বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত ফ্রিজ, এসির খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
এনবিআর ভবন। ছবি : সংগৃহীত
এনবিআর ভবন। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শিল্পবান্ধব সহায়ক নীতি ও কর সহায়তাকে দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তারা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য শিল্প খাতকে এগিয়ে নিয়েছে উৎপাদনশীলতার দিকে। বিকশিত হয়েছে ফ্রিজ, এসি, টিভির মতো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের পুরোপুরি উৎপাদনমুখী দেশীয় শিল্প খাত।

শুধু তাই নয়, দেশীয় রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও এয়ার কন্ডিশনার উৎপাদন খাতের শিল্পোদ্যোক্তারা বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে কারখানায় ব্যাপক পরিসরে অত্যাধুনিক সব মেশিনারিজ স্থাপনের মাধ্যমে আনুষঙ্গিক প্রায় সব উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ এখন দেশেই তৈরি করছে। তারপরও উৎপাদনমুখী স্থানীয় ফ্রিজ ও এসি শিল্পে তৈরিকৃত সমজাতীয় উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে সমুদয় সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে এনবিআর।

শিল্প খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন শিল্পে দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের বিদ্যমান কয়েক হাজার কোটি টাকার বিশাল বিনিয়োগই শুধু নয়, লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানও ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। বাধাগ্রস্ত হবে সম্পূর্ণ উৎপাদনমুখী দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য শিল্প খাতের টেকসই বিকাশ। ইলেকট্রনিক্স খাতে উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি থমকে যাবে। তৈরি হয়েছে উৎপাদন শিল্পের আড়ালে আমদানিনির্ভর সংযোজন শিল্প বিকাশের পথ।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মে, ২০২৫ তারিখে দেশীয় রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদন শিল্পে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় যেসব উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ দেশে উৎপাদিত হয় না সেসব পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন (এস.আর.ও. নং-১৭৬-আইন/২০২৫/৩০৪-মূসক) জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই শুল্ক নীতিমালাকে সাধুবাদ জানায় দেশীয় ফ্রিজ ও এসি উৎপাদন খাতের শিল্পোদ্যাক্তারা। কিন্তু গত ২৪ জুন, ২০২৫ তারিখে পূর্বের ওই এসআরওর সংশোধনী আরেকটি এসআরও নং-২৭৪-আইন/২০২৫/৩১৭-মূসক জারি করেছে এনবিআর।

সংশোধিত ওই এসআরওতে ৮৪.১৮ শিরোনাম সংখ্যার অধীনে এইচএস কোড : ৮৪১৮.৯৯.০০-এর আওতায় দেশীয় রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদন শিল্পে ব্যবহৃত উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের তালিকায় বর্তমানে দেশে উৎপাদিত হচ্ছে এমন বেশ কয়েকটি নতুন যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- স্টোপার ব্লক, ডিয়োডোরেন্ট ব্লক, পিপি বটম প্লেট, ক্রিস্পার কভার, ড্রেইনেজ পাইপ কভার, কভার অফ কম্প্রেসার হাউজ, সাপোর্ট অব ক্রিস্পার কভার, কটন প্যাড ফর শেলফ, রেফ্রিজারেটর/ফ্রিজার শেলফ, পিপি বেল্ট এবং ডাম্পিং ব্লক। এছাড়া শিরোনাম সংখ্যা ৮৫.৩৬-এর অধীনে এইচএস কোড- ৮৫৩৬.৬১.০০-এর অধীনে লাইট হোল্ডার যন্ত্রাংশ আমদানিতেও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ফ্রিজের পাশাপাশি দেশীয় এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদন শিল্পের ক্ষেত্রেও শিরোনাম সংখ্যা ৮৪.১৫-এর অধীনে এইচএস কোড- ৮৪১৫.৯০.৯০-এর আওতায় দেশে উৎপাদিত হচ্ছে এমন বেশ কয়েকটি উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রেও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ফ্যান ব্লোয়ার, কানেকটিং পাইপ, এক্সিয়াল ফ্যান, ক্যাসিং ফর ইনডোর, এয়ার গাইড প্লেট, টিউব প্লেট, এয়ার ফিল্টার, আইডিইউ প্যানেল, ডিস্ট্রিবিউশন পাইপ এবং ক্রস ফ্লো ফ্যান।

ফ্রিজ ও এসি উৎপাদন শিল্প খাতের সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার তালিকায় সংশোধিত এসআরও তে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার ও এসির যেসব উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে তার প্রত্যেকটি পণ্যেই এখন দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করছে। যদিও সংশোধনীর পূর্বে জারিকৃত প্রথম এসআরওর শর্তাবলীতে উল্লেখ করা হয়েছে, ফ্রিজ ও এসি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের এই সুবিধা পাবে না।

তবে এ খাতের দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রশ্ন- যেসব দেশীয় ফ্রিজ ও এসি প্রতিষ্ঠান আমদানি বিকল্প উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করছে ও উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মেশিনারিজ এবং প্ল্যান্টস রয়েছে তবে কেন এবং কাদের স্বার্থে ওইসব যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হলো? এই শুল্ক নীতিমালা দেশীয় ফ্রিজ, এসি উৎপাদন শিল্পের জন্য কতটুকু সহায়ক? এই সিদ্ধান্তে এ খাতে খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি কি বাড়বে না? উৎপাদন শিল্পের আড়ালে কি সংযোজন শিল্প বিকাশের পথ তৈরি হয়নি? এসব বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে স্থানীয় ফ্রিজ, এসি উৎপাদন শিল্পের তৈরিকৃত সমজাতীয় উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সুবিধা বাতিল করার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে আহ্বান জানাচ্ছে দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তারা।

শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিনিশড গুডসের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরিতে দেশীয় শিল্পকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই তো এতদিন ওই সব পণ্য আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে দেশীয় ফ্রিজ, এসি উৎপাদন শিল্পের উদ্যোক্তারা বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ও প্রোডাকশন প্ল্যান্টস আনুষঙ্গিক প্রায় সকল খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করছে। এ খাতে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের এই বিশাল বিনিয়োগ সুযোগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারিত করতে যেখানে সরকারের উচিত স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সমজাতীয় খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক সম্পূরক শুল্কের হার আরও বৃদ্ধি করা; তার পরিবর্তে উল্টো সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে। কোন যুক্তিতে এবং কাদের স্বার্থে দেশীয় শিল্প বিকাশের পরিপন্থি এমন এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরির প্রয়োজনীয় মেশিনারিজ ও প্রোডাকশন প্ল্যান্টস থাকা সত্ত্বেও যেসব প্রতিষ্ঠান ওই সব পণ্য আমদানি করবে তাদের সঙ্গে সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানের আর কোনো পার্থক্যই থাকবে না।

তাদের আশঙ্কা- এতদিন যেসব দেশীয় উৎপাদকরা ফ্রিজ ও এসির আনুষঙ্গিক উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করে আসছে, সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করায় তাদের কাছে ওইসব যন্ত্রাংশ উৎপাদনের চেয়ে বরং আমদানি করাই বেশি লাভজনক হয়ে উঠবে। তাই তারা এখন আমদানির প্রতি ঝুঁকবেন। ফলে বাড়বে আমদানি ব্যয়, চাপে পড়বে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এছাড়াও এ খাতের খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদনেও আসবে না নতুন কোনো বিনিয়োগ। ফলে শুধু এ খাতের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগই নয়; কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথও সংকুচিত হবে। তাই দেশীয় প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ফ্রিজ ও এসির যেসব খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে সেসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গুরুত্ব সহকারে পুনর্বিবেচনা করে তা বাতিল করা উচিত বলে অভিমত জানিয়েছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।

দেশীয় শিল্প সংশ্লিষ্টদের অভিমত- দেশীয় উৎপাদনমুখী ইলেকট্রনিক্স শিল্প খাতের টেকসই বিকাশের স্বার্থে এবং এ খাতের দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের বিশাল বিনিয়োগ সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে ফ্রিজ, এসির যেসব খুচরা যন্ত্রাংশ এখন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে সেসব আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করে পূর্বের মতো সন্তোষজনক হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা অত্যন্ত জরুরি।

মন্তব্য করুন

ট্রাম্পের বাণিজ্য বার্তার পর কমলো স্বর্ণের দাম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য চুক্তি ও শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় প্রভাব ফেলেছে। সোমবার (৭ জুলাই) স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩১১ দশমিক শূন্য ৯ ডলারে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ড ফিউচারও দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩২০ দশমিক ৩০ ডলারে। রোববার ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই বেশ কয়েকটি বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে। আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে দেশগুলোকে নতুন উচ্চহারে শুল্ক কার্যকরের বিষয়ে অবহিত করা হবে এবং ১ আগস্ট থেকে শুল্ক কার্যকর হবে। এর মধ্যে কিছু দেশের জন্য নতুন শুল্ক কার্যকর করার সময়সীমা তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই স্বল্পমেয়াদি শুল্ক ছাড়ের ঘোষণাই স্বর্ণের দামের ওপর প্রভাব ফেলেছে। বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দিকে ঝুঁকছেন, ফলে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা কমেছে। বিশ্ববাজারে রুপার দামও দশমিক ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৫৮ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৫৮ দশমিক ৬২ ডলারে এবং প্যালাডিয়ামের দাম ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৩ দশমিক ২৩ ডলারে। বিশ্লেষক কেলভিন ওয়াং জানান, এ স্বল্পমেয়াদি শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা স্বর্ণের দামে দুর্বলতা সৃষ্টি করেছে। আগামীতে স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৩২০ ডলারের আশপাশে ওঠানামা করতে পারে, যেখানে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ মাত্রা ৩ হাজার ৩৬০ ডলার। এদিকে, ট্রাম্প নতুন করে ঘোষণা দিয়েছেন, যারা ব্রিকস জোটের কথিত ‘অ্যান্টি-আমেরিকান’ নীতিকে সমর্থন করবে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে তিনি এই ‘অ্যান্টি-আমেরিকান’ নীতির ব্যাখ্যা দেননি। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই বাণিজ্য উত্তেজনা ও নতুন শুল্কের কারণে বিশ্ববাজারে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়তে পারে, যার প্রভাব পড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানোর পরিকল্পনার ওপরও। বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা বছরের মধ্যে মাত্র দুটি সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা করছে। গত সপ্তাহেই ট্রাম্প বড় আকারের করছাড় ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির বিল আইনে পরিণত করেছেন, যা আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বাড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা। তথ্যসূত্র : রয়টার্স  
ট্রাম্পের বাণিজ্য বার্তার পর কমলো স্বর্ণের দাম
সোমবার যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য আগামীকাল সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ থাকবে না। এ ছাড়া আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলেও জানানো হয়। রোববার (৬ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ডিএনডি খাল খনন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা অংশের ৯টি খালে বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য সোমবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মোট ১১ ঘণ্টা টেংরা, বাহির টেংরা, হাজীনগর, আমতলা, বড়ভাঙ্গা, কোদালদোয়া, সানাড়পাড়, নিমাইকাশারি, নামা শ্যামপুর, জিয়া সরণি, জাপানি বাজার, তিতাস গ্যাস সড়ক, ছাপড়া মসজিদ, রূপসী বাংলা হাসপাতাল, শনির আখড়া, আরএস টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল, মৃধাবাড়ী, কাজলা, ভাঙ্গা ব্রিজ, ডেমরা, স্টাফ কোয়ার্টার, আমুলিয়া, পাইটি, জহির স্টিল, শাহরিয়ার স্টিল, ধার্মিক পাড়া ও কাউন্সিল এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলেও জানানো হয় এই বিজ্ঞপ্তিতে। এতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
সোমবার যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড়
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়া যাচ্ছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া যাবে। তবে এবার রিটার্ন দেওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এবার রিটার্ন জমার সময় করের হিসাবের ক্ষেত্রে বাজেটে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। রিটার্ন জমা দেওয়ায় পাওয়া যাবে করছাড়। রিটার্ন জমায় যেভাবে পাওয়া যাবে করছাড় চলতি অর্থবছরে আপন ভাইবোনের দানকে করমুক্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবার। নতুন বাজেটে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রিটার্ন নথিতে ভাইবোনের দান করা অর্থ বা সম্পদ করমুক্ত থাকবে। ফলে পারিবারিক জমি, ফ্ল্যাটসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর আরও সহজ হবে। বিদেশে থাকা ভাইবোনকে অর্থ পাঠালেও তা করমুক্ত থাকবে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক কৃষি উৎসাহিত করতে করছাড় দেওয়া হয়েছে। একজন করদাতার কৃষি থেকে আয় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা হয়েছে। বেসরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন ধরনের ভাতাসহ এতদিন সাড়ে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় বাদ দেওয়া যেত। এটি এখন থেকে ৫ লাখ টাকা হবে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয় ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে প্রাপ্ত সুবিধাভোগীর আয় করমুক্ত থাকবে। এ ছাড়া চাকরিজীবী করদাতাদের মরণব্যাধির চিকিৎসা খরচ করমুক্ত রাখা হয়েছে। চাকরিরত কর্মচারীদের জন্য কিডনি, লিভার, ক্যান্সার, হার্টের চিকিৎসার পাশাপাশি মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার ও কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনসংক্রান্ত চিকিৎসা বাবদ প্রাপ্ত অর্থ করমুক্ত থাকবে।
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড়
আজ দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে
বহুদিন ধরে দেশের বাজারে কয়েক ধাপে দাম কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের মূল্য। আজ শনিবার (৫ জুলাই) থেকে নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের নতুন মূল্যহার ঘোষণা করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি এখন বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকায়। ২১ ক্যারেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৯৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের জন্য প্রতি ভরি ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৩১ টাকা। সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৮ টাকা। এর আগে ২২ ক্যারেটের দাম ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ২৩৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৯২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ১৭০ টাকা। তবে রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ২২ ক্যারেট রুপা এখনো বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকা ভরিতে। ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকাই অপরিবর্তিত রয়েছে। এর আগে সবশেষ গত ২৮ জুন স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ওই সময় প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৬২৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ২৩৬ টাকা। একই সঙ্গে ২১ ক্যারেটের ভরি ছিল ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের ভরি নির্ধারিত হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ১৭০ টাকা। এ দাম কার্যকর হয় ২৯ জুন থেকে। নতুন সমন্বয়সহ চলতি বছরে দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত মোট ৪১ বার স্বর্ণের দাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে এবং মাত্র ১৪ বার কমানো হয়েছে। তুলনামূলকভাবে গত বছর ২০২৪ সালে ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল, যেখানে ৩৫ বার দাম বেড়েছিল এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।
আজ স্বর্ণের দাম
দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ? 
দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ? 
অস্থির বাজারে নাভিশ্বাস ক্রেতার
অস্থির বাজারে নাভিশ্বাস ক্রেতার
খেলার জন্য পুঁজিবাজারের মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত : বিএসইসি কমিশনার 
খেলার জন্য পুঁজিবাজারের মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত : বিএসইসি কমিশনার 
বেড়েছে সবজির দাম, স্বস্তি ডিম-মুরগিতে
বেড়েছে সবজির দাম, স্বস্তি ডিম-মুরগিতে