বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যা : ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৪ জন খালাস

কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার। ছবি : সংগৃহীত
ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানে প্রায় ১০ বছর আগে ইতালির নাগরিক এবং নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডির কর্মকর্তা তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় অভিযুক্ত বাকি চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম, তার ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল।

তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় আসামিদের মধ্যে তামজিদ আহমেদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল, মতিন ও শাখাওয়াত আদালতে বিভিন্ন সময়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কাইয়ুম ও সোহেল বিচার চলাকালে পলাতক ছিলেন। মতিন জামিনে ছিলেন, আর বাকি চার আসামি ছিলেন কারাগারে। রায় ঘোষণার দিন বৃহস্পতিবার তাদের সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়।

তাবেলা সিজার হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান ৯০ নম্বর সড়কের পশ্চিম প্রান্তে, গুলশান অ্যাভিনিউ সংলগ্ন গভর্নর হাউজের দক্ষিণ পাশের ফুটপাতে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি ছিলেন ইতালির নাগরিক এবং নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডির কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়, ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। ঘটনার পর নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আইসিসিও কো-অপারেশনের বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হেলেন দার বিক গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করা হয়।

এরপর তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৮ জুন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। পরে একই বছরের ২৪ আগস্ট অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গ নাগরিককে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা।

মন্তব্য করুন

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা / শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (৭ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এদিনে সকালে অভিযোগ গঠনের শুনানি ঘিরে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।  গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন এবং সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন জায়েদ বিন আমজাদ। শুনানিতে পাঁচটি অভিযোগ তুলে ধরে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যে পাঁচটি অভিযোগের বর্ণনা দিয়েছি, অ্যাপারেন্টলি ইট ওয়াজ ওয়াইডস্প্রেডেড (ব্যাপক-বিস্তৃতভাবে সংঘটিত হয়েছিল)। অগণিত মানুষ হামলার শিকার হয়েছেন, অনেক হতাহত হয়েছেন। সারা দেশে ৫৬ হাজার বর্গমাইলজুড়ে এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সর্বত্র, যেখানে যেখানে সম্ভব হয়েছে। পরিমাণে, সংখ্যায় এবং স্থানের ব্যাপকতায় এ অপরাধ বিস্তৃত-ব্যাপক। আর এ অপরাধ সিস্টেমেটিক (পদ্ধতিগত), কারণ সারা দেশে সব জায়গায় একই পদ্ধতিতে এবং একটি নির্দেশের আলোকে হামলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ এসেছে এবং সেই নির্দেশের চেইন অব কমান্ড অনুসারে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনী এবং অন্যান্য সহযোগী বাহিনী সব জায়গায় একই পদ্ধতিতে অপরাধ করেছে। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ এসেছে। সারা দেশের সর্বত্র একই পদ্ধতিতে তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। সুতরাং যে অপরাধ বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে এবং যে অভিযোগগুলো আমরা দিয়েছি পুরোটাই ছিল বিস্তৃত এবং পদ্ধতিগত, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে বলে প্রমাণ করে। ফলে আমাদের সবিনয় প্রার্থনা, যে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো এনেছি, তার ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।’
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য
এবার আরেক মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় একাধিকবার রিমান্ড শেষে এবার লাইসেন্স বাতিলকৃত অবৈধ অস্ত্রের খোঁজে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৭ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন আনিসুল হককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর অস্ত্র আইনের মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন বনানী থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক ইয়াদুল হক। এ সময় আসামিপক্ষ পক্ষ থেকে রিমান্ডের বিরোধিতা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডের জোর দাবি জানানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক আসামিকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আগামী ৯ জুলাই আনিসুল হককে এ রিমান্ডের জন্য কারাগার থেকে বনানী থানায় নেওয়া হবে।  বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন আদালতে বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোকতার হোসেন। এদিকে রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হকের নিজ নামে বনানী থানার অধীনে লাইসেন্সকৃত একটি অস্ত্র পিস্তল রয়েছে। ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি অস্ত্রটি ইস্যু করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ রাজনৈতিক শাখা-৪ ২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারী হতে একই বছরের ৫ আগষ্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এসব অস্ত্র ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যে জমা দানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ আদেশের পর আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই তাদের নিকটতম থানায় অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আসামি আনিসুল হক বা তার পক্ষে কেউ অস্ত্র গোলাবারুদ জমা দেন নাই। অস্ত্রের লাইসেন্সে দেওয়া তার বাসার ঠিকানায় কাউকে পাওয়া যায়নি। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা-২০১৬ এর ১৯(চ) ও ২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে কোনো অস্ত্র বা গোলাবারুদ থানায় জমা না দেওয়া হলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা হবে। তাই আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, এ মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে অস্ত্র কোথায় আছে এবং ওই অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য অভিযান পরিচালনাসহ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করতে আসামি আনিসুল হককে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড প্রয়োজন। গত বছরের ১৩ আগস্ট পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার হন আনিসুল হক। এরপর তার বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অন্তত অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক আছেন।
এবার আরেক মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ
জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আজ।  সোমবার (৭ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে অভিযোগ গঠনের শুনানি ঘিরে ইতোমধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। এদিন সকালে তাকে প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত মঙ্গলবার (০১ জুলাই) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন এবং সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন জায়েদ বিন আমজাদ।  শুনানিতে পাঁচটি অভিযোগ তুলে ধরে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যে পাঁচটি অভিযোগের বর্ণনা দিয়েছি, অ্যাপারেন্টলি ইট ওয়াজ ওয়াইডস্প্রেডেড (ব্যাপক-বিস্তৃতভাবে সংঘটিত হয়েছিল)। অগণিত মানুষ হামলার শিকার হয়েছেন, অনেক হতাহত হয়েছেন। সারা দেশে ৫৬ হাজার বর্গমাইলজুড়ে এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সর্বত্র, যেখানে যেখানে সম্ভব হয়েছে। পরিমাণে, সংখ্যায় এবং স্থানের ব্যাপকতায় এ অপরাধ বিস্তৃত-ব্যাপক। আর এ অপরাধ সিস্টেমেটিক (পদ্ধতিগত), কারণ সারা দেশে সব জায়গায় একই পদ্ধতিতে এবং একটি নির্দেশের আলোকে হামলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ এসেছে এবং সেই নির্দেশের চেইন অব কমান্ড অনুসারে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনী এবং অন্যান্য সহযোগী বাহিনী সব জায়গায় একই পদ্ধতিতে অপরাধ করেছে। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ এসেছে। সারা দেশের সর্বত্র একই পদ্ধতিতে তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। সুতরাং যে অপরাধ বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে এবং যে অভিযোগগুলো আমরা দিয়েছি পুরোটাই ছিল বিস্তৃত এবং পদ্ধতিগত, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে বলে প্রমাণ করে। ফলে আমাদের সবিনয় প্রার্থনা, যে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো এনেছি, তার ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।’
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভগ্নীপতি লতিফকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ভগ্নীপতি লতিফ ভূইয়া কামাল ওরফে হামিদ লতিফ ভূইয়াকে রাজধানীর গুলশানের দোকান কর্মচারী পারভেজ বেপারী হত্যা মামলায় তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  শুক্রবার (০৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলমের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক সামিউল ইসলাম আসামি লতিফের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।  এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে বাড্ডা থানাধীন আফতাবনগর এলাকা থেকে লতিফ ভূইয়া কামালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লতিফ ভূইয়া কামাল কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। মামলার এজাহারনামীয় ১৩৩নং আসামি তিনি। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে ৫০০/৭০০ আন্দোলনকারী বাড্ডা থানাধীন সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে আন্দোলন করতে থাকে। তাদের ওপর আক্রমণ করা হয় এবং গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ হন পারভেজ। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৬ মে তার বাবা মো. সবুজ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।  
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভগ্নীপতি লতিফকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
সাবেক এমপি শম্ভুর জমি জব্দ, ১৬ হিসাব ফ্রিজ
সাবেক এমপি শম্ভুর জমি জব্দ, ১৬ হিসাব ফ্রিজ
চাঁনখারপুলে ৬ জন হত্যায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ
চাঁনখারপুলে ৬ জন হত্যায় ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