বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

সব উপজেলায় কারিগরি শিক্ষার সুখবর দিল সরকার

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১০:০৯ পিএম
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার। ছবি : সংগৃহীত
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার বাইরে টেকনিক্যাল জ্ঞানসমৃদ্ধ জনশক্তি গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করে গড়ে তুলতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ৪৯৩ উপজেলায় টেকনিকাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের কাজ পর্যায়ক্রমে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার জানান, বিভিন্ন জেলায় এরই মধ্যে ৮৫টি স্কুল তাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া শুরু করেছে। বাকিগুলোর জন্য দ্রুত জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে ভবন নির্মাণসহ শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগে থেকে ১০০টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কার্যক্রম চলছিল। পরে আরও ৩২৯টির জমি অধিগ্রহণসহ সার্বিক কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি কারিগরি অধিদপ্তর সেভাবেই তাদের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দেশে ও বিদেশে শ্রমবাজারে চাকরির সুযোগ বাড়াতে যুব সমাজকে টেকনিক্যাল শিক্ষায় শিক্ষিত করার বিকল্প নেই।

জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব কে এম কবিরুল ইসলাম জানান, সারা দেশে প্রাথমিকভাবে বাস্তবায়নাধীন ১০০টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মধ্যে ৭৫টির শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। ১৫টির কাজ শেষ হয়েছে এবং অবশিষ্টগুলোর কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। ফলে আগামী শিক্ষাবর্ষে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজগুলো কারিগরি শিক্ষায় যুক্ত হচ্ছে।

সচিব জানান, প্রতিটি টেকনিক্যাল স্কুলের জন্য তিন একর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এবং সেখানে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হোস্টেল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া শিক্ষকদের জন্য ডরমেটরি, প্রিন্সিপালের আবাসিক ভবন এবং একাডেমিক কাম ওয়ার্কশপ ভবন তৈরি করা হবে। ছাত্রদের জন্য কোনো হোস্টেল নির্মাণের বরাদ্দ না থাকলেও আগামীতে ছাত্র হোস্টেল নির্মাণের বিষয়ে সরকার আন্তরিক।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শোয়াইব আহমাদ খান বলেন, প্রতিটি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রায় ৮৪০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রি-ভোকেশনাল এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কমপক্ষে চারটি করে ট্রেডে পড়াশোনা করানো হবে। এ ছাড়া এসএসসি (ভোকেশনাল) এবং এইচএসসি (ভোকেশনাল) কোর্সসহ বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রতিটি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রায় ৭৫ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। প্রতিটি স্কুলে ২০০ আসনে একটি করে ছাত্রী হোস্টেল, শিক্ষক ডরমিটরি, আধুনিক গবেষণাগার থাকবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় কারিগরি শিক্ষার সুযোগ আরও প্রসারিত হবে এবং শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পাবে।

মহাপরিচালক জানান, প্রতিটি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের চারটি ট্রেড, ল্যাব ও ওয়ার্কশপের যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় আসবাব কেনা ও সরবরাহ, টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৬ হাজার ৪০০টি স্থায়ী পদ সৃষ্টি এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন পদে ৪০০টি জনবলের জন্য পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কয়েক লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করবে।

প্রাথমিকভাবে যেসব উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে, সেগুলো হলো౼ ঢাকার ধামরাই ও নবাবগঞ্জ; ফরিদপুরের শালথা, বোয়ালমারী ও ভাঙ্গা; গাজীপুরের কাপাসিয়া; গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি ও টুঙ্গিপাড়া; জামালপুরের মাদারগঞ্জ; কিশোরগঞ্জের ইটনা, কুলিয়ারচর ও মিঠামইন; মাদারীপুরের শিবচর; মানিকগঞ্জের শিবালয় ও হরিরামপুর; ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও নন্দাইল।

নারায়ণগঞ্জের সদর; নরসিংদীর বেলাব; নেত্রকোনার দুর্গাপুর; রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দি; শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ ও ডামুড্যা; শেরপুরের নালিতাবাড়ি; টাঙ্গাইলের গোপালগঞ্জ ও নাগরপুর; রাজশাহীর চারঘাট ও তানোর; বগুড়ার দুপচাঁচিয়া; জয়পুরহাটের আক্কেলপুর; নওগাঁর পত্নীতলা ও সাপাহার; নাটোরের গুরুদাসপুর ও সিংড়া; চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল; পাবনার সাঁথিয়া; সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর।

রংপুরের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ ও নবাবগঞ্জ; গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও সাঘাটা; কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী; লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ; নীলফামারীর ডিমলা ও সৈয়দপুর; পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া; ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর ও পীরগঞ্জ।

বরিশালের আগৈলঝাড়া ও হিজলা; বরগুনার আমতলী; ভোলার লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর; পটুয়াখালীর গলাচিপা; পিরোজপুরের নাজিরপুর।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, রাউজান ও সীতাকুণ্ড, বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা; চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও কচুয়া; কুমিল্লার বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম ও মুরাদনগর; কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও টেকনাফ; ফেনীর ছাগলনাইয়া; নোয়াখালীর চাটখিল; খাগড়াছড়ির দীঘিনালা; লক্ষ্মীপুরের রামগতি; রাঙামাটির কাউখালী।

সিলেটের বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ; হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও মাধবপুর; মৌলভীবাজারের রাজনগর ও জুড়ি; সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার।

খুলনার বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বাগেরহাটের মোংলা ও রামপাল; চুয়াডাঙ্গার জীবননগর; যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর ও শার্শা; ঝিনাইদহের শৈলকূপা; কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা; মাগুরার মোহাম্মদপুর ও শালিখা; মেহেরপুরের মুজিবনগর; নড়াইলের কালিয়া; সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর।

সূত্র : বাসস

মন্তব্য করুন

সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর দিতে যাচ্ছে সরকার। উচ্চ আদালতের আদেশের পর দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণে সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ না থাকায় সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক। অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং সেখান থেকে এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে বাকি কাজ সম্পন্ন করে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, দ্রুতই সকল প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডে উন্নীত হবেন। শনিবার অধিদপ্তর থেকে এক চিঠিতে দেশের সকল উপপরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষযটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য পাঠানো হয়েছে।  এদিকে এই পদোন্নতিকে কেন্দ্র করে একটি চক্রের চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি বলেন, শিক্ষকদের এই ধরনের বিপথগামী চক্রের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হওয়া থেকে রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে এই চিঠি জারি করা হয়েছে। চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ফৌজদারি অপরাধের শামিল। সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণকারীদের নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর বিপরীতে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সম্মতি প্রদান করে। বাকি প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের বিষয়টি এখন সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয় তৎকালীন সরকার। কিন্তু পরে প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়, যা বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তৎকালীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন এবং পরে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে ভুল, অসংগতি দূর করতে এবং বিষয়বস্তু পরিমার্জন করতে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সুপারিশ চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ওপর পর্যালোচনা করে নির্দিষ্ট ছক ও নির্দেশনা অনুসারে সুপারিশ পাঠাতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাঠ্যপুস্তককে আরও যথাযথ, নির্ভুল ও আধুনিক করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা সোমবার (৭ জুলাই) এর মধ্যে হার্ড কপি ও সফট কপিতে (নিকোশব্যান, ১২ ফন্ট) সুপারিশগুলো [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দুধর্ম, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকগুলো পর্যালোচনা করে সংশোধনের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধনের প্রস্তাবে অধ্যায়, পৃষ্ঠা, লাইনের সুনির্দিষ্ট তথ্য, বর্তমান লেখা এবং সংশোধনের প্রস্তাবনা যুক্তি সহকারে তুলে ধরতে হবে। পরিমার্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিখনফলের আলোকে সুপারিশ দিতে হবে। একই সঙ্গে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের খসড়া পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কিংবা পেশা-সংক্রান্ত কোনো বৈষম্যমূলক শব্দ, বাক্য, তথ্য কিংবা ছবি থাকলে তা চিহ্নিত করে সুস্পষ্টভাবে সংশোধনের প্রস্তাব দিতে হবে। এ ছাড়াও পাঠ্যপুস্তকে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দেশপ্রেম, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ ও জাতীয় চেতনাবিরোধী কোনো উপাদান থাকলে সেগুলোও সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। পর্যালোচনার সময় তথ্যসূত্র যাচাই করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানান অভিধান অনুসারে প্রয়োজনে বানান সংশোধনের প্রস্তাব দিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে কেবল ভুল সংশোধনের জন্য প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী সুপারিশের বাইরে যদি কোনো মতামত বা পরামর্শ থাকে, সেগুলো আলাদা কাগজে নাম ও সইসহ সফট কপিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন ইউএপিতে অনুষ্ঠিত
দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) প্রাঙ্গণে আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ মান-উন্নয়নমূলক আযয়োজন ২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন-২০২৫। শনিবার (০৫ জুলাই) ‘কোয়ালিটি ফার্স্ট: গ্লোবাল এক্সিলেন্সে স্থানীয় শিল্পকে ক্ষমতায়ন’ শিরোনামে অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম) এবং ইউএপি। কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন এ কে এম শামসুল হুদা, সভাপতি, বিএসটিকিউএম। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, উপাচার্য, ইউএপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন এ এম এম খায়রুল বাশার, উপদেষ্টা, বিএসটিকিউএম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম, ইউএপি। দিনব্যাপী এই কনভেনশনে শিল্প খাতের মানোন্নয়ন, টেকসইতা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছানোর জন্য গুণগত উন্নয়নের কৌশল ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। কনভেনশনে ১৫টিরও বেশি শিল্পক্ষেত্র থেকে ৭০টিরও অধিক কোয়ালিটি সার্কেল তাদের কেস স্টাডি উপস্থাপন করে, যা একযোগে ৮টি হলে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি হলে দুজন বিচারক উপস্থাপনাগুলো মূল্যায়ন করেন এবং সেশন সমন্বয়ে কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা অংশ নেয়। প্রদত্ত স্কোরের ভিত্তিতে উপস্থাপনাগুলোকে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ক্লোজিং সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। বক্তারা বলেন, ‘দেশীয় শিল্পকে বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে হলে গুণগতমানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন ইউএপিতে অনুষ্ঠিত
স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের জুন মাসের বেতন নিয়ে যা জানা গেল
বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রায় ৪ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর জুন মাসের বেতন-ভাতা চলতি সপ্তাহে ব্যাংকে পাঠানোর কথা থাকলেও তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এবং চিফ অ্যাকাউন্টস অফিস বেতনের অর্থ অনুমোদনে বিলম্ব করলে আগামী সপ্তাহে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার (০৬ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। ইএমআইএস সেলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটি এবং আজ সরকারি ছুটি (সম্ভবত ৬ জুলাই ঈদুল আজহার ছুটি) থাকায় অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো কাজ করতে পারেনি। এর ফলে চলতি সপ্তাহে বেতন ব্যাংকে পাঠানোর পরিকল্পনা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, তারা চেষ্টা করছেন যাতে শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বেতন-ভাতা হাতে পান। এ বিষয়ে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) মাধ্যমে বেতন-ভাতা পেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন এত দিন আটটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে 'অ্যানালগ' পদ্ধতিতে বিতরণ করা হতো, যা শিক্ষকদের জন্য ভোগান্তির কারণ ছিল। এই ভোগান্তি কমাতে গত বছর ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিও ইএফটিতে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী গত অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে পান। এরপর গত ১ জানুয়ারি থেকে ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে সরকারি অংশের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহে তারা জুন মাসের বেতন ইএফটির মাধ্যমেই পেতে পারেন।
স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের জুন মাসের বেতন নিয়ে যা জানা গেল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কড়া বার্তা 
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কড়া বার্তা 
বিইউবিটিতে ‘রকেট অ্যাডভেঞ্চার ডে’ সফলভাবে অনুষ্ঠিত
বিইউবিটিতে ‘রকেট অ্যাডভেঞ্চার ডে’ সফলভাবে অনুষ্ঠিত
অঙ্কে এগিয়ে ছেলেরা, মেয়েরা কেন পিছিয়ে?
অঙ্কে এগিয়ে ছেলেরা, মেয়েরা কেন পিছিয়ে?
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা 
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা