শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সাবমিট
test
test
গাজায় ক্ষুধা ‘দুর্ভিক্ষ’ নয়, বরং পরিকল্পিত যুদ্ধকৌশল
গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয়কে সাধারণ দুর্ভিক্ষ বা যুদ্ধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে না দেখে এটিকে একটি সুপরিকল্পিত যুদ্ধকৌশল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ফিলিস্তিনি গবেষক ও পরিবেশকৃষি বিশেষজ্ঞ ফুয়াদ আবু সাইফ। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ও জীবনধারণের উপকরণকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ইসরায়েল একটি কাঠামোগত গণহত্যার পথে আগাচ্ছে। এক নিবন্ধে তিনি বলেন, গাজায় এখন যে দুর্ভিক্ষ চলছে, তা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ব্যর্থ রাষ্ট্রের ফল নয়। এটি একটি চলমান অপরাধ এবং এটি বিশ্বের সামনেই সংঘটিত হচ্ছে।  আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে আবু সাইফ জানান, গাজার ৯৫ শতাংশের বেশি কৃষিজমি ইতিমধ্যেই ধ্বংস হয়েছে অথবা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে খাদ্য উৎপাদনের স্বনির্ভরতা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তার দাবি, এটি কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং এটি একটি জাতির স্বাধীনভাবে বাঁচার সক্ষমতাকে নষ্ট করার প্রচেষ্টা।  গবেষকের ভাষায়, ইসরায়েল এখন আর শুধু সামরিক হামলায় সীমাবদ্ধ নেই। বরং খাদ্য, পানি ও কৃষিজ উৎপাদনের উপায়গুলোকে টার্গেট করে গাজাবাসীর জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলছে ইসরায়েল। তিনি বলেন, শস্য সরবরাহ বন্ধ, পানি পরিকাঠামোয় হামলা, কৃষক ও জেলেদের ওপর আগ্রাসন- এসবই একটি বৃহৎ কৌশলের অংশ। আর এর উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদের সমাজ ও অর্থনীতিকে ভেঙে ফেলা।  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়েও তার লেখায় প্রশ্ন তুলেন তিনি। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মহলের নির্লিপ্ততা ও অস্পষ্ট কূটনৈতিক বিবৃতির ফলে ক্ষুধাকে একটি বৈধ যুদ্ধকৌশল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফুয়াদ আবু সাইফ বলেন, ‘যখন খাদ্যপণ্য- যেমন ময়দা, শিশু খাদ্য বা বোতলজাত পানি সরবরাহকে রাজনৈতিক দরকষাকষির অংশ করা হয়, তখন তা ‍আর শুধুমাত্র মানবিক সংকট থাকে না। তখন সেটি হয়ে ওঠে নির্দয় রাজনৈতিক শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যম মাত্র। ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে ‘নিয়েলেনি গ্লোবাল ফোরাম’-এর তৃতীয় সম্মেলন। এতে বিশ্বজুড়ে কৃষক, জেলে ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতারা অংশ নেবেন। সাইফের দাবি, ‘আমরা চাই এমন একটি বিশ্ব গড়ে তুলতে, যেখানে খাদ্য কখনোই যুদ্ধের হাতিয়ার হবে না।’  আবু সাইফ বলেন, ‘ইতিহাস গাজার ঘটনা মনে রাখবে। মনে রাখবে, কারা মুখ খুলেছিল আর কারা চুপ ছিল। বিচার হয়তো বিলম্বিত হবে, কিন্তু বিচার হবেই।’ সূত্র: ‍আলজাজিরা 
বৃদ্ধাকে মারধর করে টাকা ‘লুটে নিলেন’ জাসাস নেতা
নেত্রকোনার বারহাট্টায় শারিন আক্তার নামের এক বৃদ্ধাকে মারধর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) এক নেতার বিরুদ্ধে।  সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার রাতে বাহাদুরপুর গ্রামে ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত অলি উল্লাহ রায়হান বারহাট্টা উপজেলা জাসাসের সদস্য সচিব। তিনি উপজেলা সদরের গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা। আর ভুক্তভোগী শারিন আক্তার বাহাদুরপুর গ্রামের প্রয়াত মো. হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। স্থানীয় বাসিন্দা ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শারিন আক্তার সম্পর্কে অলি উল্লাহের মামি হন। সম্প্রতি শারিন আক্তারের সম্পতি নিয়ে অলি উল্লাহের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। শনিবার দুপুরে অলি উল্লাহ তার সৎ মা হাসিনা মমতাজকে নিয়ে শারিনের বাড়িতে আসেন।  এ সময় শারিন ঘরের দরজা বন্ধ করতে চাইলে অলি উল্লাহ জোর করে ঘরে ঢোকেন। শারিন বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয়। পরে তিনি ঘরের থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা শারিনকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় শারিনের মেয়ে পপি আজাদ ওই দিন রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পপি বলেন, অলি উল্লাহ আমাদের ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুরসহ আমার বৃদ্ধ মাকে বেধড়ক মারধর করে দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তার রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। এ ছাড়া কোনো পদক্ষেপও নিচ্ছে না পুলিশ। অলি উল্লাহ এখন আমাদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অলি উল্লাহ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ঘরে ঢুকে হামলা বা ভাঙচুর কিংবা টাকা লুট করিনি। এটা মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। শারিন আক্তার সম্পর্কে আমার মামি হন। তার সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। পরে তিনি দরজা বন্ধ করে দিলে আমার মা রাগান্তিত হয়ে কাঁচের গ্লাস ভেঙে ফেলেন। এ ছাড়া আর কিছু হয়নি। জেলা জাসাসের আহ্বায়ক সাদমান পাপ্পু জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। এ ধরনের ঘটনা যদি ঘটে থাকে তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে অলি উল্লাহের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 
জুলাই সনদ, বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত জুলাই সনদের জন্য অপেক্ষা করা হবে। আশা করা যায়, সরকারসহ সব পক্ষ এর মধ্যেই জুলাই সনদ ঘোষণা করবে। সোমবার (৭ জুলাই) সকালে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে রাজশাহীতে অবস্থানকালে তিনি এ কথা বলেন।  জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের স্বীকৃতি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানুষের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জুলাই সনদ প্রণয়ন এবং সংবিধানের অংশ হিসেবে ঘোষণার দাবি করে আসছে এবং তা এই মাসের মধ্যেই ঘোষণার দাবি করে তরুণ এই রাজনৈতিক দল। সরকারও এই সময়ের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে পারবে বলে আশা করছে। তবে গণ-অভুত্থান দিবস অর্থাৎ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকারের ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করবে এনসিপি। জুলাই সনদ, বিচার ও সংস্কার এবং জুলাই স্মরণে গত ১ জুলাই ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে এনসিপি। সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী এই কর্মসূচির গত ৬ দিনে ১৪টি জেলায় পদযাত্রা শেষ হয়েছে। সোমবার নাটোর হয়ে সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় যাবেন এনসিপি নেতারা।
জামায়াত নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চায় : গোলাম পরওয়ার
জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নয় জামায়াতে ইসলামী; বরং নির্বাচন ঘিরে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ চায় দলটি—এমন মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।  সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে আগামী ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের জন্য নির্ধারিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।  আসন্ন জাতীয় সমাবেশে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এই সমাবেশের উদ্দেশ্য হলো জাতীয় নির্বাচনের আগে সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা, পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার এবং বিচার ব্যবস্থার দৃশ্যমান অগ্রগতির দাবি সরকারের সামনে তুলে ধরতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।  পরিদর্শনে মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসেন হেলাল। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দামসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
লরির চাকায় পিষ্ট পিকআপ চালক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে শুকলাল দাস (৪২) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মা ফাতেমা ফিলিং স্টেশনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  নিহত শুকলাল দাস ভাটিয়ারী ইউনিয়নের সোনারগাঁ গ্রামের জেলেপাড়া এলাকার তেজেন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি পেশায় পিকআপ চালক। ‎হাইওয়ে পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত শুকলাল দাস সকালবেলা তার পিকআপটি রেখে রাস্তার পাশে দাঁড়ান। হঠাৎ একটি বেপরোয়া গতিতে আসা লরি তাকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে পড়ে যান। পরে লরির নিচে চাপা পড়লে তার শরীরের ওপরের অংশ থেঁতলে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ‎নিহতের বড় ভাইয়ের ছেলে রানা বলেন, আমার চাচ্চু উনার পিকআপটি রেখে মহাসড়কের পাশে দাঁড়ায়। এ সময় একটি বেপরোয়া লরি ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান। পরে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। তার তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ‎বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মমিন বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘাতক লরিটি আটক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ 
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।  সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।  সংবাদ সম্মেলনে ঠিক কোন বিষয়ে তিনি কথা বলবেন তা স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্পে অর্থ ছাড় নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দেওয়া তার ডিও (ডেমি অফিসিয়াল) লেটার প্রসঙ্গেই তিনি গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিতে পারেন।  জানা গেছে, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একজন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ, টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক, জননীতি বিশ্লেষক ও প্রবন্ধকার। টেকসই উন্নয়নের নিরিখে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতিগত দিক, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ডিজাইন ত্রুটিসহ বিভিন্ন খাতের কারিগরি ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত সংস্কার এবং অটোমেশন তার লেখার মূল বিষয়। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ তৈয়্যব বর্তমানে সিনিয়র সফটওয়্যার সলিউশন আর্কিটেক্ট হিসেবে ‘ভোডাফোন জিজ্ঞো’ নেদারল্যান্ডস-এ কর্মরত ছিলেন। 
চল্লিশে পা দিলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি
ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অনন্য নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক, ‘ক্যাপ্টেন কুল’, চেন্নাই সুপার কিংসের অদ্বিতীয় নেতা—যাকে ভালোবেসে দক্ষিণের ভক্তরা ডাকেন ‘থালা’। সোমবার জীবনের ৪৪ বছরে পা রাখলেন এই কিংবদন্তি।   ২০০৪ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়ানো সেই দীর্ঘকেশী যুবককে দেখে কে ভেবেছিল, একদিন তিনি হয়ে উঠবেন বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটারদের একজন! ধোনি শুধু উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দারুণ ছিলেন না, ব্যাট হাতে ভারতের মিডল অর্ডারের স্তম্ভও হয়ে উঠেছিলেন। দ্রুত স্টাম্পিং আর বিখ্যাত ‘হেলিকপ্টার শট’ আজও ভক্তদের প্রিয়।   ধোনির ঝুলিতে রয়েছে ১৭,২৬৬ আন্তর্জাতিক রান, ৮২৯ ডিসমিসাল ও ৫৩৮টি ম্যাচ। ওডিআই ফরম্যাটে ধোনি ছিলেন সবচেয়ে ভয়ংকর। ৩৫০ ম্যাচে ১০,৭৭৩ রান, গড় ৫০.৫৭। ১০টি সেঞ্চুরি, ৭৩টি হাফসেঞ্চুরি আর সর্বোচ্চ ইনিংস ১৮৩*। নিচের দিকে ব্যাট করতে নেমেও ১০ হাজারের বেশি রান এবং ৫০-এর ওপরে গড়—এটাই প্রমাণ করে তিনি কত বড় মাপের ক্রিকেটার।   অধিনায়ক হিসেবে ধোনি ভারতের হয়ে ২০০টি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে জয় এসেছে ১১০টিতে। ২০১১ বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতিয়ে ভারতকে তিনি এনে দিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ গৌরব।   টি-টোয়েন্টিতেও ছিলেন সমান ধারাবাহিক। ৯৮ ম্যাচে ১,৬১৭ রান, গড় ৩৭.৬০। ২০০৭ সালে ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পেছনেও ছিল তার নির্ভীক নেতৃত্ব।   টেস্ট ক্রিকেটে ধোনি ৯০ ম্যাচে ৪,৮৭৬ রান করেছেন, গড় ৩৮.০৯। অধিনায়ক হিসেবে ভারতের হয়ে ৬০টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ২৭টিতে জয় তুলে নিয়েছেন। তার অধিনায়কত্বেই ভারত প্রথমবারের মতো আইসিসি টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে আসে এবং অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশের কৃতিত্ব অর্জন করে।   ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের মঞ্চেও ধোনি অনন্য। আইপিএলে ৫,৪৩৯ রান, ২৭৮ ম্যাচে গড় ৩৮.৩০। রয়েছে ৫টি আইপিএল শিরোপা ও ২টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। চেন্নাই সুপার কিংসকে তার নামের সঙ্গে যুক্ত করে তুলেছেন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে।   রাঁচির এই ছেলে দেশের জন্য দিয়েছেন নিজের সবটুকু। মাঠে তার ঠান্ডা মাথা, অনন্য কৌশল, শেষ মুহূর্তে ছক্কা হাঁকানোর দৃশ্য—সবই আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে ভাসে।   আজ জন্মদিনে ধোনির জন্য দেশ-বিদেশের কোটি কোটি ভক্তের শুভকামনা। ক্রিকেট বিশ্বে তিনি থেকে যাবেন চিরকালীন ‘থালা’, এক অবিস্মরণীয় নাম হিসেবে।
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বজ্রবৃষ্টির আভাস
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে সারা দেশে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  সোমবার (৭ জুলাই) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের সই করা সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় এবং অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এদিন (৭ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী খুন, আসামি গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় চোরের ছুরিকাঘাতে জনি দাস নামের এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৭ জুলাই) সকালে হবিগঞ্জ সদরের কামড়াপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাজু মিয়া আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে শরের নাদিরাবাদ এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেছিলেন।  হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি একেএম সাহাবুদ্দিন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে শহরের চৌধুরী বাজারের দেয়ানত রাম সাহার বাড়ি এলাকার নরধন দাসের বাড়িতে চোর হানা দেয়। এ সময় তার ছেলে হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জনি দাস (১৭) চোরকে ঝাপটে ধরতে চাইলে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে তার বড় ভাই জয় দাস এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর নিহতের বাবা নরধন দাস বাদী হয়ে শনিবার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি সাজুকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কমিটি দিতে আড়াই লাখ দাবি, নেতা বললেন ‘এটা শুধুই মজা’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনিরামপুর শাখা আহ্বায়ক কমিটি দিতে আড়াই লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যশোর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম আকাশ, মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ ও সংগঠক মেহেদী হাসান এ অর্থ দাবি করেন। মনিরামপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ করেন। মনিরামপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাসান ইকবাল সানি, শরিফ মাহমুদ, নাসিমুল বারী সাইমুম এ অভিযোগ করেন। তারা বলেন, গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় জেলা কমিটির সংগঠক মেহেদি হাসান ফোন করেন মনিরামপুর উপজেলার পৌর সদস্য সানির কাছে। সে সময় মেহেদী জানান, মনিরামপুর উপজেলা কমিটি দেওয়ার জন্য জেলার দায়িত্বপ্রাপ্তরা আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং আলোচনা করবেন।  সানি তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে জানালে আমরা আট সদস্য যশোরের উদ্দেশে রওনা দিই। রাত ৯টার সময় আমরা যশোর সিটি প্লাজায় পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম আকাশ, মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ ও সংগঠক মেহেদী হাসান। তারা আমাদের সিটি প্লাজার রুফটপে নিয়ে যান।  তারা আরও বলেন, সেখানে কমিটি নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে মেহেদি হাসান আমাদের কাছে কমিটি বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন আমরা বিষয়টি নিয়ে কথাকাটাকাটি শুরু করি। একপর্যায়ে তারা বলেন—প্রয়োজনে খসড়া প্রার্থী তালিকায় যে ৮০ জনের নাম রয়েছে, তাদের কাছ থেকে ২ হাজার করে নিলেই তো ১ লাখ ৬০ হয়।’ জেলার এ নেতারা একপর্যায়ে তাদের কিছু কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, স্কুল-কলেজের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক পদ বাবদ ২ লাখ এবং সদস্য পদে ১ লাখ টাকা করে জেলা কমিটি নিয়েছে বলে জানান। এসব কথোপকথনের রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। অভিযোগের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যশোর জেলা শাখার সংগঠক মেহেদী হাসান দাবি করেন—সানি, শরিফ ও সাইমুম কমিটির জন্য আমাদের গ্রুপে মেসেজ দেয়। তারা টাকা দিয়ে কমিটি নেবে কি না, এজন্য মজা করে আড়াই লাখ টাকা চাওয়া হয়। এটা শুধু মজার ছিল, আর কিছু নয়। তিনি বলেন, এ সময় যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম আকাশ, মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ উপস্থিত ছিলেন।
‘কার্টফেল ক্যোনিগ’ জার্মানির আলুর কিংবদন্তি
জার্মানির খাদ্যসংস্কৃতির অন্যতম প্রধান চরিত্র ‘কার্টফেল’, সহজ ভাষায় আমরা যাকে আলু বলেই চিনে থাকি। কিন্তু এই সাধারণ আলুর পেছনে লুকিয়ে আছে এক মজার ইতিহাস আর কিছু জনপ্রিয় কল্পকাহিনী, যা আজও জার্মানদের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। আলুর ‘রাজা’ ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেট অনেকেই মনে করেন, প্রুশিয়ার রাজা ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেটই জার্মানিতে প্রথম আলু এনেছিলেন। কাহিনি বলে, তিনি আলুর বাগান পাহারা দিয়ে সাধারণ মানুষকে উসকে দেন আলু ‘চুরি’ করতে। যাতে তারা আলুর গুরুত্ব বুঝতে পারে। তাই তাকে বলা হয় ‘কার্টফেল ক্যোনিগ’ বা আলুর রাজা। কিন্তু ইতিহাসবিদেরা এই গল্পকে মিথ্যে বলে আখ্যায়িত করেন। ইতিহাস বলে, রাজা ফ্রেডেরিক নিজেই কখনো আলু খেতেন না, আর আলু জনপ্রিয়তা পায় তার মৃত্যুর অনেক পরে। প্রকৃতপক্ষে, আলু আসে ১৬৫০-এর দশকে, তার প্রপিতামহের সময়ে। আর আলু জার্মান জনসাধারণের মুখে ঘর করে নেয় ১৮১৫ সালে, নেপোলিয়নিক যুদ্ধের পর। যদিও ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেটের গল্প সঠিক না, তবুও সে কাহিনি জার্মানরা এখনও মানে। আজও প্রুশিয়ার প্রাসাদের পাশে আলু আর কাগজের মুকুট রাখা হয়, আর দোকানে পাওয়া যায় নানা আলু সম্পর্কিত উপহারসামগ্রী। এটি ইতিহাসের সঙ্গেই জার্মান সংস্কৃতির এক চমৎকার মিলনস্থান। বহু আগে থেকেই জার্মানির রান্নায় আলু কোনো সাধারণ সবজি নয়, বরং একটি প্রধান খাদ্যের অংশ। সালাদ থেকে শুরু করে কেক, ডাম্পলিং থেকে প্যানকেক- প্রায় সবখানেই আলুর ব্যবহার। অনেক পরিবারের নানি-দাদি থেকে শুরু করে আজকের প্রজন্ম পর্যন্ত আলুর রেসিপি প্রজন্মান্তরে চলে এসেছে। জার্মানিতে আলু দিয়ে বানানো মিষ্টি কেকও খুবই জনপ্রিয়। আলু আর গাজরের সংমিশ্রণে তৈরি এই কেকটি শুধু সুস্বাদু না বরং তার সঙ্গে জার্মানির ঐতিহ্যেরও অংশ।  ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেট হয়তো বাস্তবে আলুর রাজা ছিলেন না, তবে তার নামের সঙ্গে গাঁথা আলুর গল্প ও ভালোবাসা আজও জার্মানদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। ইতিহাসের অনেক গল্পই কল্পকথা, তবে দৈনন্দিন জার্মান জীবনে আলুর স্থান সত্যিই অমোঘ। তাই আজও কার্টফেল ক্যোনিগের গল্প শুনলে একটু হাসি থেমে যায়, আর আলুর প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যায় জার্মানদের । 
সরকারের সুচিন্তিত নীতি-কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে : প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের সুচিন্তিত নীতি-কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।  সোমবার (৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি। পোস্টে প্রেস সচিব লেখেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সুচিন্তিত নীতি-কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে। জুন ২০২৫ মাসের উপাত্ত অনুযায়ী পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের তুলনায় ২ শতাংশ-বিন্দু কম।  তিনি লেখেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়ে ৭.৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও হ্রাস পেতে শুরু করেছে এবং আগামীতে তা খুব দ্রুত কমে আসবে।  এদিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশন কারও ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেবে না। বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য ধারণ করে সংশোধনী প্রস্তাব আনছে কমিশন। যেমন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নিয়ে অধিকাংশ দলের আপত্তি থাকার কারণে সংশোধনী এনে ভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। তিনি বলেন, যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সেদিকে কমিশন নজর রাখছে। এর ফলে অনেক কিছু বাদ দিয়ে আলোচনায় আমরা অগ্রসর হচ্ছি।  ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। যতটা সম্ভব বেশি সময় মিলিত হয়ে যেন দ্রুত কাজ শেষ করা যায়, সে জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। 
মেঘনায় মাছ নেই, কিস্তির চাপে জর্জরিত জেলেরা
চাঁদপুরের মতলবের মেঘনা নদীতে এখন আর দেখা মিলছে না ইলিশ কিংবা অন্য মাছের। নদীতে দিনভর জাল ফেলেও অনেক জেলে ফিরছেন খালি হাতে। এতে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে মেঘনা নদীকেন্দ্রিক হাজারো জেলে পরিবার। আয় নেই, অথচ এনজিও ও স্থানীয় মহাজনের ঋণের কিস্তির চাপ বাড়ছে প্রতিদিন। স্থানীয় সচেতন মহল জানান, এ এলাকার প্রকৃত জেলেদের তালিকা করে সরকারি সহায়তা নিশ্চিত, নদী দূষণ রোধে কার্যকর উদ্যোগ, বিকল্প পেশার জন্য প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা, কিস্তির টাকা পরিশোধে সময়সীমা বাড়ানো ও সুদ মওকুফ করলে জেলেদের জীবন-জীবিকার মান বৃদ্ধি পেত।  মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর, ষাটনল, এখলাসপুর, বাবু বাজার, আমিরাবাদ বাজার, জহিরাবাদ, দশানীসহ নদীপাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, জেলেদের চোখে-মুখে হতাশা আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য কিছু করার চিন্তাও করছেন। মোহনপুর গ্রামের জেলে আবুল হোসেন বলেন, ‘নদীর পানিতে এখন গন্ধ হইতাছে। পচা পানি হইছে। মাছ ডিম পাইলেও মরতাছে। এ জন্য মাছ হয় না। এখন বাইম-শিংও পাওয়া যায় না। সংসার চালাইতে খুবই কষ্ট হইতাছে।’ একই গ্রামের কাইল্লা বেপারী জানান, আগে দিনে ৮-১০ কেজি মাছ পাইতাম। এখন সারাদিন নদীতে গিয়া ৫০ টাকারও মাছ ধরি না। এই টাহায় কি চাল কিনুম, না কিস্তি দিমু? ফতোয়াকান্দি গ্রামের মাসুদ মিয়া বলেন, ‘আমার দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার কিস্তি রইছে। মাছ না থাকায় এখন আর শোধ দিতে পারতাছি না। শুধু চিন্তায়ই থাকি, কেমনে এই দেনা শোধ করুম।’ জেলে আব্দুর রহমান বলেন, ‘নৌকার তেল লাগে দিনে ৩০০ টাকা। কিন্তু সারাদিন জাল টানার পর ২০০ টাকারও মাছ উঠে না। যা পাই, তা ঘরের জন্যই লাগে। এখন ভাবতাছি, এই পেশা ছাড়ুম।’ ষাটনল জেলে পাড়ার অটল বর্মণ জানান, আমরা নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরি না। মা ইলিশের সময় হইলেও নদীতে যাই না। কিন্তু নিষেধ না থাকলেও জাল নিয়া নদীতে গেলে নানা ঝামেলা হয়। তখনও আমাদের শান্তি নাই। জেলেরা বলছেন, মেঘনার পানির গুণগত মান খারাপ হয়ে যাওয়ায় মাছের বংশবৃদ্ধি কমে গেছে। আবার নদীতে অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে চায়না দুয়ারি, কারেন্ট জাল ও অবৈধ চাঁই। ফলে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, নদীতে বড় বড় ট্রলারে মাছ ধরা হয়, যেগুলোতে ব্যবহৃত হয় আধুনিক জাল ও প্রযুক্তি। অথচ ক্ষুদ্র জেলেরা প্রতিদিন নিঃস্ব হয়ে ফিরছেন। বাবু বাজারের মৎস্য আড়তদার রাজিব খান বলেন, মাছের সরবরাহ খুব কম। আগে প্রতিদিন ৫০ জন মাছ দিত, এখন হাতে গোনা কয়েকজন আসে। ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু ইলিশ না, সব মাছের দামই এখন বাড়তি। রুই, কাতলা, পাঙাশ সবই ৩০০-৪০০ টাকা কেজি। বাজারে গেলে মাছের দিকে তাকানোই যায় না। এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস কালবেলাকে বলেন, নদীর পানির মান খারাপ হওয়া, অপরিকল্পিত নিষেধাজ্ঞা এবং অবৈধ উপকরণের ব্যবহারের কারণে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি অবৈধ জাল ও চাঁই অপসারণে। তিনি বলেন, এখন বর্ষার সময়, এটি মাছের মৌসুম। আমরা আশাবাদী, কয়েক দিনের মধ্যেই মেঘনা নদীতে মাছের পরিমাণ বাড়বে। জেলেরা নতুন করে মাছ ধরতে পারবেন। প্রসঙ্গত, মেঘনা নদী এক সময় জেলেদের জীবন চলার বড় ভরসা ছিল। এখন সেই নদীই যেন তাদের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলেরা বলছেন, নদী আগে দিত, এখন শুধু নেয়। আমরা চাই, আবার আগের মতো নদীতে মাছ হোক, আমরাও শান্তিতে বাঁচি।  
হেফাজত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিবুল্লাহ্ বাবুনগরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।  সোমবার (৭ জুলাই) সকালে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাটের জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত পৌঁছালে তাকে হেফাজত নেতারা ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় মাদ্রাসার মসজিদ প্রাঙ্গণে ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা শাহ্ হাবিবুল্লাহ বাবুনগরী, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েব আমির আল্লামা শাহ্ আইয়ুব বাবুনগরী ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক আল্লামা হারুন আজিজী নদভী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মজলুম ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে সোচ্চার থাকায় কৃতজ্ঞতা জানাতে হেফাজত আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছি। বাংলাদেশের সরকার, জনগণ ও হেফাজত নেতারা সব সময় ফিলিস্তিনকে সমর্থন জুগিয়ে আসছে। মুসলিমের প্রথম কেবলা আল আকসা ইহুদিদের জুলুমের শিকার হচ্ছে৷ তিনি আরও বলেন, নারী-শিশুসহ ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর ওপর ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বহু হাজার কিলোমিটার দূরের ভূখণ্ড বাংলাদেশের মানুষ সমর্থন জানিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও হেফাজতের ভূমিকা ফিলিস্তিনের পক্ষে আরও জোরদার হবে।  হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক আল্লামা হারুন আজিজী নদভী বলেন, ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মজলুম জনগণের পক্ষে স্পষ্ট ভূমিকা ও মুসলিম এবং ইসলামের স্বার্থরক্ষায় আমিরে হেফাজতের অবস্থানকে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন গাজাবাসীর পক্ষে হেফাজতে ইসলাম ভবিষ্যতে আরও জোরালোভাবে ভূমিকা রাখবে। 
ট্রাম্পের বাণিজ্য বার্তার পর কমলো স্বর্ণের দাম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য চুক্তি ও শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় প্রভাব ফেলেছে। সোমবার (৭ জুলাই) স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩১১ দশমিক শূন্য ৯ ডলারে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ড ফিউচারও দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩২০ দশমিক ৩০ ডলারে। রোববার ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই বেশ কয়েকটি বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে। আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে দেশগুলোকে নতুন উচ্চহারে শুল্ক কার্যকরের বিষয়ে অবহিত করা হবে এবং ১ আগস্ট থেকে শুল্ক কার্যকর হবে। এর মধ্যে কিছু দেশের জন্য নতুন শুল্ক কার্যকর করার সময়সীমা তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই স্বল্পমেয়াদি শুল্ক ছাড়ের ঘোষণাই স্বর্ণের দামের ওপর প্রভাব ফেলেছে। বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দিকে ঝুঁকছেন, ফলে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা কমেছে। বিশ্ববাজারে রুপার দামও দশমিক ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৫৮ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৫৮ দশমিক ৬২ ডলারে এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৩ দশমিক ২৩ ডলারে। বিশ্লেষক কেলভিন ওয়াং জানান, এ স্বল্পমেয়াদি শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা স্বর্ণের দামে দুর্বলতা সৃষ্টি করেছে। আগামীতে স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৩২০ ডলারের আশপাশে ওঠানামা করতে পারে, যেখানে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ মাত্রা ৩ হাজার ৩৬০ ডলার। এদিকে, ট্রাম্প নতুন করে ঘোষণা দিয়েছেন, যারা ব্রিকস জোটের কথিত ‘অ্যান্টি-আমেরিকান’ নীতিকে সমর্থন করবে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে তিনি এই ‘অ্যান্টি-আমেরিকান’ নীতির ব্যাখ্যা দেননি। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই বাণিজ্য উত্তেজনা ও নতুন শুল্কের কারণে বিশ্ববাজারে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়তে পারে, যার প্রভাব পড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানোর পরিকল্পনার ওপরও। বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা বছরের মধ্যে মাত্র দুটি সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা করছে। গত সপ্তাহেই ট্রাম্প বড় আকারের করছাড় ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির বিল আইনে পরিণত করেছেন, যা আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বাড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা। তথ্যসূত্র : রয়টার্স  
ঢাবি শিক্ষার্থী মুন্নাছ বাঁচতে চান
দুরারোগ্য ব্যাধি লিউকেমিয়াতে আক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের ১০১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুন্নাছ আলী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সহযোগিতায় তার চিকিৎসার প্রায় পুরো টাকা জোগাড় হয়েছে। গত ৬ মাস ধরে ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন তিনি।  জানা গেছে, প্রায় ৩০টি কেমোথেরাপির পর তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই উন্নতির দিকে ছিল। আগামী মাসে তার একটা কেমোথেরাপি বাকি আছে।  তবে, অল্প সময়ের ব্যবধানে এত কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তার নাক ও মাথার খুলির মাঝের হাড়ে ক্ষত দেখা দিয়েছে। যে কারণে কিছুদিন যাবৎ তিনি ডান চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। পাশাপাশি তার বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তিও কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা তাকে ২১ দিনের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছেন। এতে সুস্থ না হলে তার সার্জারি করা লাগবে। চিকিৎসকরা তাকে  হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে তাকে বাসা থেকেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অ্যান্টিবায়োটিক ও সার্জারি মিলিয়ে তার চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা লাগবে। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষে এই টাকা জোগাড়ের সামর্থ্য না থাকায় সবার সহায়তা কামনা করেছেন মুন্নাছ। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: বিকাশ/নগদ: 01884654418 অথবা One bank Account number: 1062460000059, Account name: Md. Munnas Ali, Routing number: 165261342, Branch Name: Gulshan Islami Banking Branch
নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং: উপমা
নতুন একটি নাটকে অভিনয় করলেন ফারজানা মেহমুদ উপমা। নাটকের নাম ‘শেষ ভালোবাসা’। সম্প্রতি ঢাকা শহরের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে নাটকটির চিত্রায়ণ করা হয়েছে।  মেজবাহ শিকদারের নির্মিত এই নাটকের একটি উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে উপমাকে। পারিবারিক টানাপোড়েনে একসময় নেশার জগতে প্রবেশ করে উপমা এবং নেশার কারণে তার প্রেমিকের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। জীবনে চরম অবনতি ঘটে। বাড়ি ছেড়ে টাকা জোগানোর জন্য বন্ধুরা তাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে।  এমন নানা ঘটনায় এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।  কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা প্রসঙ্গে উপমা বলেন, ‘শেষ ভালোবাসা’ নাটকের গল্প আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। একজন নেশাগ্রস্ত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে আমার কাছে। তবে কাজটা করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। নেশা কীভাবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে, পরিবারকে ধ্বংস করে দেয় তা এই নাটকের গল্পে তুলে ধরা হয়েছে। নেশা যে কতটা বিধ্বংসী তার স্পষ্ট মেসেজ রয়েছে নাটকটিতে।  প্রসঙ্গত, এ যাবৎ অর্ধশতাধিক নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন উপমা। 
শতকোটি টাকার সম্পত্তি আ.লীগ নেতা দুই ভাইয়ের কবজায়  
গাজীপুরে সরকারি শতকোটি টাকার সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে সহোদর আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জাল নথিপত্র তৈরি করে গত ১৫ বছর ধরে নিজেদের কবজায় বিশাল এই সম্পত্তি দখলে রেখেছেন তারা। প্রশাসন বলছে, আগে কী হয়েছে জানি না, তবে এখন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলার প্রায় ১০০ কোটি টাকার সরকারি জমি হাতিয়ে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন ও তার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেন। তাদের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামে। তাদের বাবার নাম ছব্বত আলী। তোফাজ্জল তেলিহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মোফাজ্জল উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা।   এদিকে এই দুই নেতার কাছে বাবা-দাদার কবরস্থানও দখলের শঙ্কায় ভারাক্রান্ত ৯২ বছর বয়সী সালেহা বেগমের। মালিকানার সব নথিপত্র থাকার পরও পেশিশক্তির কাছে বারবার হেরে গেছেন, জমি রক্ষায় প্রতিবাদ করে বারবার মামলা আর পুলিশি হয়রানিতে দিন কাটছে এই বৃদ্ধার পুরো পরিবার।  কান্নাজড়িত কণ্ঠে সালেহা বেগম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলেও টাকার কারণে এখনো প্রশাসন তাদের পক্ষে কথা বলে। পুলিশ আমাদের হুমকি-ধমকি দেয়।’ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজ মাওনা গ্রামে ৯ একর সরকারি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে দুই ভাই গড়ে তুলেছেন সন্দীপ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। গত কয়েক বছরে প্রায় ২০টি পরিবারকে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানিপূর্বক জমি থেকে উচ্ছেদ করে তারা এ জমির দখল নিয়েছেন। দখল করা ৯ একর জমির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এ জমি দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। এক সময় এ জমিতে ভূমিহীনরা বাড়িঘর বানিয়ে বসবাস করলেও এখন তারা গড়ে তুলেছেন এগ্রোফার্ম। কয়েক হাজার গরু, ছাগলের শেড নির্মাণ করলেও সেখানে ঘুরে দেখা গেছে মাত্র ৭০/৮০টি গরু লালনপালন করছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। সন্দীপ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজার বিল্লাহ বলেন, ‘এখানে ৮৯টি গরু আছে।’ তিনি স্বীকার করেন, ১২৭ বিঘার জমির প্রকল্পে ৩৬ বিঘা সরকারি খাস সম্পত্তি। জানা গেছে, কিছু অসাধু সরকারি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কাগজপত্রেও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিজেদের নামে নামজারি ও জমাভাগও করে নিয়েছেন। ভূমি অফিসে অনুসন্ধান করে জানা যায়, গাজীপুর মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত এসএ ১১৫ আর ৭৬৩৫, ৭৬০৫, ৭৬১০, ৭৬১১, ৭৬১২, ৭৬১৭, ৭৬১৮, ৭৬২৯, ৭৬৩০, ৭৬৩১, ৭৬৩২, ৭৬৩৮, ৭৬৭২, ৭৬৩৩, ৭৬৩৪, ৭৬৩৬, ৭৬৩৭ দাগের ৯ একর স্থানীয় মাপে ২৭ বিঘা জমি শুধু দখল নিয়েই শেষ করেনি তারা, উল্টো জালিয়াতি করে নিজেদের নামে নামজারি করেও নেন। যার নামজারি জমাভাগ নথি নং ৪২৮০/১১-১২ জোত নং ১৮১। বিভিন্ন ভুয়া দলিল তৈরি করে তারা নামজারি জমাভাগ করার অভিযোগ থাকায় এ নথির সূত্র ধরে উপজেলা ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নথিতে তারা ৭টি দলিল জমা দিয়েছিলেন। সে দলিলগুলো সংগ্রহের পর প্রতিবেদক নিজেই তিনটি দলিল ২৩৪৬/১৯৭৯, ৩৬০৪/১৯৭৮, ৯২৪৪/১৯৬৮নং দলিলের নকলের কপি গাজীপুর রেকর্ডরুম থেকে উত্তোলন করার পর নামজারির নথির সঙ্গে কোনো মিল পাওয়া যায়নি।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি এ জমি ব্যক্তিদের নামে নামজারির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল ভূমি অফিসের বেশ কিছু কর্মকর্তা। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নথি তৈরি, সরকারি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধকরণসহ রেকর্ডপত্র পরিবর্তন করেন। এদের সহযোগিতায় তারা ১১-১২ অর্থবছরে এ সরকারি জমি নিজেদের নামে নামজারি জমাভাগ করে নেন। এখানেই শেষ নয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট মাওনা চৌরাস্তা। ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম স্থান বিবেচনায় এ জমির দাম স্বর্ণের দামের প্রায় সমান। আওয়ামী লীগ নেতা দুই ভাই এখানেও প্রায় ৫০ কোটি টাকার মূল্যের ২২ শতাংশ সরকারি ১নং খাস খতিয়ানের জমিতে দখল নিয়ে গড়ে তুলেছেন সব্বত আলী কাঁচা বাজার। যেখান থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তারা অগ্রিম গ্রহণ করেছেন কয়েক কোটি টাকা ও প্রতি মাসে ভাড়া আদায় করেন প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তেলিহাটি ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জায়গাটিও মুলাইদ মৌজার সরকারি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। যার এসএ দাগ ৩৪৪, ৩৪৫ আর এস ১৯০৫, ১৯০৬।   স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটি খাস খতিয়ানভুক্ত এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা। কয়েকদিন পরপর অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হলেও এক দিন পরই আবার সব আগের মতো হয়ে যায়।  শুধু সরকারি জমি দখল করেই ক্ষান্ত হননি আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা। তারা মুলাইদ আনোয়ারা নিট কম্পোজিট সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সংযুক্ত হওয়া একটি গো-হালটের সিংহভাগ অংশ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়াও স্থানীয় বেশ কয়েকটি পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি ও কবরস্থান জবরদখল করে নিয়েছেন তারা। প্রতিবাদ করলেই মামলা ও পুলিশি হয়রানি করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এ দুই ভাইয়ের মূল নেশা হলো জমির দখল নেওয়া। এ জন্যই তারা বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দখল করেছেন বহু জমি। যার মধ্যে সিংহভাগই হচ্ছে সরকারি জমি। এছাড়াও বিভিন্ন মানুষের জমিও তারা দখল করেছেন আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাবে। গত ১৫ বছর ধরে তারা ছিলেন অনেক বেপরোয়া। এলাকায় তাদের ভয়ে কেউ টুঁ-শব্দও করতে পারত না। প্রতিবাদ করলে শুরু করত মামলা দিয়ে হয়রানি। অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেন ৫ জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় কারাগারে এবং তোফাজ্জল হোসেন পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  এদিকে ম্যানেজার সবুজ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি পরে দেখা করবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘আগে কে কী করেছে, সেটা জানি না। তবে এখন আর কেউ ছাড় পাবে না।’