বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

আশুরায় শুধু কারবালার নয়, রয়েছে আরও যত ঘটনা

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৩২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম। এই মাসের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো আশুরা। অনেকের ধারণা আশুরায় শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছিল। কিন্তু এ দিনে বহু স্মরণীয় ও যুগান্তকারী ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় বিভিন্ন দিক দিয়ে দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।

মানবজাতির আদি পিতা হজরত আদমকে (আ.) প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি, জান্নাতে অবস্থান, পৃথিবীতে প্রেরণ ও তওবা কবুল সবই আশুরার তারিখে সংঘটিত হয়। আল্লাহ তাআলা অনেক নবীকে অত্যাচারীদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন আশুরার দিনে।

নিচে আশুরার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো তুলে ধরা হলো—

১. আল্লাহ তাআলা এ দিন পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। এ পৃথিবীর অস্তিত্বের সঙ্গেও আশুরার দিনের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আশুরার দিনেই আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি করেছেন আকাশমালা, মর্তজগৎ, পর্বতরাজি, লওহ-কলম ও ফেরেশতাদের। আশুরার দিনে আল্লাহ নিজ আরশে আজিমে অধিষ্ঠিত হন। তার ইচ্ছায় এ দিনেই কিয়ামত ঘটবে।

২. মহান আল্লাহ আদি পিতা আদম (আ.)-কে এই দিন জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠান। আবার এই দিন আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-এর দোয়া কবুল করেন। এ ছাড়া এ দিনেই সমগ্র মানবজাতির মা ও আদম (আ.)-এর স্ত্রী হাওয়া (আ.)-এর সঙ্গে আরাফার ময়দানে পৃথিবীতে প্রথম সাক্ষাৎ হয়।

৩. আল্লাহর নবী নুহ (আ.)-এর জাতির লোকেরা আল্লাহর নাফরমানি করেছিল। বারবার সতর্ক করার পরও তারা আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায়, আল্লাহর শাস্তি মহাপ্লাবনে নিপতিত হয়। দীর্ঘ প্লাবন শেষে ১০ মহররম তিনি নৌকা থেকে ইমানদারদের নিয়ে পৃথিবীতে নেমে আসেন।

৪. আল্লাহর প্রিয়নবী ইবরাহিম (আ.)-কে নমরুদ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিল। তিনি অগ্নিকুণ্ডে ৪০ দিন থাকার পর ১০ মহররম মুক্তি লাভ করেন।

৫. আল্লাহর নবী আইয়ুব (আ.) ১৮ বছর কঠিন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এই দিনে মহান আল্লাহর রহমতের পূর্ণ সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্য লাভ করেন।

৬. হজরত ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনা সবার কাছে বিখ্যাত। তিনি ইয়াকুব (আ.)-এর ছেলে ছিলেন। তার ১২ জন ভাই ছিল। কিন্তু ১১ ভাই ষড়যন্ত্র করে তাকে কূপে ফেলে দেয়। তবে মহান আল্লাহর অনুগ্রহে এক বণিক দল তাকে উদ্ধার করে। এরপর মিসরে গিয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। এরপর ১০ মহররম দীর্ঘ ৪০ বছর পর তিনি বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

৭. আল্লাহর আরেক নবী হজরত ইউনুস (আ.) জাতির লোকদের প্রতি হতাশ হয়ে পড়েন। এরপর নদী অতিক্রম করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান। পথে মাঝনদীতে পতিত হন। আর তখন তাকে একটি বড় মাছ গিলে ফেলে। মাছের পেটে তিনি ৪০ দিন ছিলেন। এরপর ১০ মহররম আল্লাহর রহমতে মাছ তাকে নদীর তীরে ফেলে দেয় এবং তিনি মুক্তি লাভ করেন।

৮. বনি ইসরায়েলের নবী হজরত মুসা (আ.) ফেরাউনের জুলুম থেকে বাঁচতে সঙ্গী-সাথিসহ অন্যত্র চলে যান। নীল নদ পার হয়ে নিরাপদে পৌঁছে যান। আর ফেরাউন তার দলবলসহ নীল নদীর পানিতে ডুবে মারা যায়।

৯. ঈসা (আ.)-কে তার জাতির লোকেরা হত্যা করার চেষ্টা করে। ফলে ১০ মহররম মহান আল্লাহ তাকে আসমানে উঠিয়ে নেন।

১০. কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনা। মহররমের ১০ তারিখ এই মর্মন্তুদ ঘটনার অবতারণা হয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আল্লাহর নবী (সা.)-এর নাতি হোসাইন (রা.) কারবালা প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন।

‘শুধু কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০ মহররমকে শোকের জন্য বেছে নেওয়া উচিত নয়।’ (ইমদাদুল মুফতিয়িন: ১/৯৬)

মন্তব্য করুন

০৭ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি
ইসলামের পাঁচটি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ইমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কিয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বাইরে ওয়াজিব, সুন্নত ও কিছু নফল নামাজ রয়েছে। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫ ইংরেজি, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বাংলা, ১১ মহররম ১৪৪৬ হিজরি। আজকের নামাজের সময়সূচি জোহর- ১২:০৫ মিনিট। আসর- ৪:৪৫ মিনিট। মাগরিব- ৬:৫৪ মিনিট। এশা- ৮:১৬ মিনিট। ফজর (আগামীকাল মঙ্গলবার)- ৩:৫২ মিনিট। বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো— বিয়োগ করতে হবে- চট্টগ্রাম : ০৫ মিনিট। সিলেট : ০৬ মিনিট। যোগ করতে হবে- খুলনা : ০৩ মিনিট। রাজশাহী : ০৭ মিনিট। রংপুর : ০৮ মিনিট। বরিশাল : ০১ মিনিট।
০৭ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি
আশুরায় যেভাবে পতন ঘটেছিল ফেরাউনের
ফেরাউন শব্দটি সাধারণত চূড়ান্ত জালেম বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এমন কাউকে পাওয়া দুষ্কর যে এই নাম কখনো শোনেনি। তবে ফেরাউন আসলে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম নয়; বরং এটি ছিল প্রাচীন মিসরের রাজা বা শাসকদের উপাধি। তাদের কেউ কেউ ‘ফারাও’ নামেও পরিচিত। মহান আল্লাহ হজরত মুসা (আ.)-কে নবুয়ত দিয়ে তার সময়কার ফেরাউনের কাছে তাওহিদের (এক আল্লাহর উপাসনা) দাওয়াত দিতে পাঠান। কিন্তু সেই ফেরাউন ছিল চরম অহংকারী ও গোঁয়ার প্রকৃতির। সে নিজেকে মিসরবাসীর প্রভু বলে দাবি করত। পবিত্র কোরআনের বহু স্থানে হজরত মুসা (আ.)-এর দাওয়াত, ফেরাউনের ঔদ্ধত্য এবং তাদের মধ্যকার সংঘাতের ঘটনা বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। মুসা (আ.)-এর যুগের ফেরাউনের প্রকৃত নাম নিয়ে নানা মত রয়েছে। কেউ বলেন তার নাম ছিল রামেসিস, আবার কেউ বলেন মারনেপতাহ। কারও মতে, তার নাম ছিল ওয়ালিদ ইবনে মাসআব ইবনে রাইয়ান, যিনি প্রায় ৪০০ বছর জীবিত ছিলেন। পবিত্র তুয়া উপত্যকায় আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসা (আ.)-এর ওপর ওহি নাজিল হয় এবং তাকে নবুয়ত ও অলৌকিক মুজিজা দান করা হয়। তিনি আল্লাহর নির্দেশে ফেরাউনের কাছে গিয়ে সত্যের দাওয়াত দেন। কিন্তু ফেরাউন তার ঔদ্ধত্য থেকে ফিরে আসেনি। বরং নিজেকেই খোদা দাবি করতে থাকে। মুসা (আ.) যখন বনি ইসরায়েল জাতিকে নিয়ে মিসর ত্যাগ করেন, ফেরাউন তাদের ধ্বংস করতে সেনাবাহিনীসহ তাড়া করে। তখন আল্লাহর হুকুমে লোহিত সাগর দুই ভাগ হয়ে যায় এবং বনি ইসরায়েল নিরাপদে পার হয়ে যায়। ফেরাউন সেই পথেই ধাওয়া করে কিন্তু সাগরের পানি একত্রিত হয়ে তাকে ডুবিয়ে মারে।  পবিত্র কোরআনের সুরা নাজিয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,  هَلۡ اَتٰىكَ حَدِیۡثُ مُوۡسٰی - اِذۡ نَادٰىهُ رَبُّهٗ بِالۡوَادِ الۡمُقَدَّسِ طُوًی - اِذۡهَبۡ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ اِنَّهٗ طَغٰی - فَقُلۡ هَلۡ لَّكَ اِلٰۤی اَنۡ تَزَكّٰی - وَ اَهۡدِیَكَ اِلٰی رَبِّكَ فَتَخۡشٰی- فَاَرٰىهُ الۡاٰیَۃَ الۡكُبۡرٰی - فَكَذَّبَ وَ عَصٰی - ثُمَّ اَدۡبَرَ یَسۡعٰی - فَحَشَرَ فَنَادٰی - فَقَالَ اَنَا رَبُّكُمُ الۡاَعۡلٰی - فَاَخَذَهُ اللّٰهُ نَكَالَ الۡاٰخِرَۃِ وَ الۡاُوۡلٰی  اِنَّ فِیۡ ذٰلِكَ لَعِبۡرَۃً لِّمَنۡ یَّخۡشٰی   অর্থ : মুসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌঁছেছে কি? যখন তার রব তাকে পবিত্র তুয়া উপত্যকায় ডেকে বলেছিলেন, ফেরাউনের কাছে যাও, নিশ্চয় সে সীমালঙ্ঘন করেছে। তাকে বল, তুমি পবিত্র হতে আগ্রহী কি না? আমি তোমাকে তোমার রবের দিকে পথ দেখাব, যাতে তুমি তাকে ভয় কর। সে (মুসা) তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল। কিন্তু সে মিথ্যারোপ করল এবং অমান্য করল এবং আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণে সচেষ্ট হলো। সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে চিৎকার করে বলল, আমিই তোমাদের সেরা রব। ফলে আল্লাহ তাকে পরকালের ও ইহকালের শাস্তি দিলেন। যে ভয় করে তার জন্যে অবশ্যই এতে শিক্ষা রয়েছে। (সুরা নাজিয়াত: ১৫-২৬) পবিত্র কোরআনের সুরা ইউনুসে ফেরাউনকে ডুবিয়ে মারার ঘটনা বর্ণনা করে মহান আল্লাহ বলেন,  وَ جٰوَزۡنَا بِبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ الۡبَحۡرَ فَاَتۡبَعَهُمۡ فِرۡعَوۡنُ وَ جُنُوۡدُهٗ بَغۡیًا وَّ عَدۡوًا ؕ حَتّٰۤی اِذَاۤ اَدۡرَكَهُ الۡغَرَقُ ۙ قَالَ اٰمَنۡتُ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا الَّذِیۡۤ اٰمَنَتۡ بِهٖ بَنُوۡۤا اِسۡرَآءِیۡلَ وَ اَنَا مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ - آٰلۡـٰٔنَ وَ قَدۡ عَصَیۡتَ قَبۡلُ وَ كُنۡتَ مِنَ الۡمُفۡسِدِیۡنَ - فَالۡیَوۡمَ نُنَجِّیۡكَ بِبَدَنِكَ لِتَكُوۡنَ لِمَنۡ خَلۡفَكَ اٰیَۃً ؕ وَ اِنَّ كَثِیۡرًا مِّنَ النَّاسِ عَنۡ اٰیٰتِنَا لَغٰفِلُوۡنَ    অর্থ : আমি বনি ইসরাইল বংশকে সাগর পার করে দিলাম আর ফেরাউন ও তার সেনাবাহিনী দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্দেশে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল। যখন তারা ডুবতে আরম্ভ করল, তখন (ফেরাউন) বলল, এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে, তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই যার ওপর ঈমান এনেছে বনি ইসরাইল; আমিও তারই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত। (আল্লাহ বললেন) এখন এ কথা বলছ! অথচ তুমি (ডুবতে শুরু করার) পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত নাফরমানি করছিলে এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে। আজকের দিনে আমি শুধু তোমার দেহ রক্ষা করব যেন তা পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। নিঃসন্দেহে বহু মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে উদাসীন। (সুরা ইউনুস : ৮৮-৯২) এই ঘটনাটি ঘটে ১০ মহররম, পবিত্র আশুরার দিনে। হাদিস শরিফে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন মদিনায় হিজরত করেন, তখন দেখেন ইহুদিরা আশুরায় রোজা রাখে। জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, এই দিনে আল্লাহ মুসা (আ.) ও তার জাতিকে ফেরাউন থেকে মুক্ত করেছেন এবং ফেরাউনকে সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছেন। মুসা (আ.) এই উপলক্ষে রোজা রাখতেন। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মুসার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক তাদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ। তিনি নিজেও আশুরার রোজা পালন করেন এবং মুসলমানদেরও তা রাখতে বলেন। (বুখারি : ৩৩৯৭) সুন্নাহ অনুযায়ী, আশুরার রোজা একটি আগে বা পরে আরেকটি রোজার সঙ্গে পালন করা উত্তম।
আশুরায় যেভাবে পতন ঘটেছিল ফেরাউনের
ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর যে দোয়া পড়তে বলেছেন নবীজি
সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) সব প্রকার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন। সে সঙ্গে আল্লাহর প্রশংসা করে তাসবিহ পড়তেন। হাদিসে এ সম্পর্কিত বর্ণনা রয়েছে। নবীজির সুন্নত পালন করা আমাদের কর্তব্য। ঘুম থেকে সজাগ করায় আল্লাহর প্রশংসা করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোও মুমিনের অন্যতম গুণ। এ কাজে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শেখানো তাসবিহ ও দোয়া পড়া সবচেয়ে উত্তম। বিভিন্ন সময়ে সাহাবাদের মাধ্যমে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতদের শিখিয়েছেন ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার সঠিক পদ্ধতি। এমনকি রাতে ঘুমানোর সময় কিংবা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কি দোয়া পড়তে হবে তাও বাতলে দিয়েছেন নবীজি। মুহামাদ ইবন আবদুল আযীয ইবন আবূ রিযমা (রহ.)... উবাদা ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন—যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে বলে—হে আমার রব! আমাকে মাফ করে দাও, তার দোয়া কবুল হবে। দোয়াটি হলো- لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি সাইয়্যিন ক্বদির, ওয়া-সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুল্লিল্লাহি ওয়া-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া-লা ক্যুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি এক তার কোনো শরিক নেই। তারই সার্বভৌমত্ব তাঁরই সব তারিফ, তিনিই সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ সব ত্রুটি থেকে পবিত্র, আল্লাহরই সমস্ত প্রশংসা, আর নেই কোনো ইলাহ আল্লাহ ছাড়া। আল্লাহ মহান, নেই কোনো গতি আর না কোনো শক্তি আল্লাহ ছাড়া। (তিরমিজী: ৩৪১৪) অন্য আরেক হদিসে এসেছে—জুবায়র ইবনু আবু সুলাইমান ইবনু জুবায়র ইবনু মুত্বইম (রা.) বর্ণিত— আমি ইবনু উমার (রা.)-কে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকাল ও সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে নিম্নোক্ত দোয়া পড়া ছাড়তেন না। اللَّهُمَّ إنِّي أسْأَلُكَ العافيَةَ في ديني ودُنْيَايَ وأَهْلي ومَالي، اللَّهُمَّ اسْتُر عَوْراتي وآمِنْ رَوْعاتي، واحفَظْني مِنْ بين يديَّ ومِن خَلْفِي وعن يميني وعن شِمَالي ومِنْ فَوْقِي، وأَعُوذُ بِعَظمَتِك أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحتي উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল-আফয়াতা ফি দ্বীনা ওয়াদ-দুনিয়্যায়া ওয়া-আহলি ওয়া-মালয়্যি, আল্লাহুম্মাস-ত্বারা আওরাতি ওয়া-আমিনা ওয়া-রাওয়াতি মিম-বাইনা ইয়াদাইয়্যা ওয়া-মিন খালফি ওয়া-আ’না ইয়ামিনি ওয়া-আনা সিমালি ওয়া-মিন ফাউক্বিয়া, ওয়া-আউয্যু-বিআজমাতিকা ইন্নি আগত্বালা মিন-তাহতিয়্যি। অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং আমার দীন, দুনিয়া, পরিবার ও সম্পদের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ! আপনি আমার দোষত্রুটিগুলো ঢেকে রাখুন এবং ভীতিপ্রদ বিষয়সমূহ থেকে আমাকে নিরাপদ রাখুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযাত করুন আমার সম্মুখ থেকে, আমার পিছন দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপর দিক থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার মর্যাদার ওয়াসিলায় মাটিতে ধসে যাওয়া থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাইছি। (আবু দাউদ: ৫০৭৪)
ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর যে দোয়া পড়তে বলেছেন নবীজি
০৬ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি
ইসলামের পাঁচটি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ইমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কিয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বাইরে ওয়াজিব, সুন্নত ও কিছু নফল নামাজ রয়েছে। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ রোববার, ৬ জুলাই ২০২৫ ইংরেজি, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বাংলা, ১০ মহররম ১৪৪৬ হিজরি। আজকের নামাজের সময়সূচি জোহর- ১২:০৭ মিনিট। আসর- ৪:৪২ মিনিট। মাগরিব- ৬:৫৪ মিনিট। এশা- ৮:২০ মিনিট। ফজর (আগামীকাল সোমবার)- ৩:৪৯ মিনিট। বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো— বিয়োগ করতে হবে- চট্টগ্রাম : ০৫ মিনিট। সিলেট : ০৬ মিনিট। যোগ করতে হবে- খুলনা : ০৩ মিনিট। রাজশাহী : ০৭ মিনিট। রংপুর : ০৮ মিনিট। বরিশাল : ০১ মিনিট।
০৬ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি
আজ পবিত্র আশুরা শোক ও ত্যাগের মহিমাময় দিন
আজ পবিত্র আশুরা শোক ও ত্যাগের মহিমাময় দিন
আশুরার দিনে রোজার ফজিলত নিয়ে কী বলছে ইসলাম
আশুরার দিনে রোজার ফজিলত নিয়ে কী বলছে ইসলাম
০৫ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি
০৫ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি
চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত, অনেককে জরিমানা
চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত, অনেককে জরিমানা