বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

মেটার একজন এআই প্রকৌশলীর এত আয়!

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৬ এএম
মেটার লোগো। ছবি : সংগৃহীত
মেটার লোগো। ছবি : সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আজকের প্রযুক্তিনির্ভর দুনিয়ায় উদ্ভাবনের মূল শক্তিতে পরিণত হয়েছে। স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট চালানো, পছন্দের কনটেন্ট সাজিয়ে দেওয়া, কিংবা ভার্চুয়াল দুনিয়ায় বাস্তব অভিজ্ঞতা তৈরি করা—সব কিছুর পেছনেই আছে এআই। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠছে নতুনভাবে। আর এই পরিবর্তনকে সবচেয়ে জোরেশোরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মেটা।

আগে যার নাম ছিল ফেসবুক, সেই মেটা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেটাভার্সে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। তাদের লক্ষ্য— যেভাবে আমরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করি, কাজ করি এবং বিনোদন উপভোগ করি, তা সম্পূর্ণ বদলে দেওয়া। এই প্রযুক্তিগুলো শুধু ভবিষ্যৎ নয়; বরং বিশ্বব্যাপী আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠছে এখনই।

টেক জগতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম মেটা। এখানে কাজ করে বিশ্বের সেরা এআই প্রকৌশলী দল। শুধু বিশ্বের পরিবর্তন করার প্রযুক্তি তৈরি করেন না, তারা পান দারুণ বেতন-ভাতাও, যা শুনলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠবে।

মেটার এআই প্রকৌশলীরা মূলত কাজ করেন ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, কম্পিউটার ভিশন ও আধুনিক ডিপ লার্নিং মডেলের মতো জটিল ক্ষেত্রে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা তৈরি করেন কন্টেন্ট রিকমেন্ডেশন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও অন্যান্য সেবা, যা কোটি কোটি মানুষের দৈনন্দিন জীবন প্রভাবিত করে।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এইচ-১বি ভিসা সংক্রান্ত নথি থেকে জানা গেছে, মেটার একজন শীর্ষ এআই গবেষণা প্রকৌশলী বছরে ৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার পর্যন্ত বেসিক বেতন পান। শুধু তাই নয়, বিশেষ করে এআই ও প্রযুক্তি গবেষণাভিত্তিক পদে কর্মরত সিনিয়রদের মেটা বড় অঙ্কের স্টক গ্রান্টও দিয়ে থাকে, যা তাদের মোট উপার্জনকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

বেসিক বেতনে মেটার এআই প্রকৌশলীরা পেতে পারেন বছরে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে, বোনাস ও শেয়ার অপশন যোগ করলে এই আয় বেড়ে যায় অনেকগুণ। এন্ট্রি-লেভেলের প্রকৌশলীদের মোট আয় দাঁড়াতে পারে বছরে ১ রাখ ৮০ হাজার ডলারের বেশি।

মাঝারি অভিজ্ঞতার প্রকৌশলী বছরে পেতে পারেন ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ২ লাখ ২০ হাজার ডলার বেতন, আর মোট আয় বোনাস ও স্টক অপশনসহ হতে পারে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারেরও ওপরে। সিনিয়র এআই প্রকৌশলী এবং গবেষকরা মেটায় উপার্জন করেন ৩ লাখ ডলারেরও বেশি, যেখানে বোনাস ও স্টক গ্রান্টগুলো মূল আয়কে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

মেটার এই বেতন কাঠামো শুধু বেসিক বেতনের ওপর নির্ভর করে না; বরং কোম্পানির সঙ্গে প্রকৌশলীদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক নিশ্চিত করতে স্টক অপশন ও আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়। এতে প্রকৌশলীরা মেটার ব্যবসায়িক সাফল্যের সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধির সুফল পান।

বেতনের পাশাপাশি মেটা এআই প্রকৌশলীদের দেয় এমন এক পরিবেশ যেখানে তারা নতুন গবেষণা ও প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগ একসাথে করতে পারেন। সেরা মেধাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে এআই প্রকৌশলীরা তৈরি করেন ভবিষ্যতের প্রযুক্তি, যা বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনযাত্রা বদলে দিচ্ছে।

সারসংক্ষেপে, মেটায় এআই প্রকৌশলী হওয়া মানে টেক ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা আর্থিক সুবিধা পাওয়া। শুরু থেকে সিনিয়র স্তর পর্যন্ত মেটার বেতন ও সুযোগ-সুবিধা প্রমাণ করে, তারা শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিভাকে আকৃষ্ট ও ধরে রাখার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। তাই যখনই বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বা এআই নিয়ে ভাববেন, মনে রাখবেন মেটার এআই প্রকৌশলীদের আয় অনেকটাই আপনার ধারণার বাইরে।

মন্তব্য করুন

কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দুঃসংবাদ দিল ইউটিউব
বর্তমানে অনেকেরই ইউটিউবে নিজস্ব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে তারা নানা ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে প্রকাশ করে থাকেন। এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়; বরং অনেকের জন্য তা পরিণত হয়েছে স্থায়ী আয়ের উৎসে। কেউ কেউ ইউটিউব থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। শুধু আয়ই নয়, অনেকে আবার হয়ে উঠেছেন পরিচিত মুখ বা তারকা।  ইউটিউব এবার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য চালু করছে নতুন একটি নিয়ম, যা কনটেন্ট ত্রিয়েটরদের জন্য দুঃসংবাদ। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ইউটিউবার তাদের পুরোনো ভিডিও পুনরায় আপলোড করে সেই ভিডিও থেকে আর আয় করতে পারবেন না। আগামী ১৫ জুলাই থেকে ইউটিউব তাদের নিয়মে এই পরিবর্তন কার্যকর করতে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? এর পেছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। মূলত যারা মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করছেন, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার রোধ করতেই ইউটিউব এই নীতিমালা চালু করছে। অনেক ইউটিউবারই তাদের আগের প্রকাশিত ভিডিও নতুন করে আপলোড করে চ্যানেল থেকে অনৈতিকভাবে আয় করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি এমন ঘটনাও সামনে এসেছে, যেখানে কিছু ইউটিউবার অন্যের তৈরি কনটেন্ট বা এআই-নির্ভর ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করে আয় করছেন। এতে প্ল্যাটফর্মে নকল ও অনুপযুক্ত কনটেন্টের পরিমাণ বাড়ছে, যা ইউটিউবের মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত করছে। মূলত এ ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব। একই সঙ্গে, প্ল্যাটফর্মের মান, গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতে এবং আরও উন্নত করতে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দুঃসংবাদ দিল ইউটিউব
স্ট্যানফোর্ডের পিএইচডি ছেড়ে ব্যবসায় নেমেছিলেন আজকের ইলন মাস্ক
ইলন মাস্কের শিক্ষাজীবন নিয়ে বাড়ছে আগ্রহ। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক কোথায় পড়াশোনা করেছেন, তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল। ইলন মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় বেড়ে উঠেছেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের পর ১৯৮৯ সালে তিনি কানাডায় পাড়ি জমান। সেখানেই কিংস্টনের কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে দুই বছর অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ায় স্থানান্তরিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে তিনি ফিজিক্স ও ইকোনমিকসে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। পরে ১৯৯৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হন ইলন মাস্ক। তবে মাত্র দুই দিনের মাথায় তিনি সেখানে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্ত থেকেই জন্ম নেয় জিপ-টু, তার প্রথম প্রযুক্তি কোম্পানি, যা পরবর্তী সময় সফলভাবে বিক্রি হয় এবং শুরু হয় তার ব্যবসায়িক যাত্রা। বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ধনকুবের ইলন মাস্কের শিক্ষাজীবনের এই অধ্যায় তার পরবর্তী জীবনে বড় প্রভাব রেখেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এদিকে ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। তার নতুন দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত দুই দল—রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর কিছুদিন পরই শনিবার (৬ জুলাই) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ তিনি নতুন দল গঠনের ঘোষণা দেন। মাস্ক বলেন, আমরা একদলীয় শাসনের মধ্যে বাস করছি, যেখানে অপচয় আর দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়া করে দেওয়া হচ্ছে। আজ ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হলো—মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে। তবে এখনো স্পষ্ট নয়, মাস্কের এ দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়েছে কি না। তিনি দলের নেতৃত্ব, কাঠামো বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও বিস্তারিতভাবে জানাননি। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাস্ক ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক ছিলেন। ট্রাম্পকে নির্বাচনে সহায়তা করতে তিনি প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিলেন। নির্বাচনের পর তাকে সরকারের নতুন বিভাগ ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই)’-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার কাজ ছিল বাজেট খরচ কমানো। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে মাস্ক প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ান। এর পর থেকেই ট্রাম্পের নতুন বাজেট পরিকল্পনা, যেটিকে ট্রাম্প ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে উল্লেখ করেন, সেটির সমালোচনা শুরু করেন মাস্ক। বিশাল এই বাজেট পরিকল্পনায় রয়েছে বিপুল ব্যয় বৃদ্ধি ও কর হ্রাস, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দিতে পারে। এ নিয়ে মাস্ক ‘এক্স’-এ একটি জনমত জরিপ চালান। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। মাস্ক বলেন, ২:১ ব্যবধানে মানুষ নতুন দল চেয়েছে, আর তারা সেটা পেতে যাচ্ছে। তবে এই দল নির্বাচনে অংশ নেবে কি না বা মাস্ক নিজে প্রার্থী হবেন কি না, এসব বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মাস্কের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
স্ট্যানফোর্ডের পিএইচডি ছেড়ে ব্যবসায় নেমেছিলেন আজকের ইলন মাস্ক
ক্রোম ব্রাউজারে ভয়ংকর ত্রুটির সন্ধান, যেভাবে রাখতে হবে নিরাপদ
ক্রোম ব্রাউজারে থাকা ভয়ংকর এক নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান মিলেছে। ‘জিরো ডে’ ঘরানার এ ত্রুটি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশের সময় গোপনে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে কোড যুক্ত করে নজরদারি চালাতে পারে সাইবার অপরাধীরা। এই ত্রুটি সমাধানে ক্রোম ব্রাউজারের নতুন নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল। গুগল জানিয়েছে, ‘সিভিই-২০২৫-৬৫৫৪’ নামের জিরো ডে ঘরানার নিরাপত্তাত্রুটি শনাক্ত করেছে গুগলের থ্রেট অ্যানালাইসিস গ্রুপ। গত ২৫ জুন শনাক্তের পর এই ত্রুটিকে উচ্চমাত্রার ত্রুটি হিসেবে চিহ্নিত করে সমাধান করার চেষ্টা চলছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এর সমাধান করে নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্ত করা হবে। সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পেতে উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনাক্স সিস্টেমে চলা যন্ত্রে দ্রুত হালনাগাদ নিরাপত্তা প্যাঁচটি ব্যবহার করতে হবে বলেও জানায় বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি গুগল। গুগলের তথ্যমতে, সিভিই-২০২৫-৬৫৫৪ ত্রুটিটি কাজে লাগিয়ে কম্পিউটারে ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে নতুন কোডযুক্ত করা যায়। এর ফলে দূর থেকে গোপনে কম্পিউটারে থাকা তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করা সম্ভব। আর তাই নিরাপদ থাকতে নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্তের পরপরই ব্যবহার করতে হবে। উল্লেখ্য, ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের নিরাপদে রাখতে নিয়মিত ব্রাউজারের নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্ত করে গুগল। কিন্তু জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি মূলত সফটওয়্যারের দুর্বলতা। ফলে চাইলেও দ্রুত নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্ত করা সম্ভব হয় না। তাই প্যাঁচ উন্মুক্তের আগে সাইবার অপরাধীরা যদি কোনো ত্রুটি ব্যবহার করতে পারে, তখন সেটিকে জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি বলা হয়। সূত্র : গ্যাজেটস ৩৬০
ক্রোম ব্রাউজারে ভয়ংকর ত্রুটির সন্ধান, যেভাবে রাখতে হবে নিরাপদ
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন দুই সুবিধা চালু
বর্তমানে বিভিন্ন অ্যাপে বার্তার মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ করেন অনেকেই। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে অপরিচিত ব্যক্তিদের পাঠানো সব বার্তার উত্তর দেওয়া সব সময় সম্ভব হয় না। এ সমস্যা সমাধানে মেটা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) চ্যাটবটের মাধ্যমে অন্যদের পাঠানো সব বার্তার সারসংক্ষেপ জানার সুযোগ চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এতে বার্তাগুলো না পড়েই উল্লেখযোগ্য তথ্য জানার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা। হোয়াটসঅ্যাপের তথ্যমতে, মেটার প্রাইভেট প্রসেসিং প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অন্যদের পাঠানো সব বার্তার সারসংক্ষেপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিখে দেবে ‘মেটা এআই’ চ্যাটবট। এআই প্রযুক্তির ‘এআই মেসেজ সামারি’ সুবিধাটি ঐচ্ছিক হওয়ায় ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী চালু বা বন্ধ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীদের জন্য সুবিধাটি চালু করা হয়েছে। বছরের শেষ নাগাদ অন্যান্য দেশে সুবিধাটি চালু করা হবে। হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস ব্যবহারকারীদের জন্যও ভয়েস কলের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এত দিন এ সুবিধা শুধু ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা গেলেও, এবার বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভয়েস কল করতে পারবে। এর ফলে গ্রাহকরা সরাসরি ফোন করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোও গ্রাহকের নম্বরে কল করে বিভিন্ন সেবা দিতে পারবে। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ভয়েস কলের পাশাপাশি ভয়েস বার্তা আদান-প্রদানের সুযোগও শিগগিরই চালু করা হবে। মেটা আরও জানিয়েছে, ভয়েস কল ও বার্তার সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ভয়েস এজেন্ট যুক্ত করা যাবে। প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি এআই ভয়েস এজেন্ট যুক্ত করে হোয়াটসঅ্যাপেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকসেবা পরিচালনা করতে পারবে। সূত্র : দ্য ভার্জ, টেক ক্র্যাঞ্চ
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন দুই সুবিধা চালু
রাজনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ ‘এআই প্রোপাগান্ডা’
রাজনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ ‘এআই প্রোপাগান্ডা’