিয়ে টানা দুই জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। হংকংকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল লাল-সবুজরা। সে ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন দ্বীন ইসলাম, আরেক গোল করেন অমিত হাসান। আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক চীনের মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। নারী বিভাগের ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টার ছিল গোলশূন্য। পরের তিন কোয়ার্টারে একটি করে গোল করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচে লাল-সবুজদের হয়ে প্রথম গোল করেছেন আইরিন রিয়া। বাকি দুই গোল করেছেন কনা আক্তার। জাপানের কাছে ১১-০ গোলের হার দিয়ে মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আগামীকাল গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হংকং। নারী বিভাগে বাংলাদেশ আছে ‘এ’ গ্রুপে।
হকির দুই বিভাগেই জিতল বাংলাদেশ
৫ ক্লাবকে উয়েফার অর্থদণ্ড
ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থার (উয়েফা) বেঁধে দেওয়া আর্থিক সীমা লঙ্ঘনের দায়ে বার্সেলোনাকে আবারও মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। অঙ্কটা ১৫ মিলিয়ন ইউরো, টাকায় রূপান্তরে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২১৭ কোটি। স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের চেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে। ব্লুজদের জরিমানার অঙ্কটা ৩১ মিলিয়ন ইউরো, যা টাকায় রূপান্তর করলে দাঁড়ায় প্রায় ৪৪৮ কোটি! এটি এক মৌসুমে কোনো ক্লাবকে করা সবচেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা। সে দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যতিক্রমী এক রেকর্ডের সঙ্গে চেলসির নাম জড়াল। প্রিমিয়ার লিগের খরুচে ক্লাবটিকে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সংগতি রাখতে না পারার কারণে ২৮৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি খেলোয়াড়দের বেতন এবং দলবদলের পেছনে ব্যয় করায় অতিরিক্ত ১৫৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাস্টন ভিলাকেও প্রায় ১৫৯ কোটি টাকা, ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক, লিঁওকে ১৭৯ কোটি ৬২ লাখ এবং ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমাকে ৪৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বার্সেলোনার জন্য অবশ্য খবরটি মোটেও অপ্রত্যাশিত ছিল না। ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্প্রতি উয়েফা সভাপতি আলেকজান্ডার সেফেরিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ক্লাবটি যে গত কয়েক মৌসুম ধরে উয়েফার নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছু করতে পারছে না—এটা পরিষ্কার ছিল। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের অসংগতির কারণে লা লিগায় খেলোয়াড় নিবন্ধন নিয়েও জটিলতার মধ্য দিয়ে পথ চলছে কাতালান ক্লাবটি। লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের জন্য অবশ্য জরিমানা নতুন নয়। আগেও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ কারণে একটি বড় নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কাও ছিল বার্সেলোনার। কারণ, একাধিকবার নিয়ম লঙ্ঘন করা ক্লাবগুলোকে নানা নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়ে থাকে। তারপরও উয়েফা কঠোর শাস্তির পথে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একাধিকবার নিয়ম লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে দলবদল উইন্ডোতে খেলোয়াড় নিবন্ধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে। বার্সেলোনার মতো চেলসিও সে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে ছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। আপাতত অর্থদণ্ড দিয়েই পার পেতে পারে ক্লাব দুটি।
৫ ক্লাবকে উয়েফার অর্থদণ্ড
ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চেলসি
ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চেলসি
অঘটনের উইম্বলডন থেকে বিদায় ওসাকার
অঘটনের উইম্বলডন থেকে বিদায় ওসাকার
গিলের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়
গিলের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়
আত্মবিশ্বাস থেকেই মিলল জয়
আত্মবিশ্বাস থেকেই মিলল জয়