বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

অভিযুক্তকে বাঁচাতে মানববন্ধন করতে বললেন তদন্ত কমিটির সদস্য 

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:২১ এএম
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:২২ এএম
হাবিপ্রবি ও ছাত্রদলের লোগো। ছবি : সংগৃহীত
হাবিপ্রবি ও ছাত্রদলের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ছাত্রদল কর্মী শামীম আশরাফীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির (হাবিপ্রবিসাস) অফিসরুম ভাঙচুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তকে বাঁচাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে মানববন্ধন করার নির্দেশনা দিয়েছেন ওই তদন্ত কমিটিরই সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হাসান। এমনি একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার (০৫ জুলাই) সকালে সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুরের তদন্তে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি জকির উদ্দিন আবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হাসান ও সাইদুল ইসলাম রয়েছেন।

এদিন তদন্ত কমিটি গঠনের পরপরই হঠাৎ ফেসবুকে একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরতে দেখা যায়। যেখানে ওই তদন্ত কমিটিরই সদস্য রাব্বি হাসান হোয়াটঅ্যাপে কাউকে লেখেন, ‘একটা মানববন্ধন করাও ছেলেটার ব্যাচমেটগুলো দিয়ে। করতে পারলে খুব ভালো হবে৷’

এ বিষয়ে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফাহিমুল্লাহ বলেন, কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক গঠিত কমিটি যখন তদন্তের আগেই একটা বিভাগকে সাংবাদিক সমিতির বিপক্ষে দাঁড় করানোর নির্দেশনা দিয়ে বিভাগীয় ইস্যু তৈরির পরামর্শ দেয়। তখন তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এখন মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংসদের তদন্ত কমিটি আই ওয়াশ মাত্র।

হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন বলেন, ভাঙচুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেটার প্রতি আমাদের ভরসা ছিল। কিন্তু কমিটি গঠনের কিছুক্ষণ পর একটি স্কিনশট ভাইরাল হলো। যেখানে তদন্ত কমিটির একজন সদস্য দোষীদের সহায়তা করছেন। বিষয়টা দুঃখজনক। এই তদন্ত কমিটি সঠিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে কি না সেটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। আমরা এই তদন্ত কমিটির ওপর ভরসা করতে পারছি না।

এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. রাব্বি হাসানকে একাধিক বার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন

ঢাবি শিক্ষার্থী মুন্নাছ বাঁচতে চান
দুরারোগ্য ব্যাধি লিউকেমিয়াতে আক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের ১০১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুন্নাছ আলী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সহযোগিতায় তার চিকিৎসার প্রায় পুরো টাকা জোগাড় হয়েছে। গত ৬ মাস ধরে ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন তিনি।  জানা গেছে, প্রায় ৩০টি কেমোথেরাপির পর তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই উন্নতির দিকে ছিল। আগামী মাসে তার একটা কেমোথেরাপি বাকি আছে।  তবে, অল্প সময়ের ব্যবধানে এত কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তার নাক ও মাথার খুলির মাঝের হাড়ে ক্ষত দেখা দিয়েছে। যে কারণে কিছুদিন যাবৎ তিনি ডান চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। পাশাপাশি তার বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তিও কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা তাকে ২১ দিনের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছেন। এতে সুস্থ না হলে তার সার্জারি করা লাগবে। চিকিৎসকরা তাকে  হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে তাকে বাসা থেকেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অ্যান্টিবায়োটিক ও সার্জারি মিলিয়ে তার চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা লাগবে। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষে এই টাকা জোগাড়ের সামর্থ্য না থাকায় সবার সহায়তা কামনা করেছেন মুন্নাছ। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: বিকাশ/নগদ: 01884654418 অথবা One bank Account number: 1062460000059, Account name: Md. Munnas Ali, Routing number: 165261342, Branch Name: Gulshan Islami Banking Branch
ঢাবি শিক্ষার্থী মুন্নাছ বাঁচতে চান
ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা আটক 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হল থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে বারোটায় তাকে হল ফটক থেকে আটক করা হয়। আল-আমিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের উপ-নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সহ-সদস্য ছিলেন।  এ বিষয়ে ঢাবির ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান বলেন, কয়েকজন জুনিয়র হলে ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিনকে দেখে আমাদের খবর দেয়। আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেই। তিনি হলে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে নামে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। এমনকি পরীক্ষার সময়ও শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, আল-আমিনকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে। তার বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় আরও দুটি মামলা রয়েছে। 
ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা আটক 
সুপারিশের বেড়াজালে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কেন্দ্র করে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে বসছে সম্প্রতি গঠিত হওয়া নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আসা নানা সুপারিশ নিয়ে বেড়াজালে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। এসব সুপারিশের কতটুকুই বা পূরণ করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্বাচন কমিশন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন অংশীজনের কাছ থেকে ৫১টি সুপারিশ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এসব সুপারিশ জমা দিয়েছে কমিশন। এসব সুপারিশকে দুই ভাগ করে এক ভাগের ৩১টি সুপারিশ‌ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ২১টি সুপারিশ নির্বাচন কমিশন সমাধান করবে বলে জানা যায়।  নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেসব সুপারিশ রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার ছাপানো, জুলাই/আগস্টের প্রোগ্রাম মাথায় রেখে ও পরীক্ষার শিডিউল বিবেচনা করে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা, শারীরিকভাবে অক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা রাখা, রিডিং রুমে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা না চালানো, নির্বাচনী পোস্টার নিষিদ্ধ করা, ক্লাস চলাকালীন মাইক বন্ধ রাখা, পোলিং এজেন্ট রাখা, ছুটির দিন ভোটের আয়োজন করা, ভোটগ্রহণ ও গণনার কাজে শিক্ষকদের সংযুক্ত করা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেসব সুপারিশ নিয়ে কাজ করবে এর মধ্যে রয়েছে, ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করার অথবা ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া, আনসারদের প্রক্টরিয়াল টিমে সিভিল ড্রেসে অন্তর্ভুক্ত করা, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচার এবং তারা যাতে কোনোভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, ঢাবি শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-১' ও ' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-২'-এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা, নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থী হওয়া ও বয়সের সীমা নির্ধারণ করা, হলগুলোতে রাজনৈতিক কার্যক্রমের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া, মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ করা, ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিচার নিশ্চিত ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখা, গঠনতন্ত্র বিষয়ে ঐকমত্য তৈরির জন্য প্রশাসন ও ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে সভার আয়োজন করা। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, বিভিন্ন বাস রুটের কমিটি ও বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের শ্রেণি প্রতিনিধিদের (সিআর) সঙ্গে সভা করবে কমিশন। এরপর অংশীজনের দেওয়া সুপারিশের মধ্য কোনগুলো নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাস্তবায়ন করতে পারবে, সেটা নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। সূত্র জানায়, এসব শেষে আগামী সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করতে পারে, তবে সেটি অনেকটাই অনিশ্চিত। এ বিষয়ে কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আমরা অনেক সুপারিশ পেয়েছি এবং সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। আবার বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বসা হবে। এরপর তাদের কাছ থেকে যেসব সুপারিশ আসবে সেগুলো আগের সুপারিশের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেওয়া হবে।  তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নির্বাচনে সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ এসেছে; কিন্তু সাংবিধানিকভাবে সেটা হয় না। এজন্য কীভাবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবা হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা যাতে ভোট দিতে পারে এজন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার ছাপানোর সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে। এই সবকিছু ঠিক না হওয়া ছাড়া এখন ঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না, কবে আমরা তপশিল ঘোষণা করতে পারব।
ডাকসুর নির্বাচন কমিশন 
‘বিআইটি মডেল’ বাস্তবায়ন দাবিতে উত্তাল ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি)’ মডেলে প্রশাসনিক ও একাডেমিক স্বতন্ত্রতা নিশ্চিত করার দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।  শনিবার (৫ জুলাই) ময়মনসিংহ নগরের টাউন হল মোড়, গাঙ্গিনারপাড় মোড়ের ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বর ও প্রেস ক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে তারা ঘোষণা দেন—দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সালমান সাব্বির, সিবাজী রায় ও ফাহিম মুনতাসির। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশের বিশেষায়িত প্রকৌশল কলেজগুলোর যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রকৌশল শিক্ষার উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে। কিন্তু সূচনালগ্ন থেকে এসব প্রতিষ্ঠান একাডেমিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হলেও প্রশাসনিকভাবে রয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে দ্বৈত কাঠামো, যা দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি করে চলেছে। এই ব্যবস্থার ফলে শিক্ষা কার্যক্রমে নানাবিধ জটিলতা ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলছে বলে দাবি তাদের। গত ২০ মে থেকে বরিশাল, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের মাধ্যমে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সংকট দীর্ঘদিনের হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দাবি আদায়ে এরই মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কারিগরি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, শিক্ষা উপদেষ্টার একান্ত সচিব এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তাদের মূল দাবি—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে বিআইটি মডেলের একটি স্বায়ত্তশাসিত কমিশনের অধীনে প্রকৌশল কলেজগুলোকে আনয়ন এবং ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্বতন্ত্র একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামো বাস্তবায়ন। শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, দাবি পূরণ না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন এবং এর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। আন্দোলনের পেছনে আরও একটি বড় ঘটনা যুক্ত হয়েছে—গত ১৮ মে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকারের আত্মহত্যা। তার মৃত্যুর পর ২০ মে থেকে ছাত্ররা এই দাবিতে একযোগে আন্দোলনে নেমেছেন। ঈদের পর ১৪ জুন কলেজ খোলার পরও শিক্ষার্থীরা পাঠ ও পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেননি। পরে ২৪ জুন প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানজুড়ে কার্যত অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘চলমান সমস্যার বিষয়ে আমরা উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি, অচিরেই সমস্যার একটি সন্তোষজনক সমাধান হবে।’
‘বিআইটি মডেল’ বাস্তবায়ন দাবিতে উত্তাল ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
দাবি-দাওয়া, খাওয়া-দাওয়া ক্যাম্পাসে নির্বাচনী জোয়ার
দাবি-দাওয়া, খাওয়া-দাওয়া ক্যাম্পাসে নির্বাচনী জোয়ার
ছাত্রদল নেতা বলে কথা!
ছাত্রদল নেতা বলে কথা!
ছাত্রদল নেতাদের বিশেষ বিবেচনা, অন্যদের ক্ষেত্রে বঞ্চনা!
ইবিতে মাস্টার্সে পুনঃভর্তি / ছাত্রদল নেতাদের বিশেষ বিবেচনা, অন্যদের ক্ষেত্রে বঞ্চনা!
জবির মার্কেটিং বিভাগের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
জবির মার্কেটিং বিভাগের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন