শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

এরই মধ্যে ‘মধ্যপ্রাচ্যকে বদলে দিয়েছে ইসরায়েল’

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৩ এএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫০ এএম
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েল সরকার হামাসকে পরাজিত করতে এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টায় অটল। এমনই দাবি জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকের আগে তিনি এ কথা বলেন। খবর শাফাক নিউজের।

রোববার (৬ জুলাই) বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নেতানিয়াহু গাজায় চলমান যুদ্ধকে ইসরায়েলের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য বদলে দিয়েছি।’

তার দাবি, ইসরায়েলের সামরিক ও কূটনৈতিক কৌশল ভবিষ্যতের শান্তিচুক্তির ভিত্তি গড়ে তুলছে।

রোববার ইসরায়েলের একটি দল কাতারে গেছে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চালিয়ে নিতে। নেতানিয়াহু বলেন, আলোচক দলকে পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন তারা বর্তমান আলোচনার কাঠামোর ভিত্তিতে একটি চুক্তির দিকে এগিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে তার আসন্ন বৈঠক এ আলোচনা এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।

এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এমন সময়ে চলছে যখন যুদ্ধবিরতির আলোচনা কয়েক মাস ধরে ফলপ্রসূ হচ্ছে না। সম্প্রতি হামাস একটি খসড়া চুক্তিতে সংশোধন প্রস্তাব দিয়েছে, যা ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে। জেরুজালেমের দাবি, যুদ্ধবিরতি ধাপে ধাপে হতে হবে; প্রথমে গাজায় বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি, এরপর হামাসকে অস্ত্রহীন করা।

এই সংঘাত শুরু হয় ২০২৩ সালের অক্টোবরে, যখন হামাস হঠাৎ করে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায়। এরপর ইসরায়েলের বিমান হামলা ও স্থল অভিযান গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যদিও নিরপেক্ষভাবে এই সংখ্যা যাচাই করা কঠিন, কারণ সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশ অনেকটা সীমিত।

তবে, ইসরায়েলের মধ্যেও অসন্তোষ বাড়ছে। প্রতি সপ্তাহে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে, যেখানে মানুষ সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে যেন দ্রুত বন্দি মুক্তির চুক্তি করে যুদ্ধের ইতি টানা হয়। বন্দিদের পরিবারের সদস্য ও বিরোধী দলগুলো নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে যে, তিনি মানবিকতা ও জাতীয় স্বার্থের চেয়ে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

যুদ্ধ চললেও নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, তার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হলো আরব ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। তিনি ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তির ভিত্তিতে এগোতে চান, যেটি ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে হয়েছিল। সেই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

যদিও গাজার মানবিক সংকটের কারণে কিছু দেশ আলোচনা স্থগিত করেছে, নেতানিয়াহু মনে করেন ওয়াশিংটনের সহযোগিতায় আলোচনা আবারও শুরু হতে পারে। ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের মধ্যে যে বৈঠক আজ সোমবার (৭ জুলাই) হওয়ার কথা, সেখানে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, ইরানের প্রভাব এবং যুদ্ধবিরতির চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ইসরায়েল
কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ইসরায়েল
বিমানের ডানা থেকে লাফ দিয়ে আহত ১৮
বিমানের ডানা থেকে লাফ দিয়ে আহত ১৮
শরণার্থীদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে জার্মান সরকার
শরণার্থীদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে জার্মান সরকার
ইতালিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আহত ২৭
ইতালিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আহত ২৭