বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক

কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৫, ১১:২১ পিএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৬ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষকের জন্য সুখবর দিতে যাচ্ছে সরকার। উচ্চ আদালতের আদেশের পর দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীতকরণে সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ না থাকায় সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক। অধিদপ্তর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং সেখান থেকে এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে বাকি কাজ সম্পন্ন করে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, দ্রুতই সকল প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডে উন্নীত হবেন।

শনিবার অধিদপ্তর থেকে এক চিঠিতে দেশের সকল উপপরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষযটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এই পদোন্নতিকে কেন্দ্র করে একটি চক্রের চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি বলেন, শিক্ষকদের এই ধরনের বিপথগামী চক্রের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হওয়া থেকে রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে এই চিঠি জারি করা হয়েছে। চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ফৌজদারি অপরাধের শামিল। সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং চাঁদাবাজি বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণকারীদের নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর বিপরীতে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে রিটকারী ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সম্মতি প্রদান করে। বাকি প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের বিষয়টি এখন সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয় তৎকালীন সরকার। কিন্তু পরে প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়, যা বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তৎকালীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন এবং পরে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

মন্তব্য করুন

পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে ভুল, অসংগতি দূর করতে এবং বিষয়বস্তু পরিমার্জন করতে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সুপারিশ চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ওপর পর্যালোচনা করে নির্দিষ্ট ছক ও নির্দেশনা অনুসারে সুপারিশ পাঠাতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাঠ্যপুস্তককে আরও যথাযথ, নির্ভুল ও আধুনিক করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা সোমবার (৭ জুলাই) এর মধ্যে হার্ড কপি ও সফট কপিতে (নিকোশব্যান, ১২ ফন্ট) সুপারিশগুলো [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দুধর্ম, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকগুলো পর্যালোচনা করে সংশোধনের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধনের প্রস্তাবে অধ্যায়, পৃষ্ঠা, লাইনের সুনির্দিষ্ট তথ্য, বর্তমান লেখা এবং সংশোধনের প্রস্তাবনা যুক্তি সহকারে তুলে ধরতে হবে। পরিমার্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিখনফলের আলোকে সুপারিশ দিতে হবে। একই সঙ্গে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের খসড়া পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কিংবা পেশা-সংক্রান্ত কোনো বৈষম্যমূলক শব্দ, বাক্য, তথ্য কিংবা ছবি থাকলে তা চিহ্নিত করে সুস্পষ্টভাবে সংশোধনের প্রস্তাব দিতে হবে। এ ছাড়াও পাঠ্যপুস্তকে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দেশপ্রেম, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ ও জাতীয় চেতনাবিরোধী কোনো উপাদান থাকলে সেগুলোও সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। পর্যালোচনার সময় তথ্যসূত্র যাচাই করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানান অভিধান অনুসারে প্রয়োজনে বানান সংশোধনের প্রস্তাব দিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে কেবল ভুল সংশোধনের জন্য প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী সুপারিশের বাইরে যদি কোনো মতামত বা পরামর্শ থাকে, সেগুলো আলাদা কাগজে নাম ও সইসহ সফট কপিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন ইউএপিতে অনুষ্ঠিত
দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) প্রাঙ্গণে আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ মান-উন্নয়নমূলক আযয়োজন ২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন-২০২৫। শনিবার (০৫ জুলাই) ‘কোয়ালিটি ফার্স্ট: গ্লোবাল এক্সিলেন্সে স্থানীয় শিল্পকে ক্ষমতায়ন’ শিরোনামে অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম) এবং ইউএপি। কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন এ কে এম শামসুল হুদা, সভাপতি, বিএসটিকিউএম। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, উপাচার্য, ইউএপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন এ এম এম খায়রুল বাশার, উপদেষ্টা, বিএসটিকিউএম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম, ইউএপি। দিনব্যাপী এই কনভেনশনে শিল্প খাতের মানোন্নয়ন, টেকসইতা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছানোর জন্য গুণগত উন্নয়নের কৌশল ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। কনভেনশনে ১৫টিরও বেশি শিল্পক্ষেত্র থেকে ৭০টিরও অধিক কোয়ালিটি সার্কেল তাদের কেস স্টাডি উপস্থাপন করে, যা একযোগে ৮টি হলে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি হলে দুজন বিচারক উপস্থাপনাগুলো মূল্যায়ন করেন এবং সেশন সমন্বয়ে কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা অংশ নেয়। প্রদত্ত স্কোরের ভিত্তিতে উপস্থাপনাগুলোকে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ক্লোজিং সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। বক্তারা বলেন, ‘দেশীয় শিল্পকে বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে হলে গুণগতমানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
