শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪ ভাদ্র ১৪৩২

সংস্কার কমিশনের আগে সংস্কার জরুরি : খেলাফত আন্দোলনের আমির

চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
চাঁদপুরে সংবর্ধনা ও চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আল্লামা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী। ছবি : কালবেলা
চাঁদপুরে সংবর্ধনা ও চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আল্লামা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী। ছবি : কালবেলা

আমরা মনে করি, আগে সংস্কার কমিশনের সংস্কার জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।

রোববার (৬ জুলাই) সকালে চাঁদপুরের বাগাদী নানুপুর চৌরাস্তার মোড়ে অবস্থিত চাঁদপুরজমিন কমিউনিটি সেন্টারে সংবর্ধনা ও চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি বলেন, অনেকগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি নারী অধিকার সংস্কার। সংস্কারের নামে যে প্রস্তাবনা এসেছে, তা জাতি জানতে পেরেছে। ওলামা কেরামরা এর প্রতিবাদ করছে। এটা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে এ দেশের মুসলমান বলতে কিছু থাকবে না। সংস্কার কাদের নিয়ে হবে? আমরা মনে করি সংস্কার কমিশনের আগে সংস্কার জরুরি। সংস্কারের পর ধাপে ধাপে সংস্কার করতে গেলে দেশের অবস্থা খারাপ হবে। সংস্কারও দরকার, নির্বাচনও দরকার। আমরা মনে করি ঐক্যবদ্ধভাবে সব রাজনৈতিকদল একত্রে বসলে আমরা কী ধরনের নির্বাচন আশা করি তা জানলে হয়তো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায়। ধাপে ধাপে বসে প্রস্তাব নিলে সঠিক সংস্কার হবে না।

নির্বাচন সম্পর্কে হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ নির্বাচন চায়। বিগত কয়েকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এ দেশের জনগণ তাদের মেনে নিতে পারেনি। বিগত সরকারের আমলের ভয়ংকর চিত্রের কথা সবার জানা রয়েছে। আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় আসার চিন্তা করছে তাদের কর্মকাণ্ড হয়ত আরোও ভয়ংকর হবে। সাধারণ মানুষ এখন বিষয়গুলো চিন্তা করছে ও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তারা ইসলামীদলগুলোর বিজয় দেখতে চায়। সেই মোতাবেক ইসলামীদলগুলো চেষ্টা করছে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে।

পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্প্রতি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা উঠছে, আমি মনে করি এটিকে সমর্থন করার মতো। কারণ বাংলাদেশের মানুষ সব ভোটারের ভোটের ফল এখানে নিশ্চিত হবে। নির্বাচন হলে দেখা যায় ৩০০ আসনে চার হাজার প্রার্থী থাকে কিন্তু নির্বাচিত হয় ৩০০ জন। অপরদিকে বাকি প্রার্থীকে যারা ভোট দিয়েছে সেটি কোনো কাজে লাগে না, এটি হতে পারে না। তাই পিআর পদ্ধতি সব ভোটারের ভোট কাজে লাগবে। যেহেতু আমাদের দলে নীতি নির্ধারণী অনেক নেতা আছে, তাই তারা বসে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব ব্যক্তিগতভাবে আমার মত হচ্ছে পদ্ধতিটি থাকলে ভালো হয়।

এ সময় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শায়খুল হাদীস মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সফিকুল ইসলাম, জামিয়া ইয়াহ ইয়া উলুমুল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাও. তৈয়বুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার নায়েব আমির মনিরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

বৃদ্ধাকে মারধর করে টাকা ‘লুটে নিলেন’ জাসাস নেতা
নেত্রকোনার বারহাট্টায় শারিন আক্তার নামের এক বৃদ্ধাকে মারধর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) এক নেতার বিরুদ্ধে।  সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার রাতে বাহাদুরপুর গ্রামে ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত অলি উল্লাহ রায়হান বারহাট্টা উপজেলা জাসাসের সদস্য সচিব। তিনি উপজেলা সদরের গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা। আর ভুক্তভোগী শারিন আক্তার বাহাদুরপুর গ্রামের প্রয়াত মো. হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। স্থানীয় বাসিন্দা ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শারিন আক্তার সম্পর্কে অলি উল্লাহের মামি হন। সম্প্রতি শারিন আক্তারের সম্পতি নিয়ে অলি উল্লাহের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। শনিবার দুপুরে অলি উল্লাহ তার সৎ মা হাসিনা মমতাজকে নিয়ে শারিনের বাড়িতে আসেন।  এ সময় শারিন ঘরের দরজা বন্ধ করতে চাইলে অলি উল্লাহ জোর করে ঘরে ঢোকেন। শারিন বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয়। পরে তিনি ঘরের থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা শারিনকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় শারিনের মেয়ে পপি আজাদ ওই দিন রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পপি বলেন, অলি উল্লাহ আমাদের ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুরসহ আমার বৃদ্ধ মাকে বেধড়ক মারধর করে দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তার রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। এ ছাড়া কোনো পদক্ষেপও নিচ্ছে না পুলিশ। অলি উল্লাহ এখন আমাদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অলি উল্লাহ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ঘরে ঢুকে হামলা বা ভাঙচুর কিংবা টাকা লুট করিনি। এটা মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। শারিন আক্তার সম্পর্কে আমার মামি হন। তার সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। পরে তিনি দরজা বন্ধ করে দিলে আমার মা রাগান্তিত হয়ে কাঁচের গ্লাস ভেঙে ফেলেন। এ ছাড়া আর কিছু হয়নি। জেলা জাসাসের আহ্বায়ক সাদমান পাপ্পু জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। এ ধরনের ঘটনা যদি ঘটে থাকে তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে অলি উল্লাহের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃদ্ধাকে মারধর করে টাকা ‘লুটে নিলেন’ জাসাস নেতা
জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 
জুলাই সনদ, বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত জুলাই সনদের জন্য অপেক্ষা করা হবে। আশা করা যায়, সরকারসহ সব পক্ষ এর মধ্যেই জুলাই সনদ ঘোষণা করবে। সোমবার (৭ জুলাই) সকালে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে রাজশাহীতে অবস্থানকালে তিনি এ কথা বলেন।  জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের স্বীকৃতি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানুষের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জুলাই সনদ প্রণয়ন এবং সংবিধানের অংশ হিসেবে ঘোষণার দাবি করে আসছে এবং তা এই মাসের মধ্যেই ঘোষণার দাবি করে তরুণ এই রাজনৈতিক দল। সরকারও এই সময়ের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে পারবে বলে আশা করছে। তবে গণ-অভুত্থান দিবস অর্থাৎ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকারের ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করবে এনসিপি। জুলাই সনদ, বিচার ও সংস্কার এবং জুলাই স্মরণে গত ১ জুলাই ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে এনসিপি। সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী এই কর্মসূচির গত ৬ দিনে ১৪টি জেলায় পদযাত্রা শেষ হয়েছে। সোমবার নাটোর হয়ে সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় যাবেন এনসিপি নেতারা।
জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 
লরির চাকায় পিষ্ট পিকআপ চালক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে শুকলাল দাস (৪২) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মা ফাতেমা ফিলিং স্টেশনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  নিহত শুকলাল দাস ভাটিয়ারী ইউনিয়নের সোনারগাঁ গ্রামের জেলেপাড়া এলাকার তেজেন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি পেশায় পিকআপ চালক। ‎হাইওয়ে পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত শুকলাল দাস সকালবেলা তার পিকআপটি রেখে রাস্তার পাশে দাঁড়ান। হঠাৎ একটি বেপরোয়া গতিতে আসা লরি তাকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে পড়ে যান। পরে লরির নিচে চাপা পড়লে তার শরীরের ওপরের অংশ থেঁতলে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ‎নিহতের বড় ভাইয়ের ছেলে রানা বলেন, আমার চাচ্চু উনার পিকআপটি রেখে মহাসড়কের পাশে দাঁড়ায়। এ সময় একটি বেপরোয়া লরি ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান। পরে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। তার তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ‎বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মমিন বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘাতক লরিটি আটক করা হয়েছে।
লরির চাকায় পিষ্ট পিকআপ চালক
ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী খুন, আসামি গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় চোরের ছুরিকাঘাতে জনি দাস নামের এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৭ জুলাই) সকালে হবিগঞ্জ সদরের কামড়াপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাজু মিয়া আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে শরের নাদিরাবাদ এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেছিলেন।  হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি একেএম সাহাবুদ্দিন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে শহরের চৌধুরী বাজারের দেয়ানত রাম সাহার বাড়ি এলাকার নরধন দাসের বাড়িতে চোর হানা দেয়। এ সময় তার ছেলে হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জনি দাস (১৭) চোরকে ঝাপটে ধরতে চাইলে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে তার বড় ভাই জয় দাস এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর নিহতের বাবা নরধন দাস বাদী হয়ে শনিবার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি সাজুকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী খুন, আসামি গ্রেপ্তার
কমিটি দিতে আড়াই লাখ দাবি, নেতা বললেন ‘এটা শুধুই মজা’
কমিটি দিতে আড়াই লাখ দাবি, নেতা বললেন ‘এটা শুধুই মজা’
হেফাজত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
হেফাজত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
মেঘনায় মাছ নেই, কিস্তির চাপে জর্জরিত জেলেরা
মেঘনায় মাছ নেই, কিস্তির চাপে জর্জরিত জেলেরা
বিদেশি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী রয়েল আটক
বিদেশি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী রয়েল আটক