বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

শতকোটি টাকার সম্পত্তি আ.লীগ নেতা দুই ভাইয়ের কবজায়  

গাজীপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০১:২০ পিএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০১:২২ পিএম
তেলিহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন (বাঁয়ে) ও তার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
তেলিহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন (বাঁয়ে) ও তার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

গাজীপুরে সরকারি শতকোটি টাকার সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে সহোদর আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জাল নথিপত্র তৈরি করে গত ১৫ বছর ধরে নিজেদের কবজায় বিশাল এই সম্পত্তি দখলে রেখেছেন তারা। প্রশাসন বলছে, আগে কী হয়েছে জানি না, তবে এখন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলার প্রায় ১০০ কোটি টাকার সরকারি জমি হাতিয়ে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন ও তার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেন। তাদের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামে। তাদের বাবার নাম ছব্বত আলী। তোফাজ্জল তেলিহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মোফাজ্জল উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা।

এদিকে এই দুই নেতার কাছে বাবা-দাদার কবরস্থানও দখলের শঙ্কায় ভারাক্রান্ত ৯২ বছর বয়সী সালেহা বেগমের। মালিকানার সব নথিপত্র থাকার পরও পেশিশক্তির কাছে বারবার হেরে গেছেন, জমি রক্ষায় প্রতিবাদ করে বারবার মামলা আর পুলিশি হয়রানিতে দিন কাটছে এই বৃদ্ধার পুরো পরিবার।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সালেহা বেগম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলেও টাকার কারণে এখনো প্রশাসন তাদের পক্ষে কথা বলে। পুলিশ আমাদের হুমকি-ধমকি দেয়।’

উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজ মাওনা গ্রামে ৯ একর সরকারি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে দুই ভাই গড়ে তুলেছেন সন্দীপ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। গত কয়েক বছরে প্রায় ২০টি পরিবারকে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানিপূর্বক জমি থেকে উচ্ছেদ করে তারা এ জমির দখল নিয়েছেন। দখল করা ৯ একর জমির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এ জমি দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। এক সময় এ জমিতে ভূমিহীনরা বাড়িঘর বানিয়ে বসবাস করলেও এখন তারা গড়ে তুলেছেন এগ্রোফার্ম। কয়েক হাজার গরু, ছাগলের শেড নির্মাণ করলেও সেখানে ঘুরে দেখা গেছে মাত্র ৭০/৮০টি গরু লালনপালন করছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।

সন্দীপ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজার বিল্লাহ বলেন, ‘এখানে ৮৯টি গরু আছে।’ তিনি স্বীকার করেন, ১২৭ বিঘার জমির প্রকল্পে ৩৬ বিঘা সরকারি খাস সম্পত্তি।

জানা গেছে, কিছু অসাধু সরকারি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কাগজপত্রেও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিজেদের নামে নামজারি ও জমাভাগও করে নিয়েছেন। ভূমি অফিসে অনুসন্ধান করে জানা যায়, গাজীপুর মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত এসএ ১১৫ আর ৭৬৩৫, ৭৬০৫, ৭৬১০, ৭৬১১, ৭৬১২, ৭৬১৭, ৭৬১৮, ৭৬২৯, ৭৬৩০, ৭৬৩১, ৭৬৩২, ৭৬৩৮, ৭৬৭২, ৭৬৩৩, ৭৬৩৪, ৭৬৩৬, ৭৬৩৭ দাগের ৯ একর স্থানীয় মাপে ২৭ বিঘা জমি শুধু দখল নিয়েই শেষ করেনি তারা, উল্টো জালিয়াতি করে নিজেদের নামে নামজারি করেও নেন। যার নামজারি জমাভাগ নথি নং ৪২৮০/১১-১২ জোত নং ১৮১। বিভিন্ন ভুয়া দলিল তৈরি করে তারা নামজারি জমাভাগ করার অভিযোগ থাকায় এ নথির সূত্র ধরে উপজেলা ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নথিতে তারা ৭টি দলিল জমা দিয়েছিলেন। সে দলিলগুলো সংগ্রহের পর প্রতিবেদক নিজেই তিনটি দলিল ২৩৪৬/১৯৭৯, ৩৬০৪/১৯৭৮, ৯২৪৪/১৯৬৮নং দলিলের নকলের কপি গাজীপুর রেকর্ডরুম থেকে উত্তোলন করার পর নামজারির নথির সঙ্গে কোনো মিল পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি এ জমি ব্যক্তিদের নামে নামজারির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল ভূমি অফিসের বেশ কিছু কর্মকর্তা। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নথি তৈরি, সরকারি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধকরণসহ রেকর্ডপত্র পরিবর্তন করেন। এদের সহযোগিতায় তারা ১১-১২ অর্থবছরে এ সরকারি জমি নিজেদের নামে নামজারি জমাভাগ করে নেন।

এখানেই শেষ নয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট মাওনা চৌরাস্তা। ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম স্থান বিবেচনায় এ জমির দাম স্বর্ণের দামের প্রায় সমান। আওয়ামী লীগ নেতা দুই ভাই এখানেও প্রায় ৫০ কোটি টাকার মূল্যের ২২ শতাংশ সরকারি ১নং খাস খতিয়ানের জমিতে দখল নিয়ে গড়ে তুলেছেন সব্বত আলী কাঁচা বাজার। যেখান থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তারা অগ্রিম গ্রহণ করেছেন কয়েক কোটি টাকা ও প্রতি মাসে ভাড়া আদায় করেন প্রায় ১৫ লাখ টাকা।

তেলিহাটি ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জায়গাটিও মুলাইদ মৌজার সরকারি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। যার এসএ দাগ ৩৪৪, ৩৪৫ আর এস ১৯০৫, ১৯০৬।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটি খাস খতিয়ানভুক্ত এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা। কয়েকদিন পরপর অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হলেও এক দিন পরই আবার সব আগের মতো হয়ে যায়।

শুধু সরকারি জমি দখল করেই ক্ষান্ত হননি আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা। তারা মুলাইদ আনোয়ারা নিট কম্পোজিট সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সংযুক্ত হওয়া একটি গো-হালটের সিংহভাগ অংশ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়াও স্থানীয় বেশ কয়েকটি পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি ও কবরস্থান জবরদখল করে নিয়েছেন তারা। প্রতিবাদ করলেই মামলা ও পুলিশি হয়রানি করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

এ দুই ভাইয়ের মূল নেশা হলো জমির দখল নেওয়া। এ জন্যই তারা বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দখল করেছেন বহু জমি। যার মধ্যে সিংহভাগই হচ্ছে সরকারি জমি। এছাড়াও বিভিন্ন মানুষের জমিও তারা দখল করেছেন আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাবে। গত ১৫ বছর ধরে তারা ছিলেন অনেক বেপরোয়া। এলাকায় তাদের ভয়ে কেউ টুঁ-শব্দও করতে পারত না। প্রতিবাদ করলে শুরু করত মামলা দিয়ে হয়রানি।

অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেন ৫ জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় কারাগারে এবং তোফাজ্জল হোসেন পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে ম্যানেজার সবুজ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি পরে দেখা করবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘আগে কে কী করেছে, সেটা জানি না। তবে এখন আর কেউ ছাড় পাবে না।’

মন্তব্য করুন

বৃদ্ধাকে মারধর করে টাকা ‘লুটে নিলেন’ জাসাস নেতা
নেত্রকোনার বারহাট্টায় শারিন আক্তার নামের এক বৃদ্ধাকে মারধর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) এক নেতার বিরুদ্ধে।  সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার রাতে বাহাদুরপুর গ্রামে ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত অলি উল্লাহ রায়হান বারহাট্টা উপজেলা জাসাসের সদস্য সচিব। তিনি উপজেলা সদরের গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা। আর ভুক্তভোগী শারিন আক্তার বাহাদুরপুর গ্রামের প্রয়াত মো. হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। স্থানীয় বাসিন্দা ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শারিন আক্তার সম্পর্কে অলি উল্লাহের মামি হন। সম্প্রতি শারিন আক্তারের সম্পতি নিয়ে অলি উল্লাহের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। শনিবার দুপুরে অলি উল্লাহ তার সৎ মা হাসিনা মমতাজকে নিয়ে শারিনের বাড়িতে আসেন।  এ সময় শারিন ঘরের দরজা বন্ধ করতে চাইলে অলি উল্লাহ জোর করে ঘরে ঢোকেন। শারিন বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয়। পরে তিনি ঘরের থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা শারিনকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় শারিনের মেয়ে পপি আজাদ ওই দিন রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পপি বলেন, অলি উল্লাহ আমাদের ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুরসহ আমার বৃদ্ধ মাকে বেধড়ক মারধর করে দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তার রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। এ ছাড়া কোনো পদক্ষেপও নিচ্ছে না পুলিশ। অলি উল্লাহ এখন আমাদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অলি উল্লাহ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ঘরে ঢুকে হামলা বা ভাঙচুর কিংবা টাকা লুট করিনি। এটা মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। শারিন আক্তার সম্পর্কে আমার মামি হন। তার সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। পরে তিনি দরজা বন্ধ করে দিলে আমার মা রাগান্তিত হয়ে কাঁচের গ্লাস ভেঙে ফেলেন। এ ছাড়া আর কিছু হয়নি। জেলা জাসাসের আহ্বায়ক সাদমান পাপ্পু জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। এ ধরনের ঘটনা যদি ঘটে থাকে তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে অলি উল্লাহের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃদ্ধাকে মারধর করে টাকা ‘লুটে নিলেন’ জাসাস নেতা
জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 
জুলাই সনদ, বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত জুলাই সনদের জন্য অপেক্ষা করা হবে। আশা করা যায়, সরকারসহ সব পক্ষ এর মধ্যেই জুলাই সনদ ঘোষণা করবে। সোমবার (৭ জুলাই) সকালে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে রাজশাহীতে অবস্থানকালে তিনি এ কথা বলেন।  জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের স্বীকৃতি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানুষের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জুলাই সনদ প্রণয়ন এবং সংবিধানের অংশ হিসেবে ঘোষণার দাবি করে আসছে এবং তা এই মাসের মধ্যেই ঘোষণার দাবি করে তরুণ এই রাজনৈতিক দল। সরকারও এই সময়ের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে পারবে বলে আশা করছে। তবে গণ-অভুত্থান দিবস অর্থাৎ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকারের ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করবে এনসিপি। জুলাই সনদ, বিচার ও সংস্কার এবং জুলাই স্মরণে গত ১ জুলাই ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে এনসিপি। সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী এই কর্মসূচির গত ৬ দিনে ১৪টি জেলায় পদযাত্রা শেষ হয়েছে। সোমবার নাটোর হয়ে সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় যাবেন এনসিপি নেতারা।
জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 
লরির চাকায় পিষ্ট পিকআপ চালক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে শুকলাল দাস (৪২) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মা ফাতেমা ফিলিং স্টেশনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  নিহত শুকলাল দাস ভাটিয়ারী ইউনিয়নের সোনারগাঁ গ্রামের জেলেপাড়া এলাকার তেজেন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি পেশায় পিকআপ চালক। ‎হাইওয়ে পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত শুকলাল দাস সকালবেলা তার পিকআপটি রেখে রাস্তার পাশে দাঁড়ান। হঠাৎ একটি বেপরোয়া গতিতে আসা লরি তাকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে পড়ে যান। পরে লরির নিচে চাপা পড়লে তার শরীরের ওপরের অংশ থেঁতলে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ‎নিহতের বড় ভাইয়ের ছেলে রানা বলেন, আমার চাচ্চু উনার পিকআপটি রেখে মহাসড়কের পাশে দাঁড়ায়। এ সময় একটি বেপরোয়া লরি ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান। পরে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। তার তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ‎বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মমিন বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘাতক লরিটি আটক করা হয়েছে।
লরির চাকায় পিষ্ট পিকআপ চালক
ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী খুন, আসামি গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় চোরের ছুরিকাঘাতে জনি দাস নামের এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৭ জুলাই) সকালে হবিগঞ্জ সদরের কামড়াপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাজু মিয়া আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে শরের নাদিরাবাদ এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেছিলেন।  হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি একেএম সাহাবুদ্দিন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে শহরের চৌধুরী বাজারের দেয়ানত রাম সাহার বাড়ি এলাকার নরধন দাসের বাড়িতে চোর হানা দেয়। এ সময় তার ছেলে হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জনি দাস (১৭) চোরকে ঝাপটে ধরতে চাইলে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে তার বড় ভাই জয় দাস এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর নিহতের বাবা নরধন দাস বাদী হয়ে শনিবার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি সাজুকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী খুন, আসামি গ্রেপ্তার
কমিটি দিতে আড়াই লাখ দাবি, নেতা বললেন ‘এটা শুধুই মজা’
কমিটি দিতে আড়াই লাখ দাবি, নেতা বললেন ‘এটা শুধুই মজা’
হেফাজত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
হেফাজত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
মেঘনায় মাছ নেই, কিস্তির চাপে জর্জরিত জেলেরা
মেঘনায় মাছ নেই, কিস্তির চাপে জর্জরিত জেলেরা
বিদেশি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী রয়েল আটক
বিদেশি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী রয়েল আটক