বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

কোনাল-আমিনুলের ‘আমার কি হও তুমি’ 

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
কোনাল-আমিনুলের ‘আমার কি হও তুমি’ 

সোমনুর মনির কোনাল। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী। শুধু চলচ্চিত্র নয়, সংগীতের সব ক্ষেত্রেই অবদান রেখে যাচ্ছেন সমানতালে। সিনেমায় প্লেব্যাকের পাশাপাশি নিয়মিত গান করছেন অডিও অঙ্গনে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রকাশ পাচ্ছে কোনালের নতুন গান ‘আমার কি হও তুমি’। গানটিতে কোনালের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন এই সময়ের প্রতিভাবান কণ্ঠশিল্পী আমিনুল ইসলাম।

গানটির কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন প্রিন্স রুবেল। সংগীতায়োজনে ছিলেন এস পুলক। মিক্সড অ্যান্ড মাস্টারিং করেছেন তাহান খান তামিম।

ভালোবাসার খুনসুটির গল্পে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত। ভিডিওতে অভিনয় করেছেন আলভী মামুন ও আঁখি। আছে কোনাল ও আমিনুলের উপস্থিতিও। গানটি প্রকাশ করছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)।

গানটি নিয়ে কোনাল বলেন, অনেকদিন পর একটি সুন্দর রোমান্টিক গান গাইলাম। আমিনুল ভাইয়ের গায়কী আমাকে মুগ্ধ করেছে। লালমাটি ও সবুজেঘেরা সুন্দর একটি লোকেশনে আমরা গানটির শুটিং করেছি। আশা করছি, গানটি সবার ভালো লাগবে।

কোনালের সঙ্গে জুটি বেঁধে উচ্ছ্বসিত আমিনুল জানালেন, কোনাল আপুর সঙ্গে গাইতে পারা আমার কাছে স্বপ্ন পূরণের মতো। আপু অনেক হেল্পফুল একজন মানুষ। এত চমৎকারভাবে গেয়েছেন গানটি। আমি চেষ্টা করেছি আমার সেরাটুকু দেওয়ার। আশা করছি গানটি সবার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।

ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) জানায়, ১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার তাদের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হবে ‘আমার কি হও তুমি’ গানটির ভিডিও। এর পাশাপাশি গানটি শুনতে পাওয়া যাবে স্বাধীন মিউজিক, স্পটিফাই, অ্যাপল মিউজকসহ দেশি ও বিদেশি সব মিউজিক প্ল্যাটফর্মে।

মন্তব্য করুন

নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং: উপমা
নতুন একটি নাটকে অভিনয় করলেন ফারজানা মেহমুদ উপমা। নাটকের নাম ‘শেষ ভালোবাসা’। সম্প্রতি ঢাকা শহরের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে নাটকটির চিত্রায়ণ করা হয়েছে।  মেজবাহ শিকদারের নির্মিত এই নাটকের একটি উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে উপমাকে। পারিবারিক টানাপোড়েনে একসময় নেশার জগতে প্রবেশ করে উপমা এবং নেশার কারণে তার প্রেমিকের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। জীবনে চরম অবনতি ঘটে। বাড়ি ছেড়ে টাকা জোগানোর জন্য বন্ধুরা তাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে।  এমন নানা ঘটনায় এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।  কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা প্রসঙ্গে উপমা বলেন, ‘শেষ ভালোবাসা’ নাটকের গল্প আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। একজন নেশাগ্রস্ত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে আমার কাছে। তবে কাজটা করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। নেশা কীভাবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে, পরিবারকে ধ্বংস করে দেয় তা এই নাটকের গল্পে তুলে ধরা হয়েছে। নেশা যে কতটা বিধ্বংসী তার স্পষ্ট মেসেজ রয়েছে নাটকটিতে।  প্রসঙ্গত, এ যাবৎ অর্ধশতাধিক নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন উপমা। 
নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং: উপমা
নাটক নির্মাণে চিকন আলী 
চলচ্চিত্র অভিনেতা শামিনুর রহমান ওরফে চিকন আলী। বাংলা চলচ্চিত্রের খুবই পরিচিত একটি নাম। মানুষকে হাসানো সবচেয়ে কঠিন একটি কাজ। আর সেই কাজটিই তিনি করে যাচ্ছেন দীর্ঘ সময় ধরে। ২০০৬ সালে ‘রঙিন চশমা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। তারপর আর পেছনে ফেরা নয় শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে চলা। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের ইউটিউবের জন্য কনটেন্ট নির্মাণ করছেন এই অভিনেতা। এবার নাটক ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন চিকন আলী। অভিনেতার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘সি এ কমেডি টিভি’-এর জন্য নিয়মিত নির্মাণ করবেন। চিকন আলী বলেন, ‘এখন চলচ্চিত্রে কাজ কম। আমরা যারা এই আয়ের ওপর নির্ভরশীল তাদের কাজ কম থাকায় বেশ বিপাকে পড়তে হয়। সেই ভাবনা থেকে ইউটিউবের জন্য নির্মাণের পরিকল্পনা করি। এখানে স্বাধীনভাবে অভিনয় করা যায়। কমেডি ঘরানার গল্পে দর্শকদের আগ্রহ বেশি থাকে। কারণ প্রতিটি দর্শকই গ্রামের মানুষ। তারা দিনশেষে গ্রামটাকে খুব পছন্দ করেন। বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া গল্পগুলো নিয়েই মেকিং করছি।’
নাটক নির্মাণে চিকন আলী 
কেবিনে নেওয়া হয়েছে ফরিদা পারভীনকে
বাউল সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ফরিদা পারভীন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। ফরিদা পারভীন বছরের শুরুতে একবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। তারপর আবারও অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শরীর আর আগের মতো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছে না। তিন দিন আগে আবারও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এই শিল্পীকে। শুরুতে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে রোববার (৬ জুলাই) থেকে তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম এ তথ্য জানিয়েছেন। গাজী আবদুল হাকিম আরও জানান, ফরিদা পারভীনের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় কেবিনে নেওয়া হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এই গুণী শিল্পীর জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। গত কয়েক মাসে তিনবার আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছে ফরিদা পারভীনকে। সংগীতাঙ্গনে অনন্য অবদান রাখা এই শিল্পীর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত ও সহশিল্পীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। সবাই তার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছেন। ফরিদা পারভীন বাংলাদেশের লোকসংগীতের অন্যতম প্রধান কণ্ঠস্বর। লালন সংগীতের প্রচারে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তার গাওয়া ‘নারী আমার জানে দুঃখের ভাষা’, ‘তোমার বাঁশিতে’, ‘ভ্রমর কইও গিয়া’ প্রভৃতি গান মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক লাভ করেন। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে সম্মানিত হন তিনি। 
কেবিনে নেওয়া হয়েছে ফরিদা পারভীনকে
৪৫ বছরে পদার্পণ করল লোক নাট্যদল
বাংলাদেশের অন্যতম প্রগতিশীল নাট্যসংগঠন লোক নাট্যদল (বনানী) গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে ৪৪ বছরের যাত্রা সম্পন্ন করে ৪৫ বছরে পদার্পণ করল। ১৯৮১ সালের ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলটি জীবনঘনিষ্ঠ, মানবিক ও নিরীক্ষাধর্মী নাটক মঞ্চস্থ করে একদিকে যেমন নাট্যচর্চাকে গণমানুষের ভাষায় রূপ দিয়েছে, অন্যদিকে সব গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বলিষ্ঠ অংশীদার হয়েছে। দলের ৪৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোক নাট্যদল আয়োজন করেছে ৫ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসব ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। যার মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় আজ ৬ জুলাই, শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে। এতে আলোচনা সভা, নাট্য সম্মাননা প্রদান, সাংস্কৃতিক পরিবেশনার সাথে মঞ্চস্থ হয় দলের সাম্প্রতিক প্রযোজনা ‘সুন্দর’ নাটক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। এছাড়া দলের দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা নাট্যব্যক্তিত্ব মোহিনী মোহন চক্রবর্তীকে প্রদান করা হয় নাট্য সম্মাননা। সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি অভিজিৎ চৌধূরী এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল হারুন। এর আগে ৫ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধ্যায় রাজধানীর নাটক সরর (বেইলি রোড) নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে দলটির প্রযোজনা ও বাংলাদেশের সর্বাধিক মঞ্চায়িত নাটক ‘কঞ্জুস’ মঞ্চস্থ হয়। এটি ছিল নাটকটির ৭৯২তম মঞ্চায়ন। ফরাসি নাট্যকার মলিয়েরের ‘দ্য মাইজার’ অবলম্বনে নাটকটির রূপান্তর করেছিলেন খ্যাতনামা নাট্য নির্দেশক ও অভিনেতা তারিক আনাম খান। নির্দেশনায় ছিলেন কামরুন নূর চৌধুরী। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন মনিকা বিশ্বাস, আনোয়ার কায়সার, মিনহাজুল হুদা দীপ, আবদুল্লাহ আল হারুন, সোহেল মাসুদ, সুধাংশু নাথ, সাদেক ইসলাম, তানজিনা রহমান, সায়মা হাসিবা অপূর্ব, আবুতাহের লিটন আকাশ, সেলিম চৌধুরী। সংগীতে ছিলেন অভিজিৎ চৌধূরী, নূর তাজমিন নীরু, পিনাকী রঞ্জন সরকার পিন্টু, তানভীর তমাল। আগামীকাল ৭ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল মিলনায়তনে নাটকটির ৭৯৩তম মঞ্চায়ন হবে। ৪৪ বছরে লোক দলটি মঞ্চস্থ করেছে ৩২টি নাট্য প্রযোজনা। দেশজ ও আন্তর্জাতিক মঞ্চ মিলিয়ে দুই হাজারেরও বেশি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে দলটি। বিখ্যাত ও দর্শকপ্রিয় নাটকগুলো হলো : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বৈকুণ্ঠের খাতা’, ‘রথযাত্রা’, ‘বশীকরণ’; কাজী নজরুল ইসলামের ‘মধুমালা’, ‘শিল্পী’; উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ‘এ মিড সামার নাইটস ড্রিম’; বের্টোল্ট ব্রেখটের ‘বিধি ও ব্যতিক্রম’; মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের ‘সুন্দর’, ‘সিদ্ধিদাতা’, ‘তুষাগ্নি’; বুদ্ধদেব বসুর ‘তপস্বী ও তরঙ্গিনী’; উৎপল দত্তের ‘ঠিকানা’; গাও সিংজিয়ানের ‘মাঝরাতের মানুষেরা’। মোনাকো, ইংল্যান্ড, জার্মানি, তুরস্ক, হংকং, নেপাল ও ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে লোক নাট্যদলের নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে।
৪৫ বছরে পদার্পণ করল লোক নাট্যদল
বিয়ে না করেই মা হচ্ছেন ভারতীয় এই অভিনেত্রী
বিয়ে না করেই মা হচ্ছেন ভারতীয় এই অভিনেত্রী
তানিজন তিশার ২৫ লাখ টাকার চ্যালেঞ্জ
তানিজন তিশার ২৫ লাখ টাকার চ্যালেঞ্জ
ঈশালের স্বপ্ন
ঈশালের স্বপ্ন
রাজশাহীতে ওয়ারফেজ
রাজশাহীতে ওয়ারফেজ