শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪ ভাদ্র ১৪৩২

গুপ্তচরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নতুন বিপদে ইরান

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
ইরানের অস্ত্র প্রদর্শন। ছবি : সংগৃহীত
ইরানের অস্ত্র প্রদর্শন। ছবি : সংগৃহীত

নতুন বিপদে পড়তে যাচ্ছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। এবার সশস্ত্র প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়েছে বেলজিয়াম। এক গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ডাদেশের জেরে এ খড়্গ আসতে চলেছে। দেশটি সফল হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কঠোর বিধিনিষেধে পড়বে আইআরজিসি।

ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানায়, বেলজিয়ামের সংসদীয় কমিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এমপি দারিয়া সাফাই বুধবার (২ জুলাই) এ তথ্য জানান।

ইরানি বংশোদ্ভূত আইনপ্রণেতা সাফাই বলেছেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ এবং অভ্যন্তরীণ দমন-পীড়নে আইআরজিসিকে দায়ী করার জন্য তার দীর্ঘস্থায়ী প্রচারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এটি। বেলজিয়াম ইউরোপের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি, যারা স্পষ্টভাবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

এক্স-এ তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবে আহমদরেজা জালালির নিঃশর্ত এবং তাৎক্ষণিক মুক্তি এবং ইরানের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিচালিত মৃত্যুদণ্ড বন্ধ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

সুইডিশ-ইরানি শিক্ষাবিদ জালালিকে ২০১৬ সালে ইরানে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং পরের বছর ইসরায়েলের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। এপ্রিল মাসে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার অবনতিশীল স্বাস্থ্য এবং কঠোর কারাগারের অবস্থার কথা উল্লেখ করে মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানান।

সাফাই দুই বছরেরও বেশি সময় আগে এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন এবং এর আগে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহবিবের সমর্থন পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, বেলজিয়াম ইইউ নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থায় আইআরজিসিকে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

‘কার্টফেল ক্যোনিগ’ জার্মানির আলুর কিংবদন্তি
জার্মানির খাদ্যসংস্কৃতির অন্যতম প্রধান চরিত্র ‘কার্টফেল’, সহজ ভাষায় আমরা যাকে আলু বলেই চিনে থাকি। কিন্তু এই সাধারণ আলুর পেছনে লুকিয়ে আছে এক মজার ইতিহাস আর কিছু জনপ্রিয় কল্পকাহিনী, যা আজও জার্মানদের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। আলুর ‘রাজা’ ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেট অনেকেই মনে করেন, প্রুশিয়ার রাজা ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেটই জার্মানিতে প্রথম আলু এনেছিলেন। কাহিনি বলে, তিনি আলুর বাগান পাহারা দিয়ে সাধারণ মানুষকে উসকে দেন আলু ‘চুরি’ করতে। যাতে তারা আলুর গুরুত্ব বুঝতে পারে। তাই তাকে বলা হয় ‘কার্টফেল ক্যোনিগ’ বা আলুর রাজা। কিন্তু ইতিহাসবিদেরা এই গল্পকে মিথ্যে বলে আখ্যায়িত করেন। ইতিহাস বলে, রাজা ফ্রেডেরিক নিজেই কখনো আলু খেতেন না, আর আলু জনপ্রিয়তা পায় তার মৃত্যুর অনেক পরে। প্রকৃতপক্ষে, আলু আসে ১৬৫০-এর দশকে, তার প্রপিতামহের সময়ে। আর আলু জার্মান জনসাধারণের মুখে ঘর করে নেয় ১৮১৫ সালে, নেপোলিয়নিক যুদ্ধের পর। যদিও ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেটের গল্প সঠিক না, তবুও সে কাহিনি জার্মানরা এখনও মানে। আজও প্রুশিয়ার প্রাসাদের পাশে আলু আর কাগজের মুকুট রাখা হয়, আর দোকানে পাওয়া যায় নানা আলু সম্পর্কিত উপহারসামগ্রী। এটি ইতিহাসের সঙ্গেই জার্মান সংস্কৃতির এক চমৎকার মিলনস্থান। বহু আগে থেকেই জার্মানির রান্নায় আলু কোনো সাধারণ সবজি নয়, বরং একটি প্রধান খাদ্যের অংশ। সালাদ থেকে শুরু করে কেক, ডাম্পলিং থেকে প্যানকেক- প্রায় সবখানেই আলুর ব্যবহার। অনেক পরিবারের নানি-দাদি থেকে শুরু করে আজকের প্রজন্ম পর্যন্ত আলুর রেসিপি প্রজন্মান্তরে চলে এসেছে। জার্মানিতে আলু দিয়ে বানানো মিষ্টি কেকও খুবই জনপ্রিয়। আলু আর গাজরের সংমিশ্রণে তৈরি এই কেকটি শুধু সুস্বাদু না বরং তার সঙ্গে জার্মানির ঐতিহ্যেরও অংশ।  ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেট হয়তো বাস্তবে আলুর রাজা ছিলেন না, তবে তার নামের সঙ্গে গাঁথা আলুর গল্প ও ভালোবাসা আজও জার্মানদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। ইতিহাসের অনেক গল্পই কল্পকথা, তবে দৈনন্দিন জার্মান জীবনে আলুর স্থান সত্যিই অমোঘ। তাই আজও কার্টফেল ক্যোনিগের গল্প শুনলে একটু হাসি থেমে যায়, আর আলুর প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যায় জার্মানদের । 
‘কার্টফেল ক্যোনিগ’ জার্মানির আলুর কিংবদন্তি
রাফাল নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের বিস্ফোরক মন্তব্য
ফ্রান্সের তৈরি অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমানের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্রিয়ভাবে ষড়যন্ত্র করছে চীন। এমন অভিযোগই তুলেছেন ফরাসি সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাফালের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করতে সমন্বিত বিভ্রান্তিকর প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে এবং এর পেছনে রয়েছে চীন ও পাকিস্তান। খবর আলজাজিরার। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০২৫ সালের মে মাসে চার দিনের তীব্র সীমান্ত সংঘর্ষ হয়। এতে দুপক্ষের বহু যুদ্ধবিমান আকাশযুদ্ধেও অংশ নেয়। ওই সময় পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি ছিল রাফাল। ফরাসি সামরিক সূত্র বলছে, তাদের প্রাপ্ত তথ্যে ভারত তিনটি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে। একটি রাফাল, একটি রুশ নির্মিত সুখোই এবং একটি পুরোনো মিরাজ ২০০০। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এ ঘটনাটি রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম বড় ক্ষয়ক্ষতির রেকর্ড। এতে রাফালের বৈশ্বিক ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ফ্রান্স। ফেক নিউজ ও ডিজিটাল প্রচারণা যুদ্ধ ফরাসি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পরই শুরু হয় রাফালবিরোধী প্রচারণা। তারা বলছেন, চীন ও পাকিস্তান যৌথভাবে:  - সোশ্যাল মিডিয়ায় রাফালবিরোধী পোস্ট ভাইরাল করে - এআই-নির্মিত ভুয়া ভিডিও প্রকাশ করে - ভিডিও গেমের দৃশ্য ব্যবহার করে বাস্তব যুদ্ধের ভুয়া ফুটেজ ছড়ায় - ধ্বংস হওয়া রাফালের ভুয়া ছবি প্রকাশ করে ফরাসি গোয়েন্দাদের দাবি, সংঘর্ষ শুরুর পর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এক হাজারের বেশি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়, যেগুলোর মাধ্যমে চীনের যুদ্ধবিমানকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে তুলে ধরা হয় এবং রাফালকে অকার্যকর হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা চলে। চীনা দূতাবাসের ভূমিকা ফরাসি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন দেশের চীনা দূতাবাস এই প্রচারণায় সরাসরি জড়িত। চীনের সামরিক অ্যাটাশেরা স্থানীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে রাফালের দুর্বলতা তুলে ধরেন এবং তাদের চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান কেনার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া, যারা এরই মধ্যে ৪২টি রাফাল অর্ডার করেছে এবং আরও কেনার চিন্তাভাবনা করছে—তারা এই প্রচারণার প্রধান লক্ষ্যবস্তু বলে জানিয়েছেন এক ফরাসি সামরিক কর্মকর্তা। ফরাসি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাফালের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানো হয়েছে, যার উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের মনোভাব প্রভাবিত করা এবং চীনা যুদ্ধবিমানকে বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা। তারা আরও জানায়, রাফাল একটি বিশ্বমানের যুদ্ধবিমান। এটি আধুনিক প্রযুক্তি ও বহু অপারেশনে সফলতার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অপরদিকে, চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ফ্রান্সের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন সবসময় দায়িত্বশীলভাবে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করে এবং বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী।  রাফাল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত ৫৩৩টি রাফাল বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ৩২৩টি গেছে বিভিন্ন বিদেশি গ্রাহকের কাছে— মিশর, ভারত, কাতার, গ্রিস, ক্রোয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সার্বিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাফালের কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক ছড়ালেও, এর প্রযুক্তিগত দিক ও যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা অনেক দেশকেই এখনো আকৃষ্ট করছে।
রাফাল নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের বিস্ফোরক মন্তব্য
আল জাজিরার বিশ্লেষণ / ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব, গাজায় যুদ্ধ কি থামবে?
গাজায় আগ্রাসন চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। প্রতিদিনই বাড়ছে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুদেশের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নতুন করে গতি এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এক প্রস্তাব ঘিরে আলোচনার নতুন পর্ব শুরু হলেও এই প্রস্তাব বাস্তবে যুদ্ধ থামাতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। গত সপ্তাহে ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে গাজার ২১ মাসের দীর্ঘ যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টা হবে। তিনি আশাবাদী যে, আজ সোমবার (৭ জুলাই) গাজা নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সঙ্গে একটি চুক্তি হতে পারে। অপরদিকে, কিছু সংশোধনীসহ হামাসও মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে নেতানিয়াহু এই সংশোধনগুলোকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করলেও বর্তমানে কাতারে আলোচনায় অংশ নিচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল। হামাসের তিনটি মূল দাবি # গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) বন্ধ: এই বিতর্কিত ত্রাণ কাঠামোর মাধ্যমে খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৪৩ জন ফিলিস্তিনি। অভিযোগ উঠেছে, ইসরায়েলি সেনারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে খাদ্যের জন্য জড়ো হওয়া মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। # ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার: হামাস চায়, মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতির আগে যেসব অবস্থানে ইসরায়েলি সেনারা ছিল, তাদের সেখানে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। সম্প্রতি ইসরায়েল গাজায় নতুন স্থল অভিযান শুরু করেছে, ‘নেতসারিম’ ও ‘মোরাগ করিডর’ তৈরি করে গোটা উপত্যকাকে বিভক্ত করছে। # যুদ্ধের স্থায়ী অবসানে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা: হামাসের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিধর দেশের পক্ষ থেকে এমন নিশ্চয়তা চাই, যাতে যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল যেন নতুন করে হামলা শুরু না করে। মার্কিন প্রস্তাবে কী আছে? অন্যদিকে মার্কিন প্রস্তাবের মূল কেন্দ্রে রয়েছে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি। প্রথম ধাপে, হামাস ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি এবং ১৮ জনের মরদেহ ফিরিয়ে দেবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। পরে, ত্রাণ সহায়তার জন্য জাতিসংঘ ও রেড ক্রস গাজায় কাজ করবে এবং ইসরায়েলি বাহিনী ধাপে ধাপে পিছু হটবে।  তবে, নেতানিয়াহু যুদ্ধ পুরোপুরি থামানোর পক্ষে নন। তিনি বারবার বলছেন, সব বন্দিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত এবং হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করা বাস্তবসম্মত কোনো লক্ষ্য নয়। বরং নেতানিয়াহু নিজের রাজনৈতিক টিকে থাকার স্বার্থে এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইছেন। দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত নেতানিয়াহু সরকারবিরোধী বিক্ষোভে কোণঠাসা। তার কট্টরপন্থি জোটসঙ্গীরা- ইতামার বেন গভির ও বেজালেল স্মোত্রিচ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে এবং গাজায় ত্রাণ বন্ধে আগ্রহী। বর্তমানে,  ইসরায়েল প্রতিদিনই গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পশ্চিম তীরেও সহিংসতা অব্যাহত। বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনারা স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, বসতভিটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, চলাচলের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। ট্রাম্প চাইছেন চুক্তি হোক, ফিলিস্তিনিরাও মরতে মরতে যুদ্ধ থামার জন্য মরিয়া। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল বাধা হলো ইসরায়েল ও নেতানিয়াহুর মধ্যে যুদ্ধ থামানোর সদিচ্ছার অভাব। কাতার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আদনান হায়াজনে আল জাজিরাকে বলেন, ‘চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।’  তার ভাষায়, ইসরায়েলের লক্ষ্য জনশূন্য গাজা তৈরি করা। ফিলিস্তিনিদের সামনে এখন তিনটি পথ- না খেয়ে মারা যাওয়া, গুলিতে মারা যাওয়া, অথবা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া। তবে ইতিহাস বলছে, ফিলিস্তিনিরা নিজের মাটি ছেড়ে যাওয়ার পক্ষপাতী নয়। 
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব, গাজায় যুদ্ধ কি থামবে?
ইয়েমেনে দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলা
ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমাঞ্চলে লোহিত সাগরে একাধিক স্থাপনায় সমন্বিত বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৬ জুলাই) হুদাইদা প্রদেশে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে শাফাক নিউজ। হুতি সমর্থিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো হুদাইদা শহর ছাড়াও রাস ইসা, আস-সালিফ বন্দর এবং রাস কাতিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়। এসব লক্ষ্যবস্তু অঞ্চলটির কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। হুতিদের দাবি, হামলার সময় তারা শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করে এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি দাবি করেন, তাদের প্রতিরোধের মুখে কয়েকটি ইসরায়েলি বিমান পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে এই দাবিগুলো সত্য কি না তা যাচাই করা এখনো সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচাই আদ্রেই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, এসব স্থাপনা ইরান থেকে অস্ত্র সরবরাহ এবং হুতিদের মাধ্যমে লোহিত সাগরে সামুদ্রিক হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামে একটি বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালিয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে হুতিরা এটি দখলে নেয়। জাহাজটি একটি জাপানি কোম্পানি পরিচালনা করলেও মালিকানা ছিল একটি ইসরায়েলি-সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের। রোববার আরেকটি ঘটনায় যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস জানায়, লোহিত সাগরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ হুতিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র নৌকার হামলার শিকার হয়। আরপিজি এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে চালানো এই হামলা নিরাপত্তা টিমের পাল্টা জবাবে ব্যর্থ হয় এবং হামলাকারীরা পিছু হটে যায়। হতাহত বা ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।  জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে- সামুদ্রিক পথের নিরাপত্তা বিঘ্ন, বন্দর অবকাঠামোতে হামলা এবং যুদ্ধাপরাধের ঝুঁকি গোটা অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ সংকটের দ্বার খুলে দিতে পারে।
ইয়েমেনে দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলা
এরই মধ্যে ‘মধ্যপ্রাচ্যকে বদলে দিয়েছে ইসরায়েল’
এরই মধ্যে ‘মধ্যপ্রাচ্যকে বদলে দিয়েছে ইসরায়েল’
ইরানে নতুন করে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ২ সদস্য নিহত
ইরানে নতুন করে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ২ সদস্য নিহত
কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ইসরায়েল
কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ইসরায়েল
বিমানের ডানা থেকে লাফ দিয়ে আহত ১৮
বিমানের ডানা থেকে লাফ দিয়ে আহত ১৮