২৮তম ন্যাশনাল অ্যানুয়াল কোয়ালিটি কনভেনশন ইউএপিতে অনুষ্ঠিত
স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের জুন মাসের বেতন নিয়ে যা জানা গেল
বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রায় ৪ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর জুন মাসের বেতন-ভাতা চলতি সপ্তাহে ব্যাংকে পাঠানোর কথা থাকলেও তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এবং চিফ অ্যাকাউন্টস অফিস বেতনের অর্থ অনুমোদনে বিলম্ব করলে আগামী সপ্তাহে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার (০৬ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। ইএমআইএস সেলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, জুন মাসের বেতনের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটি এবং আজ সরকারি ছুটি (সম্ভবত ৬ জুলাই ঈদুল আজহার ছুটি) থাকায় অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো কাজ করতে পারেনি। এর ফলে চলতি সপ্তাহে বেতন ব্যাংকে পাঠানোর পরিকল্পনা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, তারা চেষ্টা করছেন যাতে শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বেতন-ভাতা হাতে পান। এ বিষয়ে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) মাধ্যমে বেতন-ভাতা পেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন এত দিন আটটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে 'অ্যানালগ' পদ্ধতিতে বিতরণ করা হতো, যা শিক্ষকদের জন্য ভোগান্তির কারণ ছিল। এই ভোগান্তি কমাতে গত বছর ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিও ইএফটিতে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী গত অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে পান। এরপর গত ১ জানুয়ারি থেকে ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে সরকারি অংশের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহে তারা জুন মাসের বেতন ইএফটির মাধ্যমেই পেতে পারেন।
স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের জুন মাসের বেতন নিয়ে যা জানা গেল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কড়া বার্তা 
পরীক্ষায় অসুদপায় বা নকল নিয়ে কড়া বার্তা দিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র ও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদেরও সতর্ক করা হয়েছে। শনিবার (০৫ জুলাই) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিমের সই করা এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বে অবহেলা, কক্ষ পরিদর্শকদের অসতর্কতা এবং প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু গুরুতর সমস্যা পরিলক্ষিত হয়েছে। এ কারণেই পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে একাধিক কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, পরীক্ষার সময় দূষণীয় কাগজপত্র ব্যবহার, মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে নকল করা, প্রশ্ন বা উত্তরপত্র বিনিময়, রোল নম্বর পাল্টানো কিংবা পরীক্ষা কক্ষের ভেতরে বা বাইরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর ফল বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত উত্তরপত্র নিয়ে তা গোপনে বাইরে নিয়ে গিয়ে পরবর্তী পরীক্ষায় জমা দিচ্ছে। এছাড়া, পরীক্ষার হল থেকে মূল উত্তরপত্র লুকিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এসব অনিয়ম ঠেকাতে কক্ষ পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- সব পরীক্ষার্থীর হল ত্যাগ করার আগে উত্তরপত্রের সংখ্যা মিলিয়ে দেখতে হবে। যদি কোনো পরীক্ষার্থী উত্তরপত্র জমা না দিয়ে বের হয়ে যায়, তাহলে তার কক্ষের উত্তরপত্র এবং ওএমআর ফরম আলাদা করে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে হবে। একইসঙ্গে ভুয়া পরীক্ষার্থী রোধে কেন্দ্রগুলোকে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড যাচাই করে পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। কেউ মোবাইল ফোন বা অন্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে হলে প্রবেশ করলে, সেটি শান্তিপূর্ণ পরীক্ষার জন্য হুমকি বলে গণ্য হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কক্ষ পরিদর্শক অনেকেই যথাযথভাবে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড যাচাই না করে উত্তরপত্র ও হাজিরা ফরমে স্বাক্ষর করছেন। এতে রোল, রেজিস্ট্রেশন ও কোর্স কোডে গড়মিল দেখা দিচ্ছে, যা ফলাফলের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করছে। এই গাফিলতির দায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ওপর বর্তাবে এবং প্রয়োজন হলে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কড়া বার্তা 
বিইউবিটিতে ‘রকেট অ্যাডভেঞ্চার ডে’ সফলভাবে অনুষ্ঠিত
বিইউবিটিতে ‘রকেট অ্যাডভেঞ্চার ডে’ সফলভাবে অনুষ্ঠিত
অঙ্কে এগিয়ে ছেলেরা, মেয়েরা কেন পিছিয়ে?
অঙ্কে এগিয়ে ছেলেরা, মেয়েরা কেন পিছিয়ে?
সব উপজেলায় কারিগরি শিক্ষার সুখবর দিল সরকার
সব উপজেলায় কারিগরি শিক্ষার সুখবর দিল সরকার
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা 
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা