শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪ ভাদ্র ১৪৩২

ভিন্ন ছকে মাঠে নামছে পিটিআই, নির্দেশনা ইমরান খানের

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম
পিটিআইয়ের দলীয় কর্মসূচি। পুরোনো ছবি।
পিটিআইয়ের দলীয় কর্মসূচি। পুরোনো ছবি।

পাকিস্তানে ভিন্ন ছকে মাঠে নামছে তেহরিক-ই-ইনসাফ। দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নতুন করে মাঠে নামার নির্দেশনা দিয়েছেন। মহররমের ১০ তারিখের পর দলটি আবার মাঠে নামছে।

শুক্রবার (০৪ জুলাই) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে পিটিআই। আশুরার পর থেকে এ আন্দোলনের নির্দেশনা দিয়েছেন ইমরান খান। তার বোন আলিমা খান শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাওয়ালপিন্ডির একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি ইমরানের বার্তা পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, ইমরান খান বলেছেন, যদি ২৭তম সংশোধনী কার্যকর করা হয়, তবে রাজতন্ত্র চালু করাই ভালো।

সরকারের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, পিটিআই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সাংবিধানিক অধিকার রাখে। তবে সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না।

আলিমা খান বলেন, ইতোমধ্যে আন্দোলনের পরিকল্পনা প্রস্তুত হয়েছে। জনগণকে স্বাধীনতার জন্য রাস্তায় নামতে বলেছেন ইমরান। তিনি আবারও বলেছেন, বন্দিত্ব দাসত্বের চেয়ে শ্রেয়।

জেলে ইমরান খানের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, খান প্রতিদিন ২২ ঘণ্টা সেলে কাটান, মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য তাকে বের হতে দেওয়া হয়। তার জন্য সব ধরনের জেল সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতেও দেওয়া হয় না। গত ছয় মাস ধরে ইমরান তার ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। এটি অমানবিক ও বেআইনি।

আলিমা খান বলেন, আট মাস ধরে পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে ইমরান দলীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। এটি তার সাংবিধানিক অধিকার হরণের শামিল।

পিটিআই মুখপাত্র শেখ ওয়াকাস আকরাম জানান, প্রথমে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ এবং পরে মহররমের কারণে আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়েছিল। এখন সব প্রাদেশিক সভাপতিদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। তিনি বলেন, প্রথম ধাপে জেলা ও প্রাদেশিক পর্যায়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে চীন ও তুরস্ক
ভারতের সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘাতে একসাথে একাধিক প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির উপ-সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিং। তার ভাষায়, সামনে দৃশ্যমান শত্রু ছিল পাকিস্তান, কিন্তু বাস্তবে এই লড়াইয়ে পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল চীন ও তুরস্কও। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (FICCI) একটি সামরিক প্রযুক্তি বিষয়ক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, `সীমান্ত একটাই, কিন্তু শত্রু ছিল তিনটি। লড়াইয়ে পাকিস্তানকে পেছন থেকে চীন ও তুরস্ক সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে।’  জেনারেল রাহুলের বক্তব্যে উঠে আসে, পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে শুধু প্রচুর পরিমাণে সামরিক সরঞ্জামই পায়নি, বরং এই যুদ্ধে চীনা অস্ত্র ও প্রযুক্তির কার্যকারিতা যাচাইয়ের ‘পরীক্ষাগার’ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে। তার ভাষায়, ‘গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তান যে সব অস্ত্র পেয়েছে, তার ৮১ শতাংশ এসেছে চীন থেকে। চীন এখানে সেই পুরনো প্রবাদ অনুসরণ করেছে— ধার করা ছুরি দিয়ে হত্যা করা।’  তিনি বলেন, চীন নিজের সীমান্তে সরাসরি জড়িয়ে পড়ার চেয়ে পাকিস্তানকে ব্যবহার করে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টির পথ বেছে নিয়েছে। লাদাখের উত্তরের সীমান্তে সরাসরি কাদা ছোড়াছুড়ির বদলে তারা পাকিস্তানকে ‘যন্ত্রণা দেওয়ার অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল জানান, পাকিস্তানকে কৌশলগতভাবে সহায়তা করেছে তুরস্কও। সংঘাতের সময় বিভিন্ন ধরনের ড্রোন এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি পাকিস্তানিদের সঙ্গে ছিল বলে জানান তিনি। তার দাবি, তুরস্কের সরবরাহকৃত ড্রোন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি, চীন নিয়মিতভাবে উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) ব্যবহার করে পাকিস্তানকে সামরিক তথ্য সরবরাহ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ‘অপারেশন সিঁদুর’ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা ও শিক্ষার আলোকে ভবিষ্যতের যুদ্ধের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত তা নিয়েও বক্তব্য দেন জেনারেল রাহুল। এ সময় তিনি কিছু সমালোচনাও করেন খোলামেলাভাবে। তার মন্তব্য ঘিরে ভারতের রাজনীতিতে বিতর্কের ঢেউ উঠেছে। বিরোধী কংগ্রেস পার্টি চীনের প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছে। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, পাকিস্তানকে সাহায্যের ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকা নিয়ে এতদিন যেসব তথ্য কেবল সংবাদপত্রে এসেছে, তা এবার প্রকাশ্যে তুলে ধরেছেন উপ-সেনাপ্রধান। তিনি আরও বলেন, এই সেই চীন, যারা ২০২০ সালের ১৯ জুন লাদাখে ভারতের স্থিতাবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে দিয়েছিল, অথচ সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের কার্যত ক্লিনচিট দিয়েছিলেন।  উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ। তবে এবার চীন ও তুরস্কের সরাসরি জড়িত থাকার দাবি ভারতীয় সামরিক মহলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যার কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া আরও গভীর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি   
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে চীন ও তুরস্ক