বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫০ এএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৪ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

গাজা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একটি রকেট ছোড়া হয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী নিরিমসহ আশপাশের এলাকায় সাইরেন বাজানো হয়। খবর শাফাক নিউজের।

রোববার (৭ জুলাই) রাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, রাত ৯টার কিছু পর দক্ষিণ গাজা থেকে রকেটটি ছোড়া হয় এবং এটি নিরিম এলাকার কাছে খোলা জায়গায় আঘাত হানে। এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

রকেট হামলার পর হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে।

তারা জানিয়েছে, খান ইউনুসের উত্তরের আল-সাতার ও আল-কারারায় ইসরায়েলি সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরিম ও আইন হাশলোশা এলাকায় ১১৪ মিমি রাজউম ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

এ হামলা এমন সময় হলো যখন গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চেষ্টার পাশাপাশি সংঘাতও অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

গাজায় ক্ষুধা ‘দুর্ভিক্ষ’ নয়, বরং পরিকল্পিত যুদ্ধকৌশল
গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয়কে সাধারণ দুর্ভিক্ষ বা যুদ্ধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে না দেখে এটিকে একটি সুপরিকল্পিত যুদ্ধকৌশল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ফিলিস্তিনি গবেষক ও পরিবেশকৃষি বিশেষজ্ঞ ফুয়াদ আবু সাইফ। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ও জীবনধারণের উপকরণকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ইসরায়েল একটি কাঠামোগত গণহত্যার পথে আগাচ্ছে। এক নিবন্ধে তিনি বলেন, গাজায় এখন যে দুর্ভিক্ষ চলছে, তা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ব্যর্থ রাষ্ট্রের ফল নয়। এটি একটি চলমান অপরাধ এবং এটি বিশ্বের সামনেই সংঘটিত হচ্ছে।  আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে আবু সাইফ জানান, গাজার ৯৫ শতাংশের বেশি কৃষিজমি ইতিমধ্যেই ধ্বংস হয়েছে অথবা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে খাদ্য উৎপাদনের স্বনির্ভরতা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তার দাবি, এটি কেবল অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং এটি একটি জাতির স্বাধীনভাবে বাঁচার সক্ষমতাকে নষ্ট করার প্রচেষ্টা।  গবেষকের ভাষায়, ইসরায়েল এখন আর শুধু সামরিক হামলায় সীমাবদ্ধ নেই। বরং খাদ্য, পানি ও কৃষিজ উৎপাদনের উপায়গুলোকে টার্গেট করে গাজাবাসীর জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলছে ইসরায়েল। তিনি বলেন, শস্য সরবরাহ বন্ধ, পানি পরিকাঠামোয় হামলা, কৃষক ও জেলেদের ওপর আগ্রাসন- এসবই একটি বৃহৎ কৌশলের অংশ। আর এর উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদের সমাজ ও অর্থনীতিকে ভেঙে ফেলা।  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়েও তার লেখায় প্রশ্ন তুলেন তিনি। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মহলের নির্লিপ্ততা ও অস্পষ্ট কূটনৈতিক বিবৃতির ফলে ক্ষুধাকে একটি বৈধ যুদ্ধকৌশল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফুয়াদ আবু সাইফ বলেন, ‘যখন খাদ্যপণ্য- যেমন ময়দা, শিশু খাদ্য বা বোতলজাত পানি সরবরাহকে রাজনৈতিক দরকষাকষির অংশ করা হয়, তখন তা ‍আর শুধুমাত্র মানবিক সংকট থাকে না। তখন সেটি হয়ে ওঠে নির্দয় রাজনৈতিক শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যম মাত্র। ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে ‘নিয়েলেনি গ্লোবাল ফোরাম’-এর তৃতীয় সম্মেলন। এতে বিশ্বজুড়ে কৃষক, জেলে ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতারা অংশ নেবেন। সাইফের দাবি, ‘আমরা চাই এমন একটি বিশ্ব গড়ে তুলতে, যেখানে খাদ্য কখনোই যুদ্ধের হাতিয়ার হবে না।’  আবু সাইফ বলেন, ‘ইতিহাস গাজার ঘটনা মনে রাখবে। মনে রাখবে, কারা মুখ খুলেছিল আর কারা চুপ ছিল। বিচার হয়তো বিলম্বিত হবে, কিন্তু বিচার হবেই।’ সূত্র: ‍আলজাজিরা 
গাজায় ক্ষুধা ‘দুর্ভিক্ষ’ নয়, বরং পরিকল্পিত যুদ্ধকৌশল
ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মসূচির সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে ভোট দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। বুধবার (২ জুলাই) অনুষ্ঠিত ভোটে ৩৮৫ জন এমপি প্রস্তাবের পক্ষে এবং ২৬ জন বিপক্ষে ভোট দেন। মুসলিমদের মধ্যে টিউলিপসহ কয়েকজন এমপি এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ফাইভ পিলারস। তবে বেশিরভাগ মুসলিম এমপি ভোটে অংশ নেননি। ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ গত মাসে যুক্তরাজ্যের এক সামরিক ঘাঁটিতে ঢুকে দুটি বিমানের গায়ে লাল রঙ ছিটিয়ে প্রতিবাদ করে। সংগঠনটি যুক্তরাজ্যের ইসরায়েল সমর্থন ও গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সরব রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে আল-কায়েদা ও আইএসের মতো একই আইনি পর্যায়ে ফেলা হয়েছে। এর মানে হলো, এই সংগঠনকে সমর্থন করা বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকা এখন থেকে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ব্রিটিশ সংসদের স্বাধীন এমপি জারা সুলতানা এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘একটি রঙের স্প্রে ক্যানকে আত্মঘাতী বোমার সঙ্গে তুলনা করা শুধু হাস্যকর নয়, বরং এটি আইন বিকৃত করার একটি জঘন্য উদাহরণ।’ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের প্রধান নির্বাহী সাচা দেশমুখও এই পদক্ষেপকে ‘আইনের নজিরবিহীন অপব্যবহার’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘এই ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকার গ্রেপ্তার, বাক-স্বাধীনতা দমন, নজরদারি ও আরও অনেক কিছু করতে পারবে।’ ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ এই সিদ্ধান্তকে অন্যায় ও ক্ষমতার অপব্যবহার বলে উল্লেখ করেছে এবং এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করেছে। সংগঠনটি ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা ইসরায়েলি অস্ত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। ব্রিটিশ সরকার দাবি করেছে, তাদের এই কর্মকাণ্ডে মিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে, প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের কর্মীরা ব্রিস্টলে এলবিট সাইটের প্রবেশপথ অবরোধ করেছে এবং সাফোকের একটি ভবনের ছাদ দখল করে রেখেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের নিযুক্ত বিশেষজ্ঞরাও যুক্তরাজ্যকে এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাদের মতে, মানুষের প্রাণনাশের ইচ্ছা ছাড়াই সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সন্ত্রাসবাদ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়। তবে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াভেট কুপার এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, ‘সহিংসতা ও অপরাধমূলক ক্ষতিসাধনের কোনো স্থান বৈধ প্রতিবাদে নেই। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জিরো টলারেন্স অবলম্বন করতে হবে।’ আলজাজিরা জানায়, অনেক এমপি এই ভোটে বাধ্যবাধকতায় পড়েছিলেন। কারণ, একটির বিপক্ষে ভোট দিলে বাকি দুটি সংগঠনকেও নিষিদ্ধ করা যেত না। তাই অধিকাংশ এমপি প্রস্তাবের পক্ষে থাকতে বাধ্য হন।
ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ
আল জাজিরার বিশ্লেষণ / ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব, গাজায় যুদ্ধ কি থামবে?
গাজায় আগ্রাসন চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। প্রতিদিনই বাড়ছে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুদেশের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নতুন করে গতি এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এক প্রস্তাব ঘিরে আলোচনার নতুন পর্ব শুরু হলেও এই প্রস্তাব বাস্তবে যুদ্ধ থামাতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। গত সপ্তাহে ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে গাজার ২১ মাসের দীর্ঘ যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টা হবে। তিনি আশাবাদী যে, আজ সোমবার (৭ জুলাই) গাজা নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সঙ্গে একটি চুক্তি হতে পারে। অপরদিকে, কিছু সংশোধনীসহ হামাসও মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে নেতানিয়াহু এই সংশোধনগুলোকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করলেও বর্তমানে কাতারে আলোচনায় অংশ নিচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল। হামাসের তিনটি মূল দাবি # গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) বন্ধ: এই বিতর্কিত ত্রাণ কাঠামোর মাধ্যমে খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৪৩ জন ফিলিস্তিনি। অভিযোগ উঠেছে, ইসরায়েলি সেনারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে খাদ্যের জন্য জড়ো হওয়া মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। # ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার: হামাস চায়, মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতির আগে যেসব অবস্থানে ইসরায়েলি সেনারা ছিল, তাদের সেখানে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। সম্প্রতি ইসরায়েল গাজায় নতুন স্থল অভিযান শুরু করেছে, ‘নেতসারিম’ ও ‘মোরাগ করিডর’ তৈরি করে গোটা উপত্যকাকে বিভক্ত করছে। # যুদ্ধের স্থায়ী অবসানে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা: হামাসের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিধর দেশের পক্ষ থেকে এমন নিশ্চয়তা চাই, যাতে যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল যেন নতুন করে হামলা শুরু না করে। মার্কিন প্রস্তাবে কী আছে? অন্যদিকে মার্কিন প্রস্তাবের মূল কেন্দ্রে রয়েছে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি। প্রথম ধাপে, হামাস ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি এবং ১৮ জনের মরদেহ ফিরিয়ে দেবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। পরে, ত্রাণ সহায়তার জন্য জাতিসংঘ ও রেড ক্রস গাজায় কাজ করবে এবং ইসরায়েলি বাহিনী ধাপে ধাপে পিছু হটবে।  তবে, নেতানিয়াহু যুদ্ধ পুরোপুরি থামানোর পক্ষে নন। তিনি বারবার বলছেন, সব বন্দিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত এবং হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করা বাস্তবসম্মত কোনো লক্ষ্য নয়। বরং নেতানিয়াহু নিজের রাজনৈতিক টিকে থাকার স্বার্থে এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইছেন। দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত নেতানিয়াহু সরকারবিরোধী বিক্ষোভে কোণঠাসা। তার কট্টরপন্থি জোটসঙ্গীরা- ইতামার বেন গভির ও বেজালেল স্মোত্রিচ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে এবং গাজায় ত্রাণ বন্ধে আগ্রহী। বর্তমানে,  ইসরায়েল প্রতিদিনই গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পশ্চিম তীরেও সহিংসতা অব্যাহত। বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনারা স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, বসতভিটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, চলাচলের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। ট্রাম্প চাইছেন চুক্তি হোক, ফিলিস্তিনিরাও মরতে মরতে যুদ্ধ থামার জন্য মরিয়া। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল বাধা হলো ইসরায়েল ও নেতানিয়াহুর মধ্যে যুদ্ধ থামানোর সদিচ্ছার অভাব। কাতার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আদনান হায়াজনে আল জাজিরাকে বলেন, ‘চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।’  তার ভাষায়, ইসরায়েলের লক্ষ্য জনশূন্য গাজা তৈরি করা। ফিলিস্তিনিদের সামনে এখন তিনটি পথ- না খেয়ে মারা যাওয়া, গুলিতে মারা যাওয়া, অথবা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া। তবে ইতিহাস বলছে, ফিলিস্তিনিরা নিজের মাটি ছেড়ে যাওয়ার পক্ষপাতী নয়। 
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব, গাজায় যুদ্ধ কি থামবে?
ইয়েমেনে দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলা
ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমাঞ্চলে লোহিত সাগরে একাধিক স্থাপনায় সমন্বিত বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৬ জুলাই) হুদাইদা প্রদেশে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে শাফাক নিউজ। হুতি সমর্থিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো হুদাইদা শহর ছাড়াও রাস ইসা, আস-সালিফ বন্দর এবং রাস কাতিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়। এসব লক্ষ্যবস্তু অঞ্চলটির কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। হুতিদের দাবি, হামলার সময় তারা শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করে এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি দাবি করেন, তাদের প্রতিরোধের মুখে কয়েকটি ইসরায়েলি বিমান পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে এই দাবিগুলো সত্য কি না তা যাচাই করা এখনো সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচাই আদ্রেই তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, এসব স্থাপনা ইরান থেকে অস্ত্র সরবরাহ এবং হুতিদের মাধ্যমে লোহিত সাগরে সামুদ্রিক হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামে একটি বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালিয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে হুতিরা এটি দখলে নেয়। জাহাজটি একটি জাপানি কোম্পানি পরিচালনা করলেও মালিকানা ছিল একটি ইসরায়েলি-সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের। রোববার আরেকটি ঘটনায় যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস জানায়, লোহিত সাগরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ হুতিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র নৌকার হামলার শিকার হয়। আরপিজি এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে চালানো এই হামলা নিরাপত্তা টিমের পাল্টা জবাবে ব্যর্থ হয় এবং হামলাকারীরা পিছু হটে যায়। হতাহত বা ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।  জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে- সামুদ্রিক পথের নিরাপত্তা বিঘ্ন, বন্দর অবকাঠামোতে হামলা এবং যুদ্ধাপরাধের ঝুঁকি গোটা অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ সংকটের দ্বার খুলে দিতে পারে।
ইয়েমেনে দফায় দফায় ইসরায়েলের হামলা
ব্রিকস সম্মেলনে গর্জে উঠল ইরান, জানাল প্রাণহানির সংখ্যা
ব্রিকস সম্মেলনে গর্জে উঠল ইরান, জানাল প্রাণহানির সংখ্যা
ইসরায়েলের সঙ্গে বড়সড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান
ইসরায়েলের সঙ্গে বড়সড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান
এরই মধ্যে ‘মধ্যপ্রাচ্যকে বদলে দিয়েছে ইসরায়েল’
এরই মধ্যে ‘মধ্যপ্রাচ্যকে বদলে দিয়েছে ইসরায়েল’
নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী
নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী