বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

বিইউবিটিতে ‘রকেট অ্যাডভেঞ্চার ডে’ সফলভাবে অনুষ্ঠিত

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোররা। ছবি : সংগৃহীত
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোররা। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো ‘রকেট অ্যাডভেঞ্চার ডে’। শনিবার (৫ জুলাই) বিইউবিটি এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প যৌথভাবে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে।

৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী স্কুলের শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এই আয়োজনে রকেট তৈরির কর্মশালা, রকেট সিমুলেশন, দলীয়ভাবে রকেট উৎক্ষেপণ কার্যক্রম এবং কম্পিউটার-ভিত্তিক রকেট ট্রাজেক্টরি নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয়ে হাতে কলমে জ্ঞান অর্জন করে। এ আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল শিশু-কিশোরদের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী করা।

অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আহমেদ। তিনি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চায় আগ্রহী করে তুলতে উৎসাহ প্রদান করে। বলেন, শিশু-কিশোরদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক কৌতূহল সৃষ্টি করাতে এমন উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, এই ধরনের ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা তাদের রকেট ও মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি গভীর আগ্রহ তৈরি করেছে এবং ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের কার্যক্রমে আরও অংশ নিতে চায়।

‘রকেট অ্যাডভেঞ্চার ডে’ বিইউবিটি এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের একটি সফল আয়োজন যা এসটিইএমসি (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত এবং কম্পিউটিং) শিক্ষাকে সারা দেশে শিশুদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে। একইসঙ্গে, মহাকাশ বিজ্ঞান, অ্যাভিয়েশন এবং রোবটিক্সের মতো আধুনিক শিক্ষাক্ষেত্রে শিশুদের আগ্রহ তৈরিতে বিইউবিটির অংশীদারিত্ব প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখে।

আয়োজনে অতিথিদের মধ্যে আরও ‍উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটির সম্মানিত রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। তিনি তার বক্তব্যে শিশু-কিশোরদের মাঝে বিজ্ঞানমনস্কতা ও সৃজনশীলতা বিকাশে এ ধরনের আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে বিইউবিটির এমন শিক্ষামূলক কার্যক্রম আরও বড় পরিসরে আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটির ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুর রহমান ও স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের সভাপতি আরিফুল হাসান অপু। তিনি এই আয়োজনের সফলতার জন্য অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্বেচ্ছাসেবক এবং সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

মন্তব্য করুন

সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর দিতে যাচ্ছে সরকার। উচ্চ আদালতের আদেশের পর দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণে সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ না থাকায় সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক। অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং সেখান থেকে এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে বাকি কাজ সম্পন্ন করে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, দ্রুতই সকল প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডে উন্নীত হবেন। শনিবার অধিদপ্তর থেকে এক চিঠিতে দেশের সকল উপপরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষযটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য পাঠানো হয়েছে।  এদিকে এই পদোন্নতিকে কেন্দ্র করে একটি চক্রের চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি বলেন, শিক্ষকদের এই ধরনের বিপথগামী চক্রের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হওয়া থেকে রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে এই চিঠি জারি করা হয়েছে। চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ফৌজদারি অপরাধের শামিল। সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণকারীদের নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর বিপরীতে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সম্মতি প্রদান করে। বাকি প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের বিষয়টি এখন সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয় তৎকালীন সরকার। কিন্তু পরে প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়, যা বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তৎকালীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন এবং পরে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে ভুল, অসংগতি দূর করতে এবং বিষয়বস্তু পরিমার্জন করতে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সুপারিশ চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ওপর পর্যালোচনা করে নির্দিষ্ট ছক ও নির্দেশনা অনুসারে সুপারিশ পাঠাতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাঠ্যপুস্তককে আরও যথাযথ, নির্ভুল ও আধুনিক করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা সোমবার (৭ জুলাই) এর মধ্যে হার্ড কপি ও সফট কপিতে (নিকোশব্যান, ১২ ফন্ট) সুপারিশগুলো [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দুধর্ম, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকগুলো পর্যালোচনা করে সংশোধনের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধনের প্রস্তাবে অধ্যায়, পৃষ্ঠা, লাইনের সুনির্দিষ্ট তথ্য, বর্তমান লেখা এবং সংশোধনের প্রস্তাবনা যুক্তি সহকারে তুলে ধরতে হবে। পরিমার্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিখনফলের আলোকে সুপারিশ দিতে হবে। একই সঙ্গে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের খসড়া পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কিংবা পেশা-সংক্রান্ত কোনো বৈষম্যমূলক শব্দ, বাক্য, তথ্য কিংবা ছবি থাকলে তা চিহ্নিত করে সুস্পষ্টভাবে সংশোধনের প্রস্তাব দিতে হবে। এ ছাড়াও পাঠ্যপুস্তকে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দেশপ্রেম, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ ও জাতীয় চেতনাবিরোধী কোনো উপাদান থাকলে সেগুলোও সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। পর্যালোচনার সময় তথ্যসূত্র যাচাই করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানান অভিধান অনুসারে প্রয়োজনে বানান সংশোধনের প্রস্তাব দিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে কেবল ভুল সংশোধনের জন্য প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী সুপারিশের বাইরে যদি কোনো মতামত বা পরামর্শ থাকে, সেগুলো আলাদা কাগজে নাম ও সইসহ সফট কপিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন ইউএপিতে অনুষ্ঠিত
দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) প্রাঙ্গণে আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ মান-উন্নয়নমূলক আযয়োজন ২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন-২০২৫। শনিবার (০৫ জুলাই) ‘কোয়ালিটি ফার্স্ট: গ্লোবাল এক্সিলেন্সে স্থানীয় শিল্পকে ক্ষমতায়ন’ শিরোনামে অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম) এবং ইউএপি। কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন এ কে এম শামসুল হুদা, সভাপতি, বিএসটিকিউএম। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, উপাচার্য, ইউএপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন এ এম এম খায়রুল বাশার, উপদেষ্টা, বিএসটিকিউএম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম, ইউএপি। দিনব্যাপী এই কনভেনশনে শিল্প খাতের মানোন্নয়ন, টেকসইতা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছানোর জন্য গুণগত উন্নয়নের কৌশল ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। কনভেনশনে ১৫টিরও বেশি শিল্পক্ষেত্র থেকে ৭০টিরও অধিক কোয়ালিটি সার্কেল তাদের কেস স্টাডি উপস্থাপন করে, যা একযোগে ৮টি হলে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি হলে দুজন বিচারক উপস্থাপনাগুলো মূল্যায়ন করেন এবং সেশন সমন্বয়ে কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা অংশ নেয়। প্রদত্ত স্কোরের ভিত্তিতে উপস্থাপনাগুলোকে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ক্লোজিং সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। বক্তারা বলেন, ‘দেশীয় শিল্পকে বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে হলে গুণগতমানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন ইউএপিতে অনুষ্ঠিত
স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের জুন মাসের বেতন নিয়ে যা জানা গেল
বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রায় ৪ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর জুন মাসের বেতন-ভাতা চলতি সপ্তাহে ব্যাংকে পাঠানোর কথা থাকলেও তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এবং চিফ অ্যাকাউন্টস অফিস বেতনের অর্থ অনুমোদনে বিলম্ব করলে আগামী সপ্তাহে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার (০৬ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। ইএমআইএস সেলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটি এবং আজ সরকারি ছুটি (সম্ভবত ৬ জুলাই ঈদুল আজহার ছুটি) থাকায় অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো কাজ করতে পারেনি। এর ফলে চলতি সপ্তাহে বেতন ব্যাংকে পাঠানোর পরিকল্পনা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, তারা চেষ্টা করছেন যাতে শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বেতন-ভাতা হাতে পান। এ বিষয়ে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) মাধ্যমে বেতন-ভাতা পেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন এত দিন আটটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে 'অ্যানালগ' পদ্ধতিতে বিতরণ করা হতো, যা শিক্ষকদের জন্য ভোগান্তির কারণ ছিল। এই ভোগান্তি কমাতে গত বছর ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিও ইএফটিতে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী গত অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে পান। এরপর গত ১ জানুয়ারি থেকে ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে সরকারি অংশের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহে তারা জুন মাসের বেতন ইএফটির মাধ্যমেই পেতে পারেন।
স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের জুন মাসের বেতন নিয়ে যা জানা গেল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কড়া বার্তা 
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কড়া বার্তা 
অঙ্কে এগিয়ে ছেলেরা, মেয়েরা কেন পিছিয়ে?
অঙ্কে এগিয়ে ছেলেরা, মেয়েরা কেন পিছিয়ে?
সব উপজেলায় কারিগরি শিক্ষার সুখবর দিল সরকার
সব উপজেলায় কারিগরি শিক্ষার সুখবর দিল সরকার
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা 
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা