বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

জাতীয় বৃক্ষমেলায় আলী-জাহান এগ্রোর বর্ণাঢ্য অংশগ্রহণ

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
বৃক্ষমেলায় আলী-জাহান এগ্রোর স্টল। ছবি : সংগৃহীত
বৃক্ষমেলায় আলী-জাহান এগ্রোর স্টল। ছবি : সংগৃহীত

প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন শেরেবাংলা নগর পুরোনো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে জাতীয় বৃক্ষমেলা। গত ২৫ জুন থেকে মাসব্যাপী এই বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে, চলবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত।

এবারের বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য স্লোগান হচ্ছে, ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত এই জাতীয় বৃক্ষমেলায় এবার অংশগ্রহণ করেছে ১১২টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে নানা ধরনের বৈচিত্র্যপূর্ণ বৃক্ষ ও উদ্ভিদ উৎপাদনকারী নার্সারির সংখ্যা ৯২টি, বাকি ২০টি স্টল সরকরি-বেসরকারি পর্যায়ের পরিবেশ-উন্নয়ন বিষয়ক।

নান্দনিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ নার্সারিগুলোতে প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে নানা জাতের বৈচিত্র্যপূর্ণ ফলজ, বনজ ও ফুলের গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ। মাসব্যাপী এই বৃক্ষমেলায় ৯৩নং স্টলে ক্রিডেন্স গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আলী-জাহান এগ্রোর বর্ণাঢ্য অংশগ্রহণ এক দারুণ বৈচিত্র্যতা এনেছে। নানা ধরনের বৈচিত্র্যপূর্ণ বৃক্ষের চারা নিয়ে আলী-জাহান এগ্রোর এই অংশগ্রহণ পুরো বৃক্ষমেলার মধ্যেই এক আলাদা মাত্রার গুরুত্ব তৈরি করেছে। প্রতিদিনই স্টলটিতে বৃক্ষপ্রেমী আগত ক্রেতা ও দর্শক সাধারণের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই বিভিন্ন জাতের ল্যান্ডস্কেপিং গাছ এ স্টল থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, আলী-জাহান এগ্রোর মাদার প্রতিষ্ঠান ক্রিডেন্স গ্রুপ প্রথম থেকেই নগরীতে সবুজায়নের ব্যাপক বিস্তারে পরিবেশ আন্দোলনের পক্ষে বিস্তৃতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি পরিবেশ সচেতনতামূলক বিভিন্ন প্রকল্পের সংগঠনসহ শতাধিক নার্সারির সমন্বয়ে এই বৃক্ষমেলার চারা প্রদর্শনী, বিক্রয় ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন বৃক্ষরোপণ অভিযান ও পরিবেশ বিষয়ক প্রাকৃতিক উন্নয়নে এবং সামাজিক সচেতনতায় শুধু রাজধানীতেই নয়, দেশব্যাপী সবুজায়নের এক দারুণ আগ্রহ ও আনন্দ-উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে।

মন্তব্য করুন

আশিয়ান সিটির মাসব্যাপী আবাসন মেলা
আশিয়ান সিটির প্রধান কার্যালয়ে শুরু হয়েছে একক আবাসন মেলা। গতকাল শনিবার দুপুরে মেলার উদ্বোধন করেন আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপ- ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া।  শনিবার থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে এক মাস পর্যন্ত। মেলা উদ্বোধন শেষে চেয়ারম্যান বলেন, আশিয়ান প্রকল্পের দেশি-বিদেশি কোনো গ্রাহকের ঠকার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ প্রকল্পকে ডায়মন্ডের সাথে তুলনা করে গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে কাজ করতে আশিয়ান গ্রুপকে সহায়তা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া।  রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র হাজীক্যাম্প সংলগ্ন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৮ ও ৪৯নং ওয়ার্ডে আশিয়ান সিটি প্রকল্পের অবস্থান। মেলায় উপস্থিত ছিলেন- কোম্পানির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আগত অতিথি ও গ্রাহকরা।
আশিয়ান সিটির মাসব্যাপী আবাসন মেলা
কমিউনিটি ব্যাংকের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক কম্প্রেহেনসিভ  ইন্সপেকশন কমপ্লায়েন্স’ শীর্ষক বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ একাডেমিতে শনিবার (৫ জুলাই) দিনব্যাপী বিশেষায়িত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।  প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমি (বিবিটিএ), ঢাকা অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. হানিফ মিয়া। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জনাব কিমিয়া সাআদত। উদ্বোধনী বক্তব্যে, বিবিটিএ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. হানিফ মিয়া ব্যাংকিং খাতের সকল স্তরে কমপ্লায়েন্স এবং প্রাতিষ্ঠানিক সততার সংস্কৃতি গড়ে তোলার গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্প্রিহেনসিভ ইনস্পেকশন কেবল একটি রেগুলেটরি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে স্থিতিশীলতা, জবাবদিহিতা এবং গ্রাহক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি কৌশলগত তদারকির হাতিয়ার। তিনি অংশগ্রহণকারীদের প্রাতিষ্ঠানিক ঝুঁকি হ্রাস এবং পরিচালনা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সক্রিয়, ডকুমেন্টেশন-কেন্দ্রিক এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার আহ্বান জানান।   কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত তার স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিবিটিএ-কে তাদের অব্যাহত নির্দেশনা এবং ব‍্যাংকের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালন কৌশলের একটি মূল ভিত্তি হল পরিচালনগত দক্ষতা এবং রেগুলেটরি ইনস্পেকশন এর এই প্রশিক্ষণ ব্যাংকের সেই পরিচালনকে আরও গতিশীল করবে। তিনি অংশগ্রহণকারীদের- বিশেষ করে শাখা ব্যবস্থাপক এবং কমপ্লায়েন্স এর দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের, তাদের নিজ নিজ ইউনিটে অর্জিত জ্ঞানকে  কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর জন্য উৎসাহিত করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বিবিটিএ-এর যুগ্ম পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর, তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিসোর্স পারসন হিসেবে শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ে পরিদর্শন বিষয়, ডকুমেন্টেশন প্রোটোকল, প্রধান ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়সহ পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সমাধান কৌশলগুলির মতো বিষয়গুলি নিয়ে সুনির্দিষ্ট ও প্রযুক্তিগত অবস্থান থেকে আলোচনা করেন। এই উদ্যোগটি কর্মক্ষেত্রে ক্রমাগত প্রশিক্ষণ এবং ব্যাংকিং উৎকর্ষতার প্রতি কমিউনিটি ব্যাংকের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির বাস্তব প্রতিফলন।
কমিউনিটি ব্যাংকের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন ইউএপিতে অনুষ্ঠিত
দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) প্রাঙ্গণে আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ মান-উন্নয়নমূলক আযয়োজন ২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন-২০২৫। শনিবার (০৫ জুলাই) ‘কোয়ালিটি ফার্স্ট: গ্লোবাল এক্সিলেন্সে স্থানীয় শিল্পকে ক্ষমতায়ন’ শিরোনামে অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম) এবং ইউএপি। কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন এ কে এম শামসুল হুদা, সভাপতি, বিএসটিকিউএম। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, উপাচার্য, ইউএপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন এ এম এম খায়রুল বাশার, উপদেষ্টা, বিএসটিকিউএম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম, ইউএপি। দিনব্যাপী এই কনভেনশনে শিল্প খাতের মানোন্নয়ন, টেকসইতা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছানোর জন্য গুণগত উন্নয়নের কৌশল ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। কনভেনশনে ১৫টিরও বেশি শিল্পক্ষেত্র থেকে ৭০টিরও অধিক কোয়ালিটি সার্কেল তাদের কেস স্টাডি উপস্থাপন করে, যা একযোগে ৮টি হলে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি হলে দুজন বিচারক উপস্থাপনাগুলো মূল্যায়ন করেন এবং সেশন সমন্বয়ে কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা অংশ নেয়। প্রদত্ত স্কোরের ভিত্তিতে উপস্থাপনাগুলোকে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ক্লোজিং সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। বক্তারা বলেন, ‘দেশীয় শিল্পকে বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে হলে গুণগতমানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন ইউএপিতে অনুষ্ঠিত
কমিউনিটি ব্যাংকের সঙ্গে হোটেল সারিনার ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষর
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সঙ্গে হোটেল সারিনার ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ক্রেডিট কার্ড সেবা সংক্রান্ত সুবিধা প্রদানের জন্য ব্যাংকটির সঙ্গে কৌশলগত এ ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকায় কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং হোটেল সারিনার মহা-ব্যবস্থাপক চান্না একনায়েকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং চুক্তিপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিময় করেন। চুক্তির অধীনে কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা হোটেল সারিনায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করবেন। এর মধ্যে রয়েছে রুম, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য পরিষেবার উপর বিশেষ ছাড়। এছাড়াও বছরব্যাপী ‘বাই ওয়ান, গেট ওয়ান’ অফারও পাবেন কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব বিজনেস ও হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম, হেড অব কার্ডস জাহির আহমেদ, হেড অব এডিসি ও হেড অব এমডিস কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন উর রহমান, হোটেল সারিনার মার্কেটিং ডিরেক্টর সাইয়্যেদ মেহরান হোসাইনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র নির্বাহীরা। এই চুক্তির আওতায় প্রিমিয়াম পার্টনারের সাথে কৌশলগত অংশীদারত্বের মাধ্যমে ব্যাংকটির গ্রাহকদের জন‍্য সাশ্রয়ী এবং লাইফস্টাইল সংবলিত সুবিধা প্রদানের জন্য কমিউনিটি ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
কমিউনিটি ব্যাংকের সঙ্গে হোটেল সারিনার ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষর