বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা / শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

ব্রিকস সম্মেলনে গর্জে উঠল ইরান, জানাল প্রাণহানির সংখ্যা

ব্রিকস সম্মেলনে গর্জে উঠল ইরান, জানাল প্রাণহানির সংখ্যা

গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

৭ জুলাই / বাংলা ব্লকেডে স্থবির ঢাকা, কোটা বাতিলে এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা

২০২৪ সালের ৭ জুলাই। এ দিন শিক্ষার্থীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকা। স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে আসেন হাজারো শিক্ষার্থী। তাদের সমর্থন জানায় যাত্রী-পথচারী থেকে শুরু করে সাধারণ জনতা। ‘বাংলা ব্লকেড’-ই আন্দোলনের আলোচনা দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেয়। সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে ওই দিন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন। এ দিন রাজধানী ঢাকা ছাড়াও রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, খুলনা, রংপুর, সাভার, সিলেট, দিনাপজুর গাজীপুরসহ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাগুলো উত্তাল হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে সারা দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরের দিন সোমবার (৮ জুলাই) এ কর্মসূচি চলবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়। ৭ জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আগামীকাল বেলা সাড়ে ৩টা থেকে ব্লকেড শুরু হবে। এর আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে জমায়েত হবেন। কোনো আবাসিক হলে বাধা দেওয়া হলে আমাদের জানাবেন। আমরা সম্মিলিতভাবে সেই হল ঘেরাও করব।’ ৮ জুলাই থেকে এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হবে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, সব গ্রেডে অযৌক্তিক কোটা বাতিল করে ন্যূনতম কোটা রাখতে হবে। পাশাপাশি সংসদে আইন পাস করে কোটা সমন্নয় করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা নাতিপুতি-পৌষ্য কোটাকে অযৌক্তিক কোটা মনে করছি। দাবি মেনে নিলে আজকেই আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাব। আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে নাহিদ বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে এবং ফার্মগেট পর্যন্ত অবরোধ করা হবে। এদিন সন্ধ্যায় আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আলোচনা শেষে ফিরে এসে হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর একদল প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করতে তাদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়।’ পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার (৭ জুন) রাজধানী ঢাকার আটটি স্থানে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়। এ ছাড়া সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, চানখাঁরপুল ও আগারগাঁওয়েও সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ নিতে বেলা আড়াইটার পর বিভিন্ন আবাসিক হল ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। বেলা সোয়া ৩টার মধ্যে গ্রন্থাগারের সামনে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হন। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয় মিছিল-স্লোগান। পরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এ সময় শাহবাগ মোড় দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থীরা বিকেলে রাজধানীর চানখাঁরপুল মোড় অবরোধ করেন। বেলা পৌনে ২টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন ঢাকা কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন। এ ছাড়া আগারগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ৭ জুলাই কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সোয়া চার ঘণ্টা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন। রাত ৮টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।   এদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ শুরু করেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চার দফা দাবিতে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন। বিকেল ৪টায় নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে মিছিলের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। তবে পুলিশের বাধার মুখে মিছিলের গন্তব্য পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীরা নগরীর মুরাদপুর হয়ে বহদ্দারহাটের উড়ালসড়ক পর্যন্ত যেতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশের উদ্দেশ্যে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দেন।   কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে পথনাটক, কবিতা, গান পরিবেশন করে ব্যতিক্রমী সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ জানায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সোমবার (৮ জুলাই) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ও বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।  এদিন বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে জড়ো হন শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।  এদিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। বৃষ্টির মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন।  ৭ জুলাই বিকেল ৪টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়িতে অংশে অবস্থান নেন। ৪৫ মিনিট ধরে অবরোধের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে জড়ো হতে থাকেন। পরে বেলা ১১টায় দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। আধা ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কয়েকটি সড়কে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ ছাড়াও বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়ায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে যানবাহন আটকা পড়ে। দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মা জানিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা রাজধানীর আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেন। সোয়া ৬টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচির কারণে সড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকে যায়। পরে এক দফা দাবি ঘোষণা করে অবরোধ তুলে নেন তারা।

ভারতে রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধের পর নাটকীয়তা

ভারতে রয়টার্স নিউজ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় এক্স। এরপর সেটি উদ্ধারে শুরু হয় নাটকীয়তা। অবশেষে একদিন পর রোববার সেটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের। একটি আইনি দাবির কারণে শনিবার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছিল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স। তবে সেটি স্পষ্ট করা হয়নি। রোববার রাতে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করে এক্স রয়টার্সের সোশ্যাল মিডিয়া দলকে একটি ইমেইলে জানিয়েছে, ‘এই মুহূর্তে, আমরা ভারতে আপনার অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস আর সীমাবদ্ধ করছি না।’   এক্স এবং ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।   এর আগে রোববারের শুরুতে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, কোনো ভারতীয় সরকারি সংস্থা রয়টার্স হ্যান্ডেল বন্ধ করার নির্দেশ দেয়নি। কর্মকর্তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য এক্সের সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।   তখন রয়টার্সের একজন মুখপাত্র জানান, সংস্থাটি এক্সের সঙ্গে এই বিষয়টি সমাধান করতে এবং ভারতে রয়টার্স অ্যাকাউন্ট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরুদ্ধার করতে কাজ করছে।   রয়টার্স ওয়ার্ল্ড নিউজ এজেন্সির আরেকটি এক্স অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লক করা হয়েছিল। তাও রোববার গভীর রাতে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।   প্রধান রয়টার্স অ্যাকাউন্টে বিশ্বব্যাপী ২৫ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। শনিবার রাত থেকে সেটিও ভারতে ব্লক করা হয়। একটি বিজ্ঞপ্তিতে এক্স ব্যবহারকারীদের জানানো হয়, ‘@Reuters ভারতে একটি আইনি দাবির প্রতিক্রিয়ায় বন্ধ করা হয়েছে।’   এদিকে ১৬ মে রয়টার্সের সোশ্যাল মিডিয়া দলকে পাঠানো একটি ইমেইল নিয়ে জল্পনা চলছে। সেই ইমেইলে এক্স জানিয়েছিল, "আমাদের নীতি হলো, কোনো অনুমোদিত সংস্থা (যেমন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি সংস্থা) থেকে কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে কনটেন্ট সরানোর জন্য আইনি অনুরোধ পেলে অ্যাকাউন্টধারীকে জানানো। ভারতের স্থানীয় আইনের অধীনে এক্সের বাধ্যবাধকতা পালন করার জন্য, আমরা ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর অধীনে ভারতে আপনার এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছি; তবে অন্যত্র কনটেন্টটি উপলব্ধ রয়েছে।’  রয়টার্স নিশ্চিত করতে পারেনি যে ১৬ মে-র ইমেইলটি শনিবারের অ্যাকাউন্ট স্থগিতের সঙ্গে সম্পর্কিত কি না, বা কোন নির্দিষ্ট কনটেন্টের জন্য দাবিটি করা হয়েছিল। কেন এটি সরানোর অনুরোধ করা হয়েছিল, বা কোন সংস্থা অভিযোগটি দায়ের করেছিল।   যদিও ইমেইলটিতে কোন সংস্থা অনুরোধটি করেছে বা কোন কনটেন্ট সরানোর জন্য চাওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, এই ধরনের ক্ষেত্রে একজন ব্যবহারকারী ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

ডেসটিনি গ্রুপ কয়টি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্মের মাধ্যমে কর প্রদান করে?

খানাখন্দ
খানাখন্দে ভরা সড়কে প্রতিদিনই যুদ্ধ
রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড় থেকে জুরাইন রেলগেট পর্যন্ত গেন্ডারিয়া নতুন সড়কটি প্রথম দেখায় মনে হতে পারে যেন খালে অথৈ পানি। সড়কের জায়গায় জায়গায় গর্তের আকার এত বড় যে—সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় কয়েক ফুট পানির নিচে। ভাঙা সড়কের মাঝেই জলাবদ্ধতা থাকে কয়েকদিন। অবস্থা এমন যে, হেঁটে চলারও সুযোগ নেই। বিকল্প না থাকায় অবর্ণনীয় ভোগান্তি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে লাখো মানুষ। এ ছাড়া একই পথ ব্যবহার করে প্রতিদিন চকবাজার ও বাদামতলীর পাইকারি বাজারে চলাচল করে পণ্যবাহী শত শত ট্রাক। তবে রাস্তার দুপাশের গর্তের কারণে দ্রুতগতিতে চলতে পারে না কোনো যানবাহনই। পথচারীদের ভাষ্য, এ সড়ক যেন নরকে পরিণত হয়েছে। সড়কটি দিয়ে নিত্য চলাচলকারী অফিসগামী পারভেজ হুসাইন দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে কালবেলাকে বলেন, ‘এক ঘণ্টায় এক কদমও নড়ছে না গাড়ি। জ্যামের কারণে দুর্ভোগ তো হচ্ছেই, জলাবদ্ধতার কারণে হেঁটে যাওয়ারও উপায় নেই।’ স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দয়াগঞ্জ থেকে যাত্রাবাড়ী ও দয়াগঞ্জ থেকে জুরাইন—এই দুটি সড়ক তিন-চার বছর ধরে এমন বেহাল অবস্থায় রয়েছে যে, চলতে গিয়ে যানবাহন উল্টে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু নগর কর্তৃপক্ষ নীরব।’ শুধু দয়াগঞ্জের এ সড়কটিই নয়, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন মূল সড়ক থেকে শুরু করে অনেক আবাসিক এলাকাজুড়ে বিভিন্ন সড়কের করুণ দশা। সর্বত্র এবড়োখেবড়ো আর খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অনেক সড়কের বেশিরভাগ জায়গায় পিচ উঠে গেছে, কোথাও তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। রাস্তা উন্নয়নের নামে খনন করে ফেলে রাখা হয়েছে মাসের পর মাস। কোনো কোনো রাস্তার সংস্কারকাজ বন্ধ রয়েছে তারও বেশি সময় ধরে। সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি করায় নাগরিক দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। অনেক সড়কে যান চলাচলও বন্ধ। কিছু সড়কে হেঁটে চলারও সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে ইট-সুরকি বিছিয়ে অস্থায়ীভাবে মেরামতের চেষ্টা হলেও দুর্ভোগ কমছে না। বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় উঠে গেছে সড়কের বিটুমিন, ইট-সুরকিও। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে কোনোমতে চলছে যানবাহন। নগরবাসী বলছেন, কোথাও উঁচু, কোথাও বেশ নিচু সড়ক। আবার বছরের অর্ধেক সময় রাস্তায় চলে খোঁড়াখুঁড়ি। আর বাকি অর্ধেক সময় রাস্তা থাকে বৃষ্টির পানির নিচে, তাহলে রাস্তা সংস্কার করে কী লাভ। যদি মানুষ রাস্তা ব্যবহার করতেই না পারে, তাহলে এগুলো সংস্কারের কী প্রয়োজন। দুর্ঘটনার ভয়ে অনেকে রিকশা ছেড়ে হেঁটে পার হচ্ছেন দীর্ঘ পথ। মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো চলাচলের সময় গর্তে আটকে যায়। ফলে সীমাহীন ভোগান্তি মেনে নিয়েই চলতে হচ্ছে তাদের। ঢাকার মুগদা বিশ্বরোড এলাকার অতীশ দীপঙ্কর সড়ক থেকে মান্ডা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণের কাজ দেড় বছর আগে শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। গত বছরের শুরুর দিকে কাজ শুরু হলেও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কার্যত কাজ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। ইট, বালু, খোয়া আর কংক্রিটের পাইপ পড়ে আছে দিনের পর দিন। সড়কটি খুঁড়ে রাখায় সে পথে চলতে ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ বেড়ে যায় আরও। এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন লাখো মানুষ চলাচল করে। সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কজুড়ে খোঁড়া গর্ত, ভাঙা ইট-পাথর, নির্মাণসামগ্রী আর ধুলার আস্তরণে পথচারীদের হাঁটা দায় হয়ে উঠেছে। বর্ষায় কাদায় পিচ্ছিল হয়ে যায় সড়ক, আবার রোদের সময় ধুলায় চোখেমুখে যন্ত্রণা। রিকশা, অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি চলতে পারলেও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পড়ে বিপাকে। এলাকার শিক্ষার্থী, অফিসগামী মানুষ, বৃদ্ধ ও রোগীরা পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের শুরুতে অনেক আনুষ্ঠানিকতা করে ড্রেনের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছিল। কংক্রিটের পাইপ এনে ফেলা হয়েছিল; কিন্তু কয়েক মাস পর কাজ ধীর হয়ে আসে, এখন একেবারে থেমে গেছে। এতে শুধু ধুলা নয়, বৃষ্টির সময় কাদা আর দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।’ স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক শিউলি আক্তার বলেন, ‘সকাল-বিকেল এখানে রিকশা উল্টে পড়ছে, লোকজন মাটিতে পড়ে যাচ্ছে, কারও পা মচকাচ্ছে, কারও কোমর ভাঙছে। এতদিন ধরে খোঁড়াখুঁড়ির পরও কাজ শেষ হচ্ছে না। এটা কি উন্নয়ন না ভোগান্তি, বোঝা যাচ্ছে না!’ একই ধরনের অভিযোগ করেন দোকানি আবু সালেহ। তিনি বলেন, ‘আমার দোকানে ধুলা ঢুকে সব পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিক্রিও কমে গেছে। কেউ রাস্তা দিয়ে হাঁটতেই চায় না, কেনাকাটা করবে কীভাবে?’ গুলশানের লেক রোডের অবস্থাও বেহাল। নির্মাণের পর একবারও সংস্কার করা হয়নি সড়কটি। শাহজাদপুরের বাসিন্দা ইমরুল কায়েস বলেন, ‘লেকপাড়ের এ সড়কটি দিয়ে খুব সহজেই গুলশান, বনানী, বারিধারায় যাতায়াত করা যায়; কিন্তু সড়কটি দিন দিন নালায় পরিণত হচ্ছে। ঠিকমতো যানবাহন চলতে পারছে না। অথচ এ সড়কটি সংস্কার করলে প্রগতি সরণিতে গাড়ির চাপ কিছুটা কমত।’ এলাকাবাসী জানান, ১০ থেকে ১২ বছর ধরে রাস্তার তেমন কোনো সংস্কারকাজই হয়নি। এতে অনেক সড়কেরই বেহাল দশা। সিটি করপোরেশনের আওতায় আসা নতুন ওয়ার্ডগুলোর মধ্যেও রয়েছে অনেক অবহেলিত সড়ক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১ হাজার ৬৫৬ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে গত বর্ষায় ২১৪ কিলোমিটার সড়ক এবং ২৭ কিলোমিটার ফুটপাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় রয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার সড়ক। এর মধ্যে ১৫০ কিলোমিটার সড়ক গত বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে মেরামত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংস্থা দুটির প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু জামানত নিয়ে ঠিকাদারদের ছাড় দিলে হবে না; বাধ্য করতে হবে সময়মতো কাজ শেষ করার। নিয়মিত তদারকির পাশাপাশি ঠিকাদার নিয়োগেও হতে হবে আরও কঠোর। তারা বলছেন, এসব সংস্কারকাজের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে আনতে হবে সমন্বয় ও পূর্ব প্রস্তুতি। একই সঙ্গে প্রয়োজন আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও দক্ষ কর্মী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নীলক্ষেত সংলগ্ন মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ থেকে টিএসসি এলাকার রাজু ভাস্কর্যের আগ পর্যন্ত রাস্তা খুঁড়ে নিচ দিয়ে ওয়াসার লাইন বসানোর কাজ চলছে। নীলক্ষেত থেকে শুরু হয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসের ওপর দিয়ে এ লাইন যাবে সচিবালয়ের দিকে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের। উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় জনভোগান্তির সমার্থক খোঁড়াখুঁড়ি আর জলাবদ্ধতা। দক্ষিণখানের হাজি ক্যাম্পের পাশের মার্কেটের ব্যবসায়ী জামান হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির জন্য আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি। রাস্তা উঁচু করা হচ্ছে; কিন্তু এতে জলাবদ্ধতা কমবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ তখন সড়কের তুলনায় আশপাশের ঘরবাড়ি অনেক নিচু হয়ে যাবে। যদি ড্রেন গভীর না হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে পানি সরবে না। উলটো আমাদের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাবে।’ ইসিবি চত্বর থেকে মানিকদি, বাইগারটেক ও বাউনিয়া বাজার হয়ে জসীমউদ্দীন পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমটিার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। খানাখন্দ ও জলাবদ্ধ সড়কে যনবাহন উল্টে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে থাকলেও এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই নগর কর্তৃপক্ষের। মিরপুরে ভাঙাচোরা সড়ক উন্নয়নকাজে ধীরগতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। বিশেষ করে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নকাজের জন্য বড় বড় গর্ত ও মাটি খুঁড়ে রাখায় যানজটসহ নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ পাইকপাড়া ও পুরাতন কাজি অফিসের গলির সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নকাজ চলাসহ স্লাব দিয়ে রাখা হয়েছে। রাস্তা থেকে ড্রেনের মাটি উঁচু হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। কুড়িল থেকে প্রগতি সরণি হয়ে মালিবাগ-যাত্রাবাড়ী সড়ক পিচ উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। খিলগাঁও ফ্লাইওভার থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে থেকে মুগদা বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়কের অবস্থা আরও নাজুক। রাজধানী ঢাকার সড়কের এমন বেহাল দশা শুধু এ কয়েকটি জায়গাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বড় সড়কগুলোর পাশাপাশি নগরীর বেশিরভাগ অলিগলিও খানাখন্দে ভরে গেছে। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন সংযুক্ত এলাকাগুলোর অবস্থা বেশি নাজুক। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নামমাত্র যে সংস্কার করা হচ্ছে, তা জনদুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর হচ্ছে না। কাকরাইল, নয়াপল্টন, মতিঝিল, মৌচাক, মানিকনগর, টিটিপাড়া, গোপীবাগ, মালিবাগ, রাজারবাগ, সায়েদাবাদ, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, টিকাটুলী, নারিন্দা, দয়াগঞ্জ, কমলাপুর, খিলগাঁও এবং পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সড়কে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভাটারা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, নাছিরাবাদ, মোহাম্মদপুর, রাজাবাজার, মিরপুর, নতুন বাজার ও উত্তরার কয়েকটি সড়কসহ নগরীর অধিকাংশ অলিগলির সড়কের বেহাল অবস্থা। কোনোটা বছরখানেক সময় ধরে, আবার কোনোটা হয়তো কয়েক মাস ধরে পড়ে আছে একই রকম বেহাল অবস্থায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘যেসব সড়ক সংস্কার প্রয়োজন সেগুলোয় কাজ চলছে। সড়ক মেরামত দুভাবে করা হয়। কোথাও ছোট গর্ত থাকলে সেটা তাৎক্ষণিক সংস্কার করা হয়, যা তিন দিনের বেশি সময় লাগে না। আবার বড় সংস্কারের প্রয়োজন হলে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে।’ মুগদা এলাকার সড়কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এলাকাবাসী সড়কের জায়গা না ছাড়ায় কাজ আটকে রয়েছে। রাজউকের প্ল্যান অনুযায়ী ৫০ ফুট জায়গা ছাড়ার কথা ছিল। কাজ শুরুর সময় স্থানীয়রা ৫০ ফুট জায়গা ছাড়তেই রাজি ছিলেন। কিন্তু গত বছর সরকার পরিবর্তনের পর অনেকে ৫০ ফুট থেকে একেবারে ২৫ ফুটে নেমে এসেছেন। সম্প্রতি তাদের ডেকে বৈঠক করেছি। তাদের কেউ ২৫ ফুট, কেউ ৩০ ফুট পর্যন্ত জায়গা ছাড়তে চান। তাদের পুরো সড়কে ৩০ ফুট করে জায়গা ছাড়তে বলা হয়েছে। সড়কের জায়গা ছাড়লেই দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হবে।’
বিশেষ সহকারী
দুদককে থামিয়ে দিতে বিশেষ সহকারীর চিঠি
চাহিদা মাত্র ২৬ টেরাবাইট ব্যান্ডউইথের, অথচ কেনা হচ্ছে ১২৬ টেরাবাইট সক্ষমতার যন্ত্রপাতি, তাও প্রায় ৩২৬ কোটি টাকায়। যেখানে প্রকৃত প্রয়োজন মেটাতে সর্বোচ্চ ১৬৫ কোটি টাকা যথেষ্ট। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সুপারিশ, এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্পষ্ট আপত্তিও উপেক্ষা করে অপ্রয়োজনীয় এই যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নিচ্ছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। তথ্য বলছে, এই প্রক্রিয়া সচল রাখতে দুদকের কার্যক্রমে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। যিনি নিজ প্যাডে চিঠি দিয়ে প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। পরীক্ষায় যথাযথ ফল না পাওয়া এসব যন্ত্রপাতির কার্যকারিতা ৬-৮ বছর এবং শেষতক ভাঙাড়ি হিসেবে বিক্রির শঙ্কা থাকলেও টাকার স্রোত থামাতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা। তদন্তের তথ্য-উপাত্ত বলছে, সরকারের শতকোটি টাকা গচ্চার শঙ্কা রয়েছে। প্রযুক্তির আড়ালে চলছে গোপন লুটপাটের আয়োজন। দুদক চেয়ারম্যানকে কোম্পানির সাফাই গেয়ে বিশেষ সহকারীর চিঠি দেওয়াকে দুদকের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পতিত হাসিনা সরকারের আমলে লুটপাটের উদ্দেশ্যে নেওয়া একটি বিতর্কিত ও উচ্চাভিলাষী প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রভাবশালী মহলের এসব তদবির এবং চেষ্টা নিঃসন্দেহে পরিবর্তিত বাংলাদেশে খারাপ নজির হয়ে থাকবে। তবে দুদক চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব কালবেলাকে বলেছেন, তার এই পদক্ষেপে সরকারের ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া দেশের দুটি প্রভাবশালী কোম্পানি চাচ্ছে না যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ট্রান্সমিশন ব্যবসায় থাকুক। তারা সরকারি কোম্পানিকে ভবিষ্যতের সক্ষমতা বিস্তৃতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ পূরণ করে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বাকি ৩০ শতাংশ সরবরাহ করে বিটিসিএল। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে তিনটি কোম্পানি দেশের ইন্টারনেট চাহিদা পূরণ করে। কোম্পানিগুলো সারা দেশে ব্রডব্যান্ড লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়। প্রতিটি মোবাইল ফোন অপারেটর ব্যান্ডউইথের বড় ক্রেতা। এসব কোম্পানি পাইকারি কিনে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে খুচরা ইন্টারনেট বিক্রি করে। বর্তমানে বিটিসিএল চাহিদা পূরণে ব্যান্ডউইথ ধারণের জন্য মাত্র ৭ টেরাবাইট সক্ষমতার অবকাঠামো ব্যবহার করে। বিটিসিএলের সক্ষমতা বাড়াতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ‘ফাইভজি উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়। বুয়েটের মাধ্যমে প্রকল্পের ফিজিবিলিটি পরীক্ষা করা হয়। এতে খরচ হয় প্রায় ২৮ লাখ টাকা। বুয়েটের ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী দল দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলার বিদ্যমান ব্যান্ডউইথ ব্যবহার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা ব্যান্ডইউথ ইত্যাদি বিবেচনা করে একটি সূত্রের মাধ্যমে ২০৩০ সালে বিটিসিএলের ব্যান্ডউইথ চাহিদা ২৬ দশমিক ২ টেরাবাইট নির্ধারণ করে। এই ব্যান্ডউইথ সরবরাহের জন্য বুয়েট ১০০জি লাইন কার্ড স্থাপনের সুপারিশ করে। বুয়েট এ সমীক্ষাটি চালায় করোনাকালীন। সে সময়ে দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার সর্বোচ্চ ছিল। তবে বুয়েটের প্রতিবেদন উপেক্ষা করে সুকৌশলে ২৬ টেরাবাইটের পরিবর্তে ১২৬ টেরাবাইটের যন্ত্রপাতি কেনার ফন্দি আঁটেন তৎকালীন হাসিনা সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। ২৬ টিবিপিএসে সর্বোচ্চ ১৫ মিলিয়ন ডলার (দরপত্র আহ্বানের সময় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১১০ টাকা হিসাবে ১৬৫ কোটি টাকা) খরচে যে কাজ করা সম্ভব ছিল, সেটা করতে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৩২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে যন্ত্রপাতি কেনার সব আয়োজন চূড়ান্ত করে। অবশ্য ডলারের বর্তমান বিনিময় হার ধরলে টাকার অঙ্ক আরও বেশি। যা বলছে বুয়েটের সমীক্ষা: বুয়েটের সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে জেলার মধ্যে ব্যান্ডউইথ চাহিদার ঐতিহাসিক তথ্য না থাকায় বুয়েট টিম একটি নতুন সূত্র তৈরি করেছে ২০৩০ সালের জন্য। এই সূত্রে প্রতিটি উপজেলায় জনসংখ্যা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ইপিজেড, সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে ব্যান্ডউইথের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ঢাকা জেলার বর্তমান ব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএস। বুয়েটের পরামর্শে এখানে আরও ৩৮০০ জিবিপিএস বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাহলে সর্বমোট জিবিপিএস বেড়ে দাঁড়াবে ৪২০০। একইভাবে বরগুনায় চলমান ১২ জিবিপিএসের সঙ্গে ২০০ জিবিপিএস অতিরিক্ত, বরিশালে ৬০-এর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৪০০, ভোলায় ১৩ জিবিপিএসের সঙ্গে আরও ৩০০ জিবিপিএস, চট্টগ্রামে ১৪০ জিবিপিএসের সঙ্গে আরও ১২০০ জিবিপিএস অতিরিক্তি, কক্সবাজারে ৪১ জিবিপিএসের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৫০০, গাজীপুরে ১১০ জিবিপিএসের সঙ্গে আরও ৫০০ জিবিপিএস অতিরিক্ত, মাদারীপুরে ১১ জিবিপিএসের সঙ্গে আরও অতিরিক্ত ৩০০ জিবিপিএস, খুলনায় ৭০ জিবিপিএসের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৫০০, ময়মনসিংহে ৪৫ জিবিপিএসের সঙ্গে আরও অতিরিক্ত ৮০০ জিবিপিএস এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১১ জিবিপিএসের সঙ্গে আরও অতিরিক্ত ৩০০ জিবিপিএস যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে বুয়েট। জানা গেছে, ১০২৪ জিবিপিএসে ১ টেরাবাইট। আর বুয়েট ঢাকা বিভাগের জন্য সর্বোচ্চ সুপারিশ করেছে ৩৮০০ জিবিপিএস বা ৩ দশমিক ৭১ টিবিপিএস। সব মিলিয়ে ৬৪ জেলায় ২০৩০ সালে সর্বোচ্চ ব্যান্ডউইথ লাগতে পারে ২৬ দশমিক ২ টেরাবাইট। জানা গেছে, যে কেবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হবে, সেই কেবল সাধারণত ৩ ধরনের। এগুলো হলো ১০জি, ১০০জি ও ৪০০জি। বুয়েট এ ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে জেলা শহরের জন্য সুপারিশ করেছে ১০০জি লাইন। আর জেলা শহর থেকে উপজেলায় প্রস্তাব করা হয়েছে ১০জি লাইন। ১০০জি লাইন দিয়ে ১০০ টেরাবাইট ডাটা/ব্যান্ডউইথ স্থানান্তর হতে পারে। আর এসব লাইন অ্যাসন (Ason) বেজড করার কথা বলা হয়েছে। অ্যাসন লাইনের বিশেষত্ব হলো, কোনো একটি জেলা শহরে কেবল কাটা পড়লেও অন্য লাইন দিয়ে ব্যান্ডউইথ ওই জেলা শহরে পৌঁছে যাবে। ঢাকা জেলায় বর্তমানে ব্যবহারিত হচ্ছে ৪০০ জিবিপিএস। এর সঙ্গে প্রস্তাবিত ৩৮০০ জিবিপিএস যুক্ত হলে মোট ব্যান্ডউইথের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪২০০ জিবিপিএস বা ৪ দশমিক ১০ টেরাবাইট। আর সারা দেশে এর পরিমাণ হতে পারে সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ২ টেরাবাইট। বুয়েটের সুপারিশ করা ১০০জি কেবল দিয়ে ১০০ টিবিপিএস বা তার চেয়েও বেশি ডাটা/ব্যান্ডউইথ চলাচল করতে পারবে। অর্থাৎ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তাব করেছে বুয়েট। তবুও বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে ৪০০জি লাইন স্থাপনের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে মন্ত্রণালয়। এতে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণে অর্থ অপচয় হবে। যা বিদেশে চলে যাবে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই প্রকল্প নিয়ে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বাব এবং সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। তারা দুজনেই তাদের পছন্দের আলাদা আলাদা ঠিকাদারকে কাজ দিতে চাইছিলেন। তবে অন্যায় আদেশ না মেনে দরপত্র বাতিল করেছিলেন বিটিসিএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী। যার জেরে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। প্রথমে স্ট্যান্ডরিলিজ ও পরে সাময়িক বরখাস্ত এবং একাধিক বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। যদিও আদালতের আদেশে সেই মামলা স্থগিত রয়েছে। এরপর সাবেক আরেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সচিবের সখ্যতায় সব নিয়মকানুন উপেক্ষা করে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেডকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। অন্যদিকে বিটিসিএল এমডি আসাদুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সব বিভাগীয় মামলা আদালতের রায়ে স্থগিত হলে ওই অসাধু সিন্ডিকেট অভিযোগ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশনে। দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগে প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পিপিএ-২০০৬-এর ধারা ৮ এবং পিপিআর-২০০৮ এর বিধি (১১), (৮৪) এর (গ) (৫) অনুসরণ না করে বাতিলপূর্বক ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অপরাধ করার অভিযোগ আনা হয়। তবে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। দুর্নীতি দমন কমিশন দেখতে পায় ঘটনা ঠিক উল্টো। এরপর দুদক প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু করলে বন্ধ হয়ে যায় সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া। অনুসন্ধানে দুদক পদে পদে অনিয়মের প্রমাণ পায়। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি গোপনীয়তার শর্ত লঙ্ঘন, অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় করে সরকারি বিপুল অর্থের অপচয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, পিপিআর লঙ্ঘন, বুয়েটের প্রস্তাবের চেয়ে চার গুণ বেশি যন্ত্রাংশ ক্রয় চেষ্টার সত্যতা পায়। অভিযোগটি এখনো দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানাধীন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ যন্ত্রপাতি ৬ থেকে ৮ বছর কার্যকর থাকে। এরপর এসব যন্ত্রপাতি কোনো কাজে লাগে না। চিপসসেট পরিবর্তন হয়। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে আসে আরও উন্নত যন্ত্রাংশ। এসব বিষয় মাথায় রেখেই প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা করতে হয়। বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি অপারেটর মিলিয়ে যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ বহন করছে, তাতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ২ টেরাবাইট সামর্থ্যের যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলও তাই প্রস্তাব করেছে। অথচ ২৬ টেরাবাইটের পরিবর্তে ১২৬ টেরাবাইটের যন্ত্রপাতি কেনা হলে বাড়তি যন্ত্রাংশ কোনো কাজেই আসবে না। ৬ থেকে ৮ বছর পর এসব যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে পড়ে থাকবে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্ষমতার পটপরিবর্তনে পুরোনো সিন্ডিকেট আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রকল্পের সরঞ্জাম আমদানি করতে জোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওই সিন্ডিকেটের প্রধান বাধা দুর্নীতি দমন কমিশন। তাই প্রথম গত ১৩ এপ্রিল ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে দুদকে চিঠি দিয়ে প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। গত ১৮ জুন মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাব দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের তৎকালীন সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়, ‘এ প্রকল্পের ক্রয় প্রক্রিয়ার অবশিষ্ট কার্যক্রম এগিয়ে/চালিয়ে নিলে তা আইনের ব্যত্যয় হবে বলে প্রতীয়মান হয় এবং সংশ্লিষ্ট অর্থ ব্যয় আইনসিদ্ধ হবে না বলে অনুমেয়।’ দুদকের এই মতামত পাওয়ার পর ২২ জুন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব তার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্যাডে একটি আধা সরকারি পত্র দেন দুদক চেয়ারম্যানকে। তাতে এই প্রকল্পের সুফল ও গুরুত্ব তুলে ধরে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘দেশের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় ফাইভ-জির রেডিনেস পিছিয়ে পড়া রোধ, প্রযুক্তিগতভাবে বিটিসিএলের পিছিয়ে পড়া রোধ, এডিপি বাস্তবায়নের হার নিশ্চিত করাসহ নানা কারণে এই প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রাখা একান্ত প্রয়োজন।’ এ ক্ষেত্রে তিনি বুয়েটের ২৬ টেরাবাইট প্রয়োজনীয়তার প্রতিবেদন উপেক্ষা করে নিজের মতো যুক্তি উপস্থাপন করে বলেছেন, হুয়াইয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি এবং এসব ইকুইপমেন্টস বর্তমানে বাংলাদেশের বেসরকারি ট্রান্সমিশন কোম্পানিগুলো ব্যবহার করছে। বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত এসব পণ্য বিটিসিএলের উচ্চ ক্ষমতার ট্রান্সমিশনে এলে একদিকে যেমন সরকারের বাড়তি সুফল, অন্যদিকে এ খাতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য হ্রাস পাবে। প্রকল্পটির বিরুদ্ধে দরকারের তুলনায় পাঁ চগুণ বেশি ক্যাপাসিটির যে অভিযোগ এসেছে, বাস্তবে তা সত্য নয়। বরং দেশের বর্তমান ইন্টারনেট ফুটপ্রিন্ট প্রায় ৩৫ টেরাবাইটের কাছাকাছি এবং ইন্টারনেট ক্যাপাসিটির চাহিদা বৃদ্ধির বার্ষিক হার প্রায় ৫০ শতাংশ। এমতাবস্থায় আগামী এক যুগের চাহিদার আলোকে ১২৬ টেরাবাইটের ক্যাপাসিটি মোটেই বেশি নয়, বরং ২৬ টেরাবাইটের হিসাব ভুল এবং অপরিণামদর্শী। তদুপরি প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অধিক ক্যাপাসিটির নিশ্চয়তা জনস্বার্থে কল্যাণকর। এমতাবস্থায় দেশের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা, ৫জির রেডিনেস পিছিয়ে পড়া রোধ, প্রযুক্তিগতভাবে বিটিসিএল পিছিয়ে পড়া রোধ, এডিপি বাস্তবায়নের হার নিশ্চিত করা এবং এ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিটিসিএলের অপর একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এরই মধ্যে স্থাপিত যন্ত্রপাতি চালুর লক্ষ্যে বিটিসিএলের ‘৫জির উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রাখা একান্ত প্রয়োজন। এরপর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত মনোযোগ ও আন্তরিক সহযোগিতা চান। গত এক সপ্তাহ ধরে মন্ত্রণালয় ও দুদকের একাধিক সূত্র থেকে এসব চিঠিপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করেছে কালবেলা। জানতে চাইলে হুয়াওয়ের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স এবং কমিউনিকেশন বিভাগের সাউথ এশিয়ার এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন প্রধান তানভীর আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘এ প্রকল্পটি পাওয়ার পর থেকেই আমাদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। আমরা এ কাজটা করতে চাই। আমরা তো বৈধভাবেই সব নিয়ম-কানুন মেনেই কাজটা পেয়েছি।’ পিপিআরের গোপনীয়তার শর্ত লঙ্ঘনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আরও অনেক আগের ঘটনা। পরবর্তী সময়ে সিপিপিটিইউর মাধ্যমে এ বিষয়ে সমাধান হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সম্প্রতি দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন হুট করে একটা চিঠি দিয়ে বলেছেন, যে প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। এটা উনি কিসের ভিত্তিতে বললেন?’ দুদক সচিব হুট করে নয় বরং মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাব দিয়েছেন উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ‘তাহলে উনি ওএসডি হলেন কেন?’ খোরশেদা ইয়াসমীন অবসরে যাবেন তাই তাকে দুদক থেকে সরিয়ে জনপ্রশাসনে সংযুক্ত করা হয়েছে জানালে তানভীর আহমেদ বলেন, ‘যাই হোক, উনি তো এটা (চিঠি) দিতে পারেন না।’ এরপর তানভীর আহমেদ হুয়াওয়ে এবং এ প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখন কিছুই বলতে পারব না। আর আমি এ বিষয়ে কিছু জানিও না।’ যা বলছে দুদক: দুদকের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘এ প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা ক্রিমিনাল অফেন্স। আর ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো সুপারিশের সুযোগ নেই। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দুর্নীতি দমন কমিশন মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাব দেওয়ার পরও বিশেষ সহকারী তার নিজ প্যাডে আধাসরকারি পত্র পাঠিয়ে মূলত দুদককেই একটা প্রচ্ছন্ন হুমকি দিলেন। এ ধরনের কার্যক্রম দুদকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল।’ জানতে চাইলে দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মইদুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কেউই দুদকে এ ধরনের চিঠি দিতে পারেন না। এ ধরনের চিঠি দেওয়া উচিত নয়। এতে দুদক বিব্রত হয়। দুদকের নিজস্ব আইন ও বিধিবিধান রয়েছে। দুদক সেগুলো অনুযায়ী কাজ করে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি করলে দুদক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এটাই হওয়া উচিত। এ ধরনের চিঠিতে অনেক সময় অ্যামব্যারাসিং পরিস্থিতি তৈরি হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুদক তো প্রকল্প চালিয়ে নিতে বলতে পারে না। আর প্রকল্প চালিয়েই বা নেবে কীভাবে, সেই প্রকল্পের অনুমোদনই যদি আইনসংগত না হয়?’ ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যাখ্যা: জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব কালবেলাকে বলেন, ‘আমি আমাদের দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চিঠি দিয়েছি। এটা নিয়ে কথা বলতে আমি দুদকেও গিয়েছি। দুদকে আমি আমার টিম নিয়ে গিয়েছি। এটার ব্যাকগ্রাউন্ডটা হচ্ছে এ প্রকল্পটা অনেক আগে থেকে হচ্ছে। যে ইক্যুইপমেন্ট কেনার কথা, সেই ইক্যুইপমেন্ট বাংলাদেশে সামিট এবং ফাইভার এট হোমের আছে। তবে অভিযোগ আছে, চায়নিজ দুটি ভেন্ডর জেডটিই এবং হুয়াওয়ে নিজেদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারে এখানে আনফেয়ারনেস (অসামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ) করেছে। এটা আমি অনেক আগে একটা লেটার (চিঠি) দিয়েছি। সেই লেটারের মধ্যে বিস্তারিত বলেছি।’ চিঠি দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘চিঠিটা আমি এ কারণে দিয়েছি যে, প্রথমত প্রকল্পটা যদি না করে, তাহলে আমাদের ২৯০ কোটি টাকার যে ই-রিভার্সেবল এলসি; যে টাকাটা পেমেন্ট হয়ে গেছে। এটা আমরা দায়িত্বে আসার আগে, আমি এবং নাহিদ ইসলাম দায়িত্বে আসার আগেই সেই টাকা পেমেন্ট হয়ে গেছে। সেটা মার যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের দুটা প্রভাবশালী কোম্পানি চাচ্ছে না বিটিসিএল ট্রান্সমিশন ব্যবসায় থাকুক। তারা সরকারি কোম্পানিকে ভবিষ্যতের ক্যাপাসিটি এক্সপানশন (সক্ষমতার বিস্তৃতি) থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এখন যে ইক্যুইপমেন্ট দিচ্ছে সেই ইক্যুইপমেন্টে কোনো সমস্যা নেই। এটা বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত। তাই আমি দুদক চেয়ারম্যানকে লিখেছি, যেহেতু আমার টাকা চলে গেছে এবং এখন আমি যদি রি-টেন্ডার করি তাহলে ২৯০ কোটি টাকা চলে যাচ্ছে, এ ছাড়া একই দিকে ৬০০ কোটি টাকার বেশি লাগবে ন্যূনতম। তাহলে দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রের ৯০০ কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। সে জন্য আমি দুদক চেয়ারম্যানকে বলেছি, স্যার আপনি আমাকে এ কাজটা করতে দেন। উনি বলেছেন, “আপনি এনশিওর করবেন রাইট ইক্যুইপমেন্ট দেশে আসছে”। সেজন্য আমি বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলেছি, আপনারা এ খাতের যারা বিশেষজ্ঞ তাদের দিয়ে একটা কমিটি করেন। যাতে যেই প্রমিস ইক্যুইপমেন্টটা (দরপত্র অনুযায়ী যা দেওয়ার কথা) আছে সেই প্রমিস ইক্যুইপমেন্টটা দেশে আসে।’ ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, ‘আমি অর্থ ছাড় করিনি। আমি এবং নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার অনেক আগেই রাষ্ট্রের অর্থ গচ্চা গেছে। এখন দুদক যদি মনে করে এ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে, দুদক অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শাস্তি দিতে পারে। আর একটা কথা আছে— আমরা সন্দেহ করি কিছু লোক, বেসরকারি যে মাফিয়ারা আছে, তারা প্রভাবিত হয়ে এ কাজটা বন্ধ করে দিতে চায়। কারণ এখানে দুটা বিশেষ কোম্পানি চায় না যে বিটিসিএল ট্রান্সমিশন ব্যবসায় থাকুক।’ যা বলছে টিআইবি: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘প্রশ্ন হচ্ছে প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার যৌক্তিকতা নির্ধারণে যথাযথভাবে কস্ট-বেনিফিট ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা হয়েছে কি না। বিশেষ করে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নির্ভর পর্যালোচনা যদি না হয়ে থাকে, তবে তা হবে প্রকারান্তরে দুর্নীতি সহায়ক ও সুরক্ষামূলক। হুয়াওয়ে নিঃসন্দেহে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশাল গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি, তবে একই সঙ্গে এ কোম্পানি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এলসির অর্থ লোকসানের যুক্তিতে প্রকল্প এগিয়ে নিলে রাষ্ট্রের আরও বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া বা তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সিদ্ধান্ত যা-ই হোক, কোনো প্রকারেই তা যেন দুর্নীতির তদন্তকে প্রভাবিত না করে এবং তদন্তাধীন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে সংশ্লিষ্টতার সহায়ক না হয়।’
ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ‘চড়-থাপ্পড়ের বদলা’
মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড / ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ‘চড়-থাপ্পড়ের বদলা’
কুমিল্লার মুরাদনগরে পাশবিকতার শিকার নারীকে বিবস্ত্র করে যারা ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দিয়েছিল যোগাযোগমাধ্যম ইমোতে, তাদের ডেকে এনেছিল শাহ পরাণ—যিনি এ ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ফজর আলীর ছোট ভাই। মূলত বড় ভাইয়ের হাতে ‘চড়-থাপ্পড়’ খেয়ে এর বদলা নিতে ওই রাতে সে পরিকল্পিতভাবে মব সৃষ্টি করেছিল। এরপর ধর্ষক ফজর আলীসহ নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করে তার লোকজন। শাহ পরাণকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য সামনে এসেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। গত বৃহস্পতিবার র‌্যাব-১১-এর একটি দল কুমিল্লা জেলার বুড়িচংয়ের কাবিলা বাজার এলাকা থেকে শাহ পরাণকে (২৮) গ্রেপ্তার করে। এর পর গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনার মূল আসামি ফজর আলীকে শায়েস্তা করতে তার ছোটভাই শাহ পরাণই সেদিন মব তৈরির পরিকল্পনা সাজিয়েছিল। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী তার সঙ্গীরা ঘরে প্রবেশ করে ওই নারীকে শারীরিক নির্যাতন করে। সেই ঘটনার ভিডিও করে পরে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। গ্রেপ্তার শাহ পরাণই মব সৃষ্টির কারিগর, প্রধান উসকানিদাতা ও পরিকল্পনাকারী। র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘শাহ পরাণ ও ফজর আলী—দুই ভাই ভিকটিমকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। পরে এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ সৃষ্টি হয়। ওই দ্বন্দ্ব মেটাতে মাস দুয়েক আগে দুই ভাইকে নিয়ে গ্রামে একটি সালিশ হয়। সেখানে পরাণকে চড়-থাপ্পড় দেয় ফজর আলী। সে কারণে শাহ পরাণ তার বড় ভাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করে। ঘটনার রাতে সুদে দেওয়া টাকা আদায়ের নামে ফজর আলী ভিকটিমের ঘরে যায়। বিষয়টি ছোট ভাই শাহ পরাণ জানতে পেরে তার লোকজনকে খবর দেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ফজর আলী ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পর শাহ পরাণের লোকজন সেখানে প্রবেশ করে ভিকটিমকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়। র্যাব অধিনায়ক জানান, ফজর আলী ভিকটিমের ঘরে যাওয়ার তথ্য পেয়ে শাহ পরাণ ইমোর মাধ্যমে একটা মেসেজ দেয় নিজের লোকজনকে। সময় জানিয়ে বলা হয়, ফজর আলী যাবে, তোমরা যদি ধরতে চাও ধরতে পার। র্যাবের ভাষ্য, মূলত দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের জেরে ঘটনাটা ঘটানো হয়েছে। দীর্ঘদিন তারা ভিকটিমকে উত্ত্যক্ত করছিল। দুই ভাই একজনের পেছনে ছুটছে, সেখান থেকে দ্বন্দ্ব। গ্রাম্য সালিশে ফজর আলী কর্তৃক হেনস্থার শিকার হয় শাহ পরাণ। সেটারই প্রতিফলন সেদিনের মবের ঘটনা। সংবাদ সম্মেলনে শাহ পরাণের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে র্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ বলেন, ‘অপরাধ অপরাধই, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচ্য বিষয় নয়। সে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাইনি।’ অবশ্য মুরাদনগরের স্থানীয় লোকজন কালবেলাকে জানিয়েছেন, এ শাহ পরাণ এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে বখাটে একটা গ্রুপ নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছিল।
মহাসড়কে বাড়ছে মৃত্যু, ৬ মাসে ১৪শ দুর্ঘটনা
মহাসড়কে বাড়ছে মৃত্যু, ৬ মাসে ১৪শ দুর্ঘটনা
মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি বাসের ছাদ উড়ে যাওয়ার ঘটনা ঈদের আগে বেশ আলোচিত হয়েছিল। বেপরোয়া গতি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার দৃষ্টান্ত চোখের সামনে তুলে ধরে ওই ঘটনা। এ ঘটনার আগে-পরেও একের পর এক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়ে। সর্বশেষ গত শনিবার এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবাহী একটি বাস ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে বাসের তিন যাত্রী ও ট্রাকচালকের সহকারীর মৃত্যু হয়। এর আগে গত এপ্রিলের শেষদিকে একই পথে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের এক আরোহীর মৃত্যু হয়। আবার ৮ মে অ্যাম্বুলেন্স ও বাসের সংঘর্ষে নিহত হয় পাঁচজন। শুধু যে রাজধানী থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী জাতীয় মহাসড়কের অবস্থা এমন তা নয়, দেশের অন্য জাতীয় মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু বাড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে সারা দেশে জাতীয় মহাসড়কে ২০৯টি দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়, যে সংখ্যাটি জুনে বেড়ে দাঁড়ায় ২৯৬-এ। অর্থাৎ চার মাসের ব্যবধানে দেশের জাতীয় মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৪১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ফাউন্ডেশনের পাওয়া তথ্য বলছে, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে দেশের জাতীয় মহাসড়কে মোট এক হাজার ৩৯৭টি দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ২১৪টি, মার্চে ২২৮টি, এপ্রিলে ২১৩টি এবং মে মাসে ২৩৭টি দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, জাতীয় মহাসড়কগুলোর মান যে হারে উন্নত হয়েছে, সেই হারে এসব সড়কে চলা গণপরিবহনগুলোর মান বাড়েনি। ফলে দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে। আবার জাতীয় মহাসড়কে চলার মতো উপযুক্ত ফিটনেস নেই বেশিরভাগ গাড়ির। সেইসঙ্গে চালকদের উন্নত প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। এতে অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআইআর) পরিচালক অধ্যাপক শামছুল হক কালবেলাকে বলেন, দুর্ঘটনার মাত্রা বাড়ার এমন চিত্র ভয়ংকর। দুর্ঘটনার পেছনে মূল কারণ বিশৃঙ্খলা। অবৈধ গাড়ি মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে তিন চাকার যানে দুর্ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দুর্ঘটনা বাড়ছে তিন চাকার যানে: গবেষণা-সচেতনতা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য রোডের তথ্য বলছে, ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত গত ছয় মাসে সড়কে ১৭ হাজার ৯৫৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত দুই হাজার ৭৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৭ হাজার ৮২৬ জন। গত ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, অটোরিকশার মতো তিন চাকার যানে। এসব যান-সংশ্লিষ্ট ৮ হাজার ৮১২টি দুর্ঘটনায় ৭৯৫ জন নিহত ও ৮ হাজার ৮১৫ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে তিন হাজার ৪০৪টি বাস দুর্ঘটনায় ৮২৫ জন নিহত ও ৩ হাজার ৩১৮ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই সময়ে তিন হাজার ৭১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৬৭৩ জন নিহত ও তিন হাজার ৬২৩ জন আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক (রোড সেফটি) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস কালবেলাকে বলেন, জাতীয় মহাসড়কে শৃঙ্খলা রাখতে স্থানীয় পর্যায়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেন্দ্রীয়ভাবে সারা দেশের জাতীয় মহাসড়ক নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংযোগ সড়কে মনিটরিং বাড়াতে পারলে মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব। আঞ্চলিক সড়কও ঝুঁকিতে: গত ছয় মাসের হিসাব বিবেচনা করলে আঞ্চলিক সড়কে দুর্ঘটনার মাত্রা কিছুটা কমের দিকে, যদিও তা একেবারে আশঙ্কামুক্ত পর্যায়ে নয়। গত ছয় মাসের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে সর্ব্বোচ ২৬৮টি দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে, সবচেয়ে কম ২১৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মে মাসে। তবে মোট দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কের চেয়ে আঞ্চলিক সড়কে বেশি। গত ছয় মাসে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে ১ হাজার ৪৮৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আনফিট যানবাহন চলাচলের আধিক্য, অধিক হারে ছোট ও মাঝারি যান চলাচল, অনুমোদনহীন তিন চাকার যান চলাচল, সড়কে পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলার অভাব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি কম থাকা, রাস্তার পাশে ঘন ঘন বাজার বসার মতো বিষয়গুলো দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করেছে। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে তিন চাকা ও ছোট যানবাহনের কারণে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ দুর্ঘটনা বেড়েছে। ২০২৩ সালে মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে এবং ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে সংঘটিত হয়েছে। যদিও আগের বছরের তুলনায় গত বছর আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, গ্রামীণ সড়ক ও জাতীয় মহাসড়কের মধ্যে আঞ্চলিক সড়ক সেতুর কাজ করে। তাই এ জাতীয় সড়ককে বেশি নজরদারির আওতায় আনা জরুরি। হুট করে ছোট গাড়ি বড় সড়কে চলে আসে। তিন চাকার যানের পাশাপাশি মোটরসাইকেল একটা আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু বাড়াচ্ছে মোটরসাইকেল: গত পাঁচ বছরের হিসাব করলে দেখা যায়, সারা দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মোট ১১ হাজার ৮৬৪ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ২০২০ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪৬৩ জনের মৃত্যু হয়, যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৬০৯ জনে। এই সময়ে সড়কে বেড়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যাও। পাঁচ বছরের ব্যবধানে সড়কে মোটরসাইকেল বেড়েছে ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৩১৩টি। বিআরটিএর মোটরযান নিবন্ধনসংক্রান্ত নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২০ সালে সারা দেশে ২৮ লাখ ১৪ হাজার ৬৩৭টি নিবন্ধিত মোটরসাইকেল ছিল। ২০২৪ সালের শেষে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০টিতে। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল বেড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। গতির প্রতিযোগিতা কাড়ছে প্রাণ: সঠিক গতিতে যান চলাচল না করাকে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাণহানির অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে। যান চলাচলে অতিরিক্ত গতি কিংবা কম গতি দুটিই ক্ষতিকর। দুটিই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য দায়ী। নগর, আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কে যান চলাচলে নির্দিষ্ট গতি নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না বা মানা যাচ্ছে না। জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়কে দুর্ঘটনার জন্য গতির প্রতিযোগিতাকে দায়ী করছেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানও। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের বড় সড়কগুলোতে শুধু গতির প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এটা দেখার মতো প্রযুক্তিগত সক্ষমতাও আমাদের নেই। এমনকি পর্যাপ্ত হাইওয়ে পুলিশও নেই। তিন হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক হাইওয়ে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে, বাকি ছয় হাজার কিলোমিটার পথ খালি পড়ে থাকে। আর আঞ্চলিক সড়কে তো কোনো নজরদারিই নেই।’
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ 
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ 
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।  সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।  সংবাদ সম্মেলনে ঠিক কোন বিষয়ে তিনি কথা বলবেন তা স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্পে অর্থ ছাড় নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দেওয়া তার ডিও (ডেমি অফিসিয়াল) লেটার প্রসঙ্গেই তিনি গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিতে পারেন।  জানা গেছে, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একজন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ, টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক, জননীতি বিশ্লেষক ও প্রবন্ধকার। টেকসই উন্নয়নের নিরিখে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতিগত দিক, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ডিজাইন ত্রুটিসহ বিভিন্ন খাতের কারিগরি ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত সংস্কার এবং অটোমেশন তার লেখার মূল বিষয়। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ তৈয়্যব বর্তমানে সিনিয়র সফটওয়্যার সলিউশন আর্কিটেক্ট হিসেবে ‘ভোডাফোন জিজ্ঞো’ নেদারল্যান্ডস-এ কর্মরত ছিলেন। 
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বজ্রবৃষ্টির আভাস
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বজ্রবৃষ্টির আভাস
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে সারা দেশে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  সোমবার (৭ জুলাই) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের সই করা সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় এবং অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এদিন (৭ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 
জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 
জুলাই সনদ, বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত জুলাই সনদের জন্য অপেক্ষা করা হবে। আশা করা যায়, সরকারসহ সব পক্ষ এর মধ্যেই জুলাই সনদ ঘোষণা করবে। সোমবার (৭ জুলাই) সকালে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে রাজশাহীতে অবস্থানকালে তিনি এ কথা বলেন।  জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের স্বীকৃতি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানুষের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জুলাই সনদ প্রণয়ন এবং সংবিধানের অংশ হিসেবে ঘোষণার দাবি করে আসছে এবং তা এই মাসের মধ্যেই ঘোষণার দাবি করে তরুণ এই রাজনৈতিক দল। সরকারও এই সময়ের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে পারবে বলে আশা করছে। তবে গণ-অভুত্থান দিবস অর্থাৎ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকারের ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করবে এনসিপি। জুলাই সনদ, বিচার ও সংস্কার এবং জুলাই স্মরণে গত ১ জুলাই ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে এনসিপি। সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী এই কর্মসূচির গত ৬ দিনে ১৪টি জেলায় পদযাত্রা শেষ হয়েছে। সোমবার নাটোর হয়ে সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় যাবেন এনসিপি নেতারা।

জামায়াত নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চায় : গোলাম পরওয়ার

জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নয় জামায়াতে ইসলামী; বরং নির্বাচন ঘিরে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ চায় দলটি—এমন মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।  সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে আগামী ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের জন্য নির্ধারিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।  আসন্ন জাতীয় সমাবেশে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এই সমাবেশের উদ্দেশ্য হলো জাতীয় নির্বাচনের আগে সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা, পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার এবং বিচার ব্যবস্থার দৃশ্যমান অগ্রগতির দাবি সরকারের সামনে তুলে ধরতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।  পরিদর্শনে মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসেন হেলাল। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দামসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে এগোবে : মির্জা ফখরুল

বিএন‌পি মহাস‌চিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে এগোবে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের আয়োজন করবে অন্তর্বর্তী সরকার। এমনটাই আমাদের আশা। নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক পথে দেশ এগোবে।  সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় সি‌লেট পৌঁছে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শে‌ষে বিএন‌পি মহাস‌চিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবা‌দিক‌দের এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন, বিশেষ করে জুলাইয়ের রক্তাক্ত ছাত্র গণঅভ্যুত্থান, যে নতুন পথ দেখিয়েছে, তা বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করতে হবে।   দেশে বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হাজারও প্রাণহানি ঘটেছে।   এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিমানে সিলেটে এসে পৌঁছান।  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের আমন্ত্রণে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেট সফর করছেন। তারা দুপুরে সিলেট মহানগরের পাঠানটুলা এলাকার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন। দুপুর ২টায় সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে ২৪ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ কর্তৃক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার সিলেট জেলার সব শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠান মহানগরের দরগাহ গেট এলাকার হোটেল স্টার প্যাসিফিকে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সিলেট সফরে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডা. এ জেড এম জাহিদ, ইকবাল মাহমুদ টুকু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল কবির খোকনসহ আরও কয়েকজন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সিলেট এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি. কে. গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীম, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।

হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার জিয়ারত করলেন মির্জা ফখরুল

সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার জিয়ারত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে জিয়ারত করেন তিনি। এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে তিনি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছেন।  মাজার জিয়ারত শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের আশা, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের আয়োজন করবে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচনের মাধ্যমেই সঠিক পথে দেশ এগোবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকের আমন্ত্রণে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেট সফর করছেন। তারা দুপুরে সিলেট মহানগরের পাঠানটুলা এলাকার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন। পরে দুপুর ২টায় সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে ২৪ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ কর্তৃক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার সিলেট জেলার সব শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠান মহানগরের দরগাহ গেট এলাকার হোটেল স্টার প্যাসিফিকে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সিলেট সফরে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডা. এ জেড এম জাহিদ, ইকবাল মাহমুদ টুকু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল কবির খোকনসহ আরও কয়েকজন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সিলেট এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি. কে. গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীম, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।

আন্দোলনে লাল ব্যাচ ধারণ নিয়ে ২ দাবি

জুলাই আন্দোলনের সময় লাল ব্যাচ ধারন করা এবং ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার লাল করার কর্মসূচি ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে ওঠেছে দুই দাবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের দুজনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা নিয়ে দুই ধরনের দাবি করছেন। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদ সম্প্রতি খোলামেলা কথা বলেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র যখন গণহত্যার পরিবর্তে নাটকীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় শোক ও কালো পতাকা উত্তোলনের ঘোষণা দেয়, তখন আবু সাদিক কায়েম আমার কাছে পরামর্শ চান। আমি তাকে বললাম, আমরা পাল্টা কর্মসূচি দেব। তারা যেহেতু কালো বেছে নিয়েছে, আমরা লাল বেছে নিই। ফরহাদ আরও বলেন, আইডিয়াটি শেয়ার করার পর সাদিক কায়েম বললেন, এটা কার্যকর হতে পারে। এটাই চূড়ান্ত করা হলো। আমরা একটি প্রেস রিলিজ তৈরি করে সমন্বয়কদের কাছে পাঠাই এবং তারা এটি ঘোষণা করেন। পরের দিন দেখলাম, সমাজের সব শ্রেণির মানুষ তাদের ফেসবুক প্রোফাইল লাল করে আপডেট করছেন। এমনকি ড. ইউনূস এবং খালেদা জিয়ার ফেসবুক পেজেও লাল প্রোফাইল শেয়ার করা হয়। তিনি ব্যাখ্যা করেন, রাষ্ট্র কালো পতাকার প্রতীক বেছে নিয়েছে, তাই আমরা লাল বেছে নিলাম। লাল রক্তের প্রতীক, যা দিয়ে আমরা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে পারি। এ জন্য আমরা মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ এবং ফেসবুক প্রোফাইল লাল করার কর্মসূচি ঘোষণা করি। ফরহাদ জানান, এই কর্মসূচির পেছনে বড় কারণ ছিল তখনকার পরিস্থিতি। আমরা তখন অনলাইন ও সফট কর্মসূচির ওপর নির্ভর করছিলাম। হার্ড কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে দেখা গেল, প্রচুর গ্রেপ্তার ও মামলা হচ্ছে। তাই আমরা সফট কর্মসূচির দিকে মনোযোগ দিই। লাল প্রোফাইল কর্মসূচি যখন ব্যাপক সাড়া পেল, তখন আমরা অনুপ্রাণিত হলাম এবং পরে মাঠের কর্মসূচিতে যাই। প্রায় এক সপ্তাহের সফট কর্মসূচির শেষ ধাপ ছিল এই লাল প্রোফাইল কর্মসূচি।  অন্যদিকে এ কর্মসূচির বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন।  পোস্টে আব্দুল কাদের বলেন, জুলাইয়ে আন্দোলনের শেষের দিকের কর্মসূচিগুলা অনেকের সঙ্গে আলাপ আলোচনা কর ঠিক করা হতো। এক্ষেত্রে শিবিরের সাদেক কায়েম এবং ছাত্রদলের রাকিব-নাসির ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করতাম। আগের দিন দুপুরের পর থেকে দফায় দফায় আলোচনা করে পরবর্তী দিনের কর্মসূচি ঠিক করা হতো। তারই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তী দিন রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালন এবং কালো ব্যাজ ধারণের ঘোষণা দেয়। তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি ঠিক করতে গিয়ে শেষ বিকেলের দিকে নাসির ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়, সরকারের ঘোষিত শোক দিবস এবং কালো ব্যাজ ধারণের বিপরীতে আমাদের লাল ব্যাজ ধারণের প্রস্তাবনা দেন তিনি। রাকিব-নাসির ভাইয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে আমাদের একাধিকবার কথা হয়। পরে আমি সাদিক কায়েম ভাইকে ফোন দিয়ে বিষয়টা জানাই। তিনি বললেন, আলোচনা করে আমাকে জানাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পরে তিনি ফোন দিয়ে সম্মতি দেন। ঢাবি শাখার আহ্বায়ক বলেন, প্রতিদিন কর্মসূচি ফাইনাল করার আগে আমরা চারজন- আমি, মাসউদ, রিফাত, মাহিন আলোচনা করতাম। শিবির এবং ছাত্রদলের সঙ্গে অনেক সময় গ্রুপ কলে মিটিং করে কর্মসূচি ফাইনাল করতাম। তারই ধারাবাহিকতায় ওই দিনও আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলাম। রিফাত বললো যে, “শোক দিবসের প্রতিবাদে আমরা কালো কাপড় চোখে মুখে বাঁধতে পারি”। আমি রিফাতকে নাসির ভাইয়ের আইডিয়ার কথা বললাম, লীগ যেহেতু কালো কাপড় দিছে, আমরা এইক্ষেত্রে লাল কাপড় বাঁধতে পারি। মাহিনও একই প্রস্তাব দিল। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে গতানুগতিক ধারায় বারবার করে সাদিক ভাই এবং নাসির ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চোখেমুখে লাল কাপড় বাঁধার কর্মসূচি ফাইনাল করা হলো এবং ছবি তুলে প্রোফাইল পিকচার দেওয়ার আহ্বান জানানো হলো। যাদের কাছে লাল কাপড় নেই, তারা যেনো প্রোফাইল ‘লাল’ করে, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সেই সময়ে রিফাত রশিদ দেশবাসীর প্রতি এমন আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রোফাইল পিকচারের সঙ্গে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ জুড়ে দেওয়ার বিষয়ে সাদিক ভাই পরামর্শ দেন, পরামর্শের আলোকে তিনি কিছু হ্যাশট্যাগও দিয়ে দেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ নিহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সে সময় এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে আন্দোলনকারীরা হত্যা-নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সহমর্মিতা ও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তোলা এবং ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার লাল করার কর্মসূচি ঘোষণা করে।
  • ০২ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
    সরকারি অফিসের ৫০ শতাংশ লোকজন কাজ না করে বসে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। আপনি কি তাই মনে করেন?

    সরকারি অফিসের ৫০ শতাংশ লোকজন কাজ না করে বসে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। আপনি কি তাই মনে করেন?

    • হ্যাঁ
    • না
    • মন্তব্য নেই
    +
    =
    সাবমিট
    মোট ভোটদাতাঃ ৮,৬৩৬ জন
    মোট ভোটারঃ ৮,৬৩৬
    ভোট দিন
    Link Copied
অনলাইন জরিপ
লরির চাকায় পিষ্ট পিকআপ চালক
লরির চাকায় পিষ্ট পিকআপ চালক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে শুকলাল দাস (৪২) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মা ফাতেমা ফিলিং স্টেশনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  নিহত শুকলাল দাস ভাটিয়ারী ইউনিয়নের সোনারগাঁ গ্রামের জেলেপাড়া এলাকার তেজেন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি পেশায় পিকআপ চালক। ‎হাইওয়ে পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত শুকলাল দাস সকালবেলা তার পিকআপটি রেখে রাস্তার পাশে দাঁড়ান। হঠাৎ একটি বেপরোয়া গতিতে আসা লরি তাকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে পড়ে যান। পরে লরির নিচে চাপা পড়লে তার শরীরের ওপরের অংশ থেঁতলে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ‎নিহতের বড় ভাইয়ের ছেলে রানা বলেন, আমার চাচ্চু উনার পিকআপটি রেখে মহাসড়কের পাশে দাঁড়ায়। এ সময় একটি বেপরোয়া লরি ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান। পরে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। তার তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ‎বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মমিন বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘাতক লরিটি আটক করা হয়েছে।
জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 
জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 
বৃদ্ধাকে মারধর করে টাকা ‘লুটে নিলেন’ জাসাস নেতা
বৃদ্ধাকে মারধর করে টাকা ‘লুটে নিলেন’ জাসাস নেতা
ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী খুন, আসামি গ্রেপ্তার
ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী খুন, আসামি গ্রেপ্তার
কমিটি দিতে আড়াই লাখ দাবি, নেতা বললেন ‘এটা শুধুই মজা’
কমিটি দিতে আড়াই লাখ দাবি, নেতা বললেন ‘এটা শুধুই মজা’
হেফাজত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
হেফাজত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
মেঘনায় মাছ নেই, কিস্তির চাপে জর্জরিত জেলেরা
মেঘনায় মাছ নেই, কিস্তির চাপে জর্জরিত জেলেরা
বিদেশি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী রয়েল আটক
বিদেশি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী রয়েল আটক
শতকোটি টাকার সম্পত্তি আ.লীগ নেতা দুই ভাইয়ের কবজায়  
শতকোটি টাকার সম্পত্তি আ.লীগ নেতা দুই ভাইয়ের কবজায়  

গাজায় ক্ষুধা ‘দুর্ভিক্ষ’ নয়, বরং পরিকল্পিত যুদ্ধকৌশল

গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয়কে সাধারণ দুর্ভিক্ষ বা যুদ্ধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে না দেখে এটিকে একটি সুপরিকল্পিত যুদ্ধকৌশল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ফিলিস্তিনি গবেষক ও পরিবেশকৃষি বিশেষজ্ঞ ফুয়াদ আবু সাইফ। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ও জীবনধারণের উপকরণকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ইসরায়েল একটি কাঠামোগত গণহত্যার পথে আগাচ্ছে। এক নিবন্ধে তিনি বলেন, গাজায় এখন যে দুর্ভিক্ষ চলছে, তা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ব্যর্থ রাষ্ট্রের ফল নয়। এটি একটি চলমান অপরাধ এবং এটি বিশ্বের সামনেই সংঘটিত হচ্ছে।  আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে আবু সাইফ জানান, গাজার ৯৫ শতাংশের বেশি কৃষিজমি ইতিমধ্যেই ধ্বংস হয়েছে অথবা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে খাদ্য উৎপাদনের স্বনির্ভরতা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তার দাবি, এটি কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং এটি একটি জাতির স্বাধীনভাবে বাঁচার সক্ষমতাকে নষ্ট করার প্রচেষ্টা।  গবেষকের ভাষায়, ইসরায়েল এখন আর শুধু সামরিক হামলায় সীমাবদ্ধ নেই। বরং খাদ্য, পানি ও কৃষিজ উৎপাদনের উপায়গুলোকে টার্গেট করে গাজাবাসীর জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলছে ইসরায়েল। তিনি বলেন, শস্য সরবরাহ বন্ধ, পানি পরিকাঠামোয় হামলা, কৃষক ও জেলেদের ওপর আগ্রাসন- এসবই একটি বৃহৎ কৌশলের অংশ। আর এর উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদের সমাজ ও অর্থনীতিকে ভেঙে ফেলা।  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়েও তার লেখায় প্রশ্ন তুলেন তিনি। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মহলের নির্লিপ্ততা ও অস্পষ্ট কূটনৈতিক বিবৃতির ফলে ক্ষুধাকে একটি বৈধ যুদ্ধকৌশল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফুয়াদ আবু সাইফ বলেন, ‘যখন খাদ্যপণ্য- যেমন ময়দা, শিশু খাদ্য বা বোতলজাত পানি সরবরাহকে রাজনৈতিক দরকষাকষির অংশ করা হয়, তখন তা ‍আর শুধুমাত্র মানবিক সংকট থাকে না। তখন সেটি হয়ে ওঠে নির্দয় রাজনৈতিক শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যম মাত্র। ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে ‘নিয়েলেনি গ্লোবাল ফোরাম’-এর তৃতীয় সম্মেলন। এতে বিশ্বজুড়ে কৃষক, জেলে ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতারা অংশ নেবেন। সাইফের দাবি, ‘আমরা চাই এমন একটি বিশ্ব গড়ে তুলতে, যেখানে খাদ্য কখনোই যুদ্ধের হাতিয়ার হবে না।’  আবু সাইফ বলেন, ‘ইতিহাস গাজার ঘটনা মনে রাখবে। মনে রাখবে, কারা মুখ খুলেছিল আর কারা চুপ ছিল। বিচার হয়তো বিলম্বিত হবে, কিন্তু বিচার হবেই।’ সূত্র: ‍আলজাজিরা 
‘কার্টফেল ক্যোনিগ’ জার্মানির আলুর কিংবদন্তি
‘কার্টফেল ক্যোনিগ’ জার্মানির আলুর কিংবদন্তি
ব্রিকসের দেশগুলোর ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্কের হুমকি
ব্রিকসের দেশগুলোর ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্কের হুমকি
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির হুমকিতে ইউরোপীয় পণ্য, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির হুমকিতে ইউরোপীয় পণ্য, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা
রাফাল নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের বিস্ফোরক মন্তব্য
রাফাল নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের বিস্ফোরক মন্তব্য
নাটক নির্মাণে চিকন আলী 
নাটক নির্মাণে চিকন আলী 
কোনাল-আমিনুলের ‘আমার কি হও তুমি’ 
কোনাল-আমিনুলের ‘আমার কি হও তুমি’ 
নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং: উপমা
নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং: উপমা
নতুন একটি নাটকে অভিনয় করলেন ফারজানা মেহমুদ উপমা। নাটকের নাম ‘শেষ ভালোবাসা’। সম্প্রতি ঢাকা শহরের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে নাটকটির চিত্রায়ণ করা হয়েছে।  মেজবাহ শিকদারের নির্মিত এই নাটকের একটি উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে উপমাকে। পারিবারিক টানাপোড়েনে একসময় নেশার জগতে প্রবেশ করে উপমা এবং নেশার কারণে তার প্রেমিকের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। জীবনে চরম অবনতি ঘটে। বাড়ি ছেড়ে টাকা জোগানোর জন্য বন্ধুরা তাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে।  এমন নানা ঘটনায় এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।  কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা প্রসঙ্গে উপমা বলেন, ‘শেষ ভালোবাসা’ নাটকের গল্প আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। একজন নেশাগ্রস্ত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে আমার কাছে। তবে কাজটা করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। নেশা কীভাবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে, পরিবারকে ধ্বংস করে দেয় তা এই নাটকের গল্পে তুলে ধরা হয়েছে। নেশা যে কতটা বিধ্বংসী তার স্পষ্ট মেসেজ রয়েছে নাটকটিতে।  প্রসঙ্গত, এ যাবৎ অর্ধশতাধিক নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন উপমা। 
কেবিনে নেওয়া হয়েছে ফরিদা পারভীনকে
কেবিনে নেওয়া হয়েছে ফরিদা পারভীনকে
কাঁদতে কাঁদতে মুম্বাই ছাড়লেন নোরা
কাঁদতে কাঁদতে মুম্বাই ছাড়লেন নোরা
চল্লিশে পা দিলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি
চল্লিশে পা দিলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি
ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অনন্য নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক, ‘ক্যাপ্টেন কুল’, চেন্নাই সুপার কিংসের অদ্বিতীয় নেতা—যাকে ভালোবেসে দক্ষিণের ভক্তরা ডাকেন ‘থালা’। সোমবার জীবনের ৪৪ বছরে পা রাখলেন এই কিংবদন্তি।   ২০০৪ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়ানো সেই দীর্ঘকেশী যুবককে দেখে কে ভেবেছিল, একদিন তিনি হয়ে উঠবেন বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটারদের একজন! ধোনি শুধু উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দারুণ ছিলেন না, ব্যাট হাতে ভারতের মিডল অর্ডারের স্তম্ভও হয়ে উঠেছিলেন। দ্রুত স্টাম্পিং আর বিখ্যাত ‘হেলিকপ্টার শট’ আজও ভক্তদের প্রিয়।   ধোনির ঝুলিতে রয়েছে ১৭,২৬৬ আন্তর্জাতিক রান, ৮২৯ ডিসমিসাল ও ৫৩৮টি ম্যাচ। ওডিআই ফরম্যাটে ধোনি ছিলেন সবচেয়ে ভয়ংকর। ৩৫০ ম্যাচে ১০,৭৭৩ রান, গড় ৫০.৫৭। ১০টি সেঞ্চুরি, ৭৩টি হাফসেঞ্চুরি আর সর্বোচ্চ ইনিংস ১৮৩*। নিচের দিকে ব্যাট করতে নেমেও ১০ হাজারের বেশি রান এবং ৫০-এর ওপরে গড়—এটাই প্রমাণ করে তিনি কত বড় মাপের ক্রিকেটার।   অধিনায়ক হিসেবে ধোনি ভারতের হয়ে ২০০টি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে জয় এসেছে ১১০টিতে। ২০১১ বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতিয়ে ভারতকে তিনি এনে দিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ গৌরব।   টি-টোয়েন্টিতেও ছিলেন সমান ধারাবাহিক। ৯৮ ম্যাচে ১,৬১৭ রান, গড় ৩৭.৬০। ২০০৭ সালে ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পেছনেও ছিল তার নির্ভীক নেতৃত্ব।   টেস্ট ক্রিকেটে ধোনি ৯০ ম্যাচে ৪,৮৭৬ রান করেছেন, গড় ৩৮.০৯। অধিনায়ক হিসেবে ভারতের হয়ে ৬০টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ২৭টিতে জয় তুলে নিয়েছেন। তার অধিনায়কত্বেই ভারত প্রথমবারের মতো আইসিসি টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে আসে এবং অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশের কৃতিত্ব অর্জন করে।   ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের মঞ্চেও ধোনি অনন্য। আইপিএলে ৫,৪৩৯ রান, ২৭৮ ম্যাচে গড় ৩৮.৩০। রয়েছে ৫টি আইপিএল শিরোপা ও ২টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। চেন্নাই সুপার কিংসকে তার নামের সঙ্গে যুক্ত করে তুলেছেন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে।   রাঁচির এই ছেলে দেশের জন্য দিয়েছেন নিজের সবটুকু। মাঠে তার ঠান্ডা মাথা, অনন্য কৌশল, শেষ মুহূর্তে ছক্কা হাঁকানোর দৃশ্য—সবই আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে ভাসে।   আজ জন্মদিনে ধোনির জন্য দেশ-বিদেশের কোটি কোটি ভক্তের শুভকামনা। ক্রিকেট বিশ্বে তিনি থেকে যাবেন চিরকালীন ‘থালা’, এক অবিস্মরণীয় নাম হিসেবে।
নতুন প্রধান নির্বাহী পেল আইসিসি
নতুন প্রধান নির্বাহী পেল আইসিসি
ব্রাজিলের সহকারী কোচের পদ ছাড়ছেন আনচেলত্তির ছেলে
ব্রাজিলের সহকারী কোচের পদ ছাড়ছেন আনচেলত্তির ছেলে
মেসিকে ধরে রাখতে তার ‘বডিগার্ড’কে দলে নিতে চায় মায়ামি!
মেসিকে ধরে রাখতে তার ‘বডিগার্ড’কে দলে নিতে চায় মায়ামি!
এজবাস্টনে পরিসংখ্যানেই লেখা ভারতের রেকর্ডের গল্প
এজবাস্টনে পরিসংখ্যানেই লেখা ভারতের রেকর্ডের গল্প
এজবাস্টনে ভারতের ঐতিহাসিক জয়
এজবাস্টনে ভারতের ঐতিহাসিক জয়
অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড
অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দেখতে মাঠে ঢুকে পড়ল কুকুর
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দেখতে মাঠে ঢুকে পড়ল কুকুর
জোতার শেষকৃত্যে না গিয়ে পার্টিতে, সমালোচনার মুখে লিভারপুল তারকা
জোতার শেষকৃত্যে না গিয়ে পার্টিতে, সমালোচনার মুখে লিভারপুল তারকা
ট্রাম্পের বাণিজ্য বার্তার পর কমলো স্বর্ণের দাম
ট্রাম্পের বাণিজ্য বার্তার পর কমলো স্বর্ণের দাম
সোমবার যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না
সোমবার যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড়
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড়
আজ স্বর্ণের দাম
আজ দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে
অস্থির বাজারে নাভিশ্বাস ক্রেতার
অস্থির বাজারে নাভিশ্বাস ক্রেতার
দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ? 
দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ? 
স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত ফ্রিজ, এসির খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার
স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত ফ্রিজ, এসির খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার

ঢাবি শিক্ষার্থী মুন্নাছ বাঁচতে চান

দুরারোগ্য ব্যাধি লিউকেমিয়াতে আক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের ১০১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুন্নাছ আলী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সহযোগিতায় তার চিকিৎসার প্রায় পুরো টাকা জোগাড় হয়েছে। গত ৬ মাস ধরে ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন তিনি।  জানা গেছে, প্রায় ৩০টি কেমোথেরাপির পর তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই উন্নতির দিকে ছিল। আগামী মাসে তার একটা কেমোথেরাপি বাকি আছে।  তবে, অল্প সময়ের ব্যবধানে এত কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তার নাক ও মাথার খুলির মাঝের হাড়ে ক্ষত দেখা দিয়েছে। যে কারণে কিছুদিন যাবৎ তিনি ডান চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। পাশাপাশি তার বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তিও কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা তাকে ২১ দিনের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছেন। এতে সুস্থ না হলে তার সার্জারি করা লাগবে। চিকিৎসকরা তাকে  হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে তাকে বাসা থেকেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অ্যান্টিবায়োটিক ও সার্জারি মিলিয়ে তার চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা লাগবে। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষে এই টাকা জোগাড়ের সামর্থ্য না থাকায় সবার সহায়তা কামনা করেছেন মুন্নাছ। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: বিকাশ/নগদ: 01884654418 অথবা One bank Account number: 1062460000059, Account name: Md. Munnas Ali, Routing number: 165261342, Branch Name: Gulshan Islami Banking Branch

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১০ জুলাই প্রকাশ করা হবে। সোমবার (৭ জুলাই) সকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার কালবেলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, চলতি মাসের ১২ তারিখের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা। গত ১০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১৩ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ থেকে ২২ মে মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।  উল্লেখ্য, চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। সারা দেশের ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। এছাড়াও, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।

সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর দিতে যাচ্ছে সরকার। উচ্চ আদালতের আদেশের পর দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণে সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ না থাকায় সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক। অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং সেখান থেকে এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে বাকি কাজ সম্পন্ন করে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, দ্রুতই সকল প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডে উন্নীত হবেন। শনিবার অধিদপ্তর থেকে এক চিঠিতে দেশের সকল উপপরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষযটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য পাঠানো হয়েছে।  এদিকে এই পদোন্নতিকে কেন্দ্র করে একটি চক্রের চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি বলেন, শিক্ষকদের এই ধরনের বিপথগামী চক্রের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হওয়া থেকে রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে এই চিঠি জারি করা হয়েছে। চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ফৌজদারি অপরাধের শামিল। সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণকারীদের নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর বিপরীতে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সম্মতি প্রদান করে। বাকি প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের বিষয়টি এখন সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয় তৎকালীন সরকার। কিন্তু পরে প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়, যা বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তৎকালীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন এবং পরে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
০৬ জুলাই, ২০২৫
সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা আটক 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হল থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে বারোটায় তাকে হল ফটক থেকে আটক করা হয়। আল-আমিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের উপ-নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সহ-সদস্য ছিলেন।  এ বিষয়ে ঢাবির ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান বলেন, কয়েকজন জুনিয়র হলে ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিনকে দেখে আমাদের খবর দেয়। আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেই। তিনি হলে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে নামে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। এমনকি পরীক্ষার সময়ও শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, আল-আমিনকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে। তার বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় আরও দুটি মামলা রয়েছে। 
০৬ জুলাই, ২০২৫
ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা আটক 

বসার ভঙ্গিই বলে দেবে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন

আমাদের মাঝেমধ্যেই জানতে ইচ্ছে হয়, আমরা মানুষ হিসেবে কেমন? প্রায় সময় বন্ধু-বান্ধব বা আশপাশের মানুষকে আমরা এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকি। তবে মানুষ হিসেবে আপনি কেমন? এটি জানতে এখন আর বেশি সময় নিতে হবে না। কারণ সাইকোলজি বলছে, মানুষের বসার ভঙ্গি থেকে সহজেই বোঝা সম্ভব তার ব্যক্তিত্ব। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এপিবি লাইভের এক প্রতিবেদনে ওঠে আসে এ তথ্য।   তবে চলুন ছবি দেখে জেনে নেওয়া যাক আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন-  ১.ছবিতে বাঁ দিক থেকে ১ নম্বর ভঙ্গিতে বসা ব্যক্তির হাঁটু একসঙ্গে হলেও দুই পায়ের পাতার মাঝে থাকে দূরত্ব। এই ধরনের বসার ভঙ্গি ইঙ্গিত দেয় তিনি বেশ নির্ভার ও চিন্তাহীন প্রকৃতির। এমন ব্যক্তি কঠিন সময়েও সহজভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন। তবে তারা সাধারণত পরিকল্পনাহীনভাবে জীবন যাপন করে থাকেন। ২. ছবিতে ২ নম্বর ভঙ্গিতে দেখা যাচ্ছে পায়ের ওপর পা তুলে বসা—এমন কাউকে দেখলে ধরে নেওয়া যায়, তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী একজন মানুষ। তারা সাধারণত হাসিখুশি মেজাজের হন এবং জীবনকে উপভোগ করে কাটানোতেই গুরুত্ব দেন। ৩. ছবির ৩ নম্বর ভঙ্গি অনুযায়ী, যারা হাঁটু ফাঁক করে কিন্তু পায়ের পাতাগুলো একসঙ্গে রেখে সোজা হয়ে বসেন, তারা সাধারণত সহজে কারো ওপর ভরসা করেন না। তারা কথা বলতে ভালোবাসেন, তবে সময় নষ্ট করাকে একেবারেই পছন্দ করেন না। সময় সচেতন ও আত্মবিশ্বাসী এই মানুষরা দায়িত্বের ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস হয়ে থাকেন। ৪. ছবির ৪ নম্বর ভঙ্গিতে দেখা যায়, যারা হাঁটু ও পায়ের পাতা একসঙ্গে করে সোজা হয়ে বসেন, তারা সাধারণত আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের হন। নিজের জগতে থাকতে পছন্দ করেন এবং প্রয়োজন ছাড়া সহজে মিশে যান না। এ ধরনের মানুষ শান্ত, ভদ্র এবং সংযত আচরণে অভ্যস্ত। ৫. ছবির ৫ নম্বর ভঙ্গিতে যারা হাঁটু ও পায়ের পাতা একসঙ্গে রেখে সোজা হয়ে সামান্য হেলিয়ে বসেন, তারা সাধারণত কাজকেই জীবনের মূল কেন্দ্রবিন্দু মনে করেন। এমন মানুষরা স্পষ্টভাষী, আত্মবিশ্বাসী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ভরপুর হয়ে থাকেন। তারা লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যেতে পছন্দ করেন।
ফ্রিজের ভেতর টয়লেট টিস্যু রাখার উপকারিতা জানলে অবাক হবেন
ফ্রিজের ভেতর টয়লেট টিস্যু রাখার উপকারিতা জানলে অবাক হবেন
০৭ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে
০৭ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে
সোমবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ
সোমবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ
চোখের নিচে কালো দাগ দূর হবে ৩ সবজিতে
চোখের নিচে কালো দাগ দূর হবে ৩ সবজিতে
হার্টের যত্নে যেসব খাবার খাবেন
হার্টের যত্নে যেসব খাবার খাবেন
ব্রাশের আগে পানি পান করবেন কি না? কী বলছেন চিকিৎসকরা 
ব্রাশের আগে পানি পান করবেন কি না? কী বলছেন চিকিৎসকরা 
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দুঃসংবাদ দিল ইউটিউব
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দুঃসংবাদ দিল ইউটিউব
বর্তমানে অনেকেরই ইউটিউবে নিজস্ব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে তারা নানা ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে প্রকাশ করে থাকেন। এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়; বরং অনেকের জন্য তা পরিণত হয়েছে স্থায়ী আয়ের উৎসে। কেউ কেউ ইউটিউব থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। শুধু আয়ই নয়, অনেকে আবার হয়ে উঠেছেন পরিচিত মুখ বা তারকা।  ইউটিউব এবার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য চালু করছে নতুন একটি নিয়ম, যা কনটেন্ট ত্রিয়েটরদের জন্য দুঃসংবাদ। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ইউটিউবার তাদের পুরোনো ভিডিও পুনরায় আপলোড করে সেই ভিডিও থেকে আর আয় করতে পারবেন না। আগামী ১৫ জুলাই থেকে ইউটিউব তাদের নিয়মে এই পরিবর্তন কার্যকর করতে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? এর পেছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। মূলত যারা মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করছেন, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার রোধ করতেই ইউটিউব এই নীতিমালা চালু করছে। অনেক ইউটিউবারই তাদের আগের প্রকাশিত ভিডিও নতুন করে আপলোড করে চ্যানেল থেকে অনৈতিকভাবে আয় করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি এমন ঘটনাও সামনে এসেছে, যেখানে কিছু ইউটিউবার অন্যের তৈরি কনটেন্ট বা এআই-নির্ভর ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করে আয় করছেন। এতে প্ল্যাটফর্মে নকল ও অনুপযুক্ত কনটেন্টের পরিমাণ বাড়ছে, যা ইউটিউবের মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মূলত এ ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব। একই সঙ্গে, প্ল্যাটফর্মের মান, গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতে এবং আরও উন্নত করতে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

মেটার একজন এআই প্রকৌশলীর এত আয়!

মেটার একজন এআই প্রকৌশলীর এত আয়!

স্ট্যানফোর্ডের পিএইচডি ছেড়ে ব্যবসায় নেমেছিলেন আজকের ইলন মাস্ক

স্ট্যানফোর্ডের পিএইচডি ছেড়ে ব্যবসায় নেমেছিলেন আজকের ইলন মাস্ক

ক্রোম ব্রাউজারে ভয়ংকর ত্রুটির সন্ধান, যেভাবে রাখতে হবে নিরাপদ

ক্রোম ব্রাউজারে ভয়ংকর ত্রুটির সন্ধান, যেভাবে রাখতে হবে নিরাপদ

চিকিৎসাক্ষেত্রে চীনা বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সফলতা

চিকিৎসাক্ষেত্রে চীনা বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সফলতা

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন দুই সুবিধা চালু

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন দুই সুবিধা চালু
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩১৭ জন হাসপাতালে
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩১৭ জন হাসপাতালে
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। রোববার (৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১২৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে বলা হয়, এই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ৭০ জন ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ৫২ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২২ জন, খুলনা বিভাগে ১৩ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রোববার (৬ জুলাই) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, যেখানে ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩ জন, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে ২ জন করে মোট ৪ জন এবং ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে ১ জন করে মোট ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেতনতা এবং স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ জোরদার করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন, যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৭৫ জনে। তার আগের বছর, ২০২৩ সালে, পরিস্থিতি ছিল আরও ভয়াবহ। ওই বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ১ হাজার ৭০৫ জন, যা দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুজনিত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। 
হার্টের যত্নে যেসব খাবার খাবেন
হার্টের যত্নে যেসব খাবার খাবেন
বাংলাদেশে হৃদরোগ এখন সাধারণ একটি সমস্যা। ব্যস্ত জীবন, ভেজাল খাবার আর অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। কিন্তু আজ আপনাদের জন্য একটি ভালো খবর আছে।  বিজ্ঞান বলছে আমরা কী খাচ্ছি, সেটার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের হার্টের সুস্থতা। তাই স্বাস্থ্যকর, সঠিক এবং ভালো খাবার খেয়ে কীভাবে নিজের হার্টের যত্ন নেবেন, চলুন জেনে নেই।  কিছু খাবার নিয়মিত খেলে আপনার হৃদয় ভালো থাকবে বলেই জানাচ্ছে বর্তমান পুষ্টিবিদরা। বাংলাদেশে সহজলভ্য এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নিন, যা খেলে আপনি নিজের হার্টের যত্ন নিতে পারবেন সহজেই। চলুন পরিচিত হই সেই খাবারগুলোর সঙ্গে, যেগুলো আমাদের জন্য সহজলভ্য তবে হার্টের যত্নে বিশেষ উপকারী-  ১. মাছ (রুই, ইলিশ, পাবদা ইত্যাদি) কেন ভালো : রুই, ইলিশ, পাবদা- এসব মাছে ওমেগা-৩ চর্বি থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে আর হৃদয়কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পরামর্শ : ভাজা না খেয়ে মাছ সেদ্ধ, ঝোল বা ভাঁপে রান্না করে খাওয়াই ভালো। ২. ডাল (মসুর, মুগ, ছোলা) কেন ভালো : ডালে আছে প্রচুর ফাইবার আর প্রোটিন। এটা খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।   পরামর্শ : মাংসের বদলে সপ্তাহে কয়েকদিন ডাল দিয়ে ভাত খান। ৩. শাক-সবজি (পুঁই, লাল শাক, কলমি শাক) কেন ভালো : পুঁই শাক, লাল শাক আর কলমি শাকে আছে ভিটামিন, ফাইবার আর পটাশিয়াম। এগুলো হৃদয়কে শক্ত রাখে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।   পরামর্শ : কম তেলে আর কম লবণে শাক রান্না করুন, যেন পুষ্টিগুণ নষ্ট না হয়। ৪. ফল (পেয়ারা, পেঁপে, কলা, আমলা) কেন ভালো : পেয়ারা, পেঁপে, কলা আর আমলাতে আছে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো হৃদয় ভালো রাখতে খুব উপকারী। পরামর্শ : চিপস বা মিষ্টির বদলে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৫. সরিষার তেল কেন ভালো : সরিষার তেলে ভালো চর্বি থাকে যা হৃদয়ের জন্য উপকারী। তবে পরিমাণে খাওয়া জরুরি। পরামর্শ : অল্প তেলে রান্না করুন এবং বেশি গরম না করে তেল ব্যবহার করুন। ৬. লাল চাল কেন ভালো : লাল চাল বা আধা সিদ্ধ চালে বেশি ফাইবার থাকে। এটি রক্তে চিনি ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। পরামর্শ : ধীরে ধীরে সাদা চালের সঙ্গে লাল চাল মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। ৭. বাদাম ও বীজ (চিনাবাদাম, তিল, তিসি বীজ) কেন ভালো : চিনাবাদাম, তিল আর তিসি বীজে আছে ভালো চর্বি, ম্যাগনেসিয়াম আর ফাইবার। নিয়মিত খেলে হৃদয় সুস্থ থাকে। পরামর্শ : লবণ ছাড়া অল্প বাদাম খেতে পারেন। তিসি বীজ গুঁড়ো করে ভাত বা তরকারিতে মেশাতে পারেন। ৮. রসুন ও হলুদ কেন ভালো : রসুন রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। হলুদে আছে প্রদাহ কমানোর উপাদান। দুইটাই আমাদের ঘরোয়া রান্নায় ব্যবহার হয়। পরামর্শ : প্রতিদিনের রান্নায় রসুন ও হলুদ ব্যবহার করুন, তবে কম তেলে রান্না করুন। নিজের হার্ট ভালো রাখার জন্য দামি খাবার দরকার নেই। আমাদের ঘরের পাশের বাজারেই পাওয়া যায় এমন অনেক খাবার আছে যা খেলে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে। একটু বুঝে খেলে, কম তেল, কম লবণ আর কম ভাজা খাবার খেলেই পাবেন অনেক উপকার।
দাঁত তোলার পরও দেখা দেয় অনেকের সমস্যা
স্বাস্থ্য পরামর্শ / দাঁত তোলার পরও দেখা দেয় অনেকের সমস্যা
দাঁত ওঠানোর পর অনেকে নতুন সমস্যা নিয়ে আসেন। যেমন—সেখানে প্রচণ্ড ব্যথা বা কয়েকদিন হয়ে গেলেও সেখান থেকে রক্ত পড়ছে। দাঁত ওঠানোর পর ঠিকমতো রক্ত জমাট না বাঁধা, ধূমপান করা বা ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল ব্যবহার করার কারণে অনেক সময় ‘ড্রাই সকেট’ নামে একটি রোগ হয়, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং অনেকদিন ভোগায়। আবার সেখানে খাবার জমে সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়ে ব্লিডিং শুরু হতে পারে। দাঁত ওঠানোর পর আমাদের প্রধানত তিনটি লক্ষ্য থাকে— ১. ব্যথা কমানো ২. রক্তপাত বন্ধ করা ৩. সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করা দাঁত ওঠানোর পরের ৪০ মিনিট: আপনার ডেন্টিস্ট ক্ষতস্থানে যে তুলা গুঁজে দেবেন, তা শক্ত করে কামড় দিয়ে রাখতে হবে। তখন মুখ খুলবেন না এবং থুথু ফেলার চেষ্টা করবেন না। মুখে যা আসে, গিলে ফেলতে হবে। কোনো কারণে সেই তুলা জায়গা থেকে সরে গেলে রক্তপাত সহজে বন্ধ হবে না। দাঁত ওঠানোর পরের ২৪ ঘণ্টা: তখন গরম ও শক্ত খাবার খাওয়া যাবে না, যা কিছু খাবেন, নরম ও ঠান্ডা করে খাবেন। জোরে কুলি ও ব্রাশ করবেন না এবং জিহ্বা দিয়ে ক্ষতস্থানে নাড়াচাড়া করা যাবে না। এতে জমাট বাঁধা রক্ত গলে ফের রক্তপাত হতে পারে। ২৪ ঘণ্টা পর থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ: দাঁত ফেললে যে গর্ত তৈরি হয় (যদিও তা কিছুদিন পর এমনিতেই ভরাট হয়ে যায়), সেখানে খাবার জমে সেকেন্ডারি ইনফেকশন হওয়ার সুযোগ থাকে। তাই ২৪ ঘণ্টা পর থেকে জোরে জোরে কুলি করতে হবে, যাতে সেখানে কোনোভাবেই খাবার জমতে না পারে। হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে ছয় থেকে সাতবার, সঙ্গে মাউথওয়াশ দিয়ে দুই বার কুলি করবেন। এ সময় ধূমপান করা যাবে না এবং যারা ওরাল কন্ট্র্রাসেপটিভ পিল ব্যবহার করেন, তা বন্ধ রাখতে হবে। সে সময় ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খাবেন, যা দ্রুত মাড়ি সেরে উঠতে সহায়তা করে। দাঁত ওঠানোর পর অ্যানেসথেসিয়ার কারণে মুখের কিছু অংশ ভারী ভারী মনে হওয়া বা ফুলে যাওয়া, থুথুর সঙ্গে অল্প অল্প রক্ত আসা স্বাভাবিক। দুই থেকে তিন দিনের মাথায় সেটি সেরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আপনার ডেন্টাল সার্জন অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশকসহ যে ব্যবস্থাপত্র দেবেন, সেটা পুরোপুরি অনুসরণ করতে হবে।
হার্ট ভালো রাখতে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার
স্বাস্থ্য পরামর্শ / হার্ট ভালো রাখতে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার
হৃদরোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। হৃদরোগের শঙ্কামুক্ত থাকতে ত্রিশোর্ধ্ব সবার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। উত্তরাধিকার সূত্রেও কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। হৃদরোগ থেকে প্রতিকারের জন্য মানসিক চাপ কমাতে এবং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়। তখনই হজমের জন্য ব্যবহৃত এনজাইমগুলো হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। যাদের হৃদরোগ আছে, তারা জগিং করলে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং জয়েন্টেও ব্যথা অনুভব করেন। হৃদরোগের ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হলে হার্ট সুস্থ রাখতে হবে। সুস্থ হার্টের জন্য করণীয়: নিয়মিত ব্যায়াম করুন—প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ—ফল, সবজি, শস্য এবং মাছ বেশি করে খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড এবং অতিরিক্ত চিনি ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমানো প্রয়োজন—প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি। ঘুমের অভাব শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন—ধূমপান ও মদ্যপান হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এগুলো সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন—অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। মানসিক চাপ কমান—মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই মানসিক চাপ কমাতে যোগ, ধ্যান বা পছন্দের কাজ করতে পারেন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান—বছরে একবার হৃদরোগের পরীক্ষা করানো উচিত। এতে রোগ শনাক্ত করা সহজ হয়। পর্যাপ্ত পানি পান করুন—প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা শরীরকে সতেজ রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়: রোগীকে প্রথমে শুইয়ে দিতে হবে। এরপর জিহ্বার নিচে একটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখতে হবে। যদি পাওয়া যায় তবে অ্যাসপিরিনের পাশাপাশি একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেট রাখতে হবে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই হার্টের মাংসপেশির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, হাঁটাহাঁটি এবং আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। হৃদরোগের জন্য ভালো খাবার ফল ও সবজি। তৈলাক্ত খাবার হৃদরোগের জন্য বেশি ক্ষতিকর। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার এবং কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। রক্তচাপ পরিমাপও জরুরি।
০৭ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি
০৭ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি
ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর যে দোয়া পড়তে বলেছেন নবীজি
ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর যে দোয়া পড়তে বলেছেন নবীজি
০৬ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি
০৬ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি
আজ পবিত্র আশুরা শোক ও ত্যাগের মহিমাময় দিন
আজ পবিত্র আশুরা শোক ও ত্যাগের মহিমাময় দিন
আশুরায় শুধু কারবালার নয়, রয়েছে আরও যত ঘটনা
আশুরায় শুধু কারবালার নয়, রয়েছে আরও যত ঘটনা

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ২৮ আগস্ট, ২০২৫