শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪ ভাদ্র ১৪৩২

‘শেফালির হার্ডওয়্যার ভালো ছিল’

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা ও রামদেব। ছবি : সংগৃহীত
অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা ও রামদেব। ছবি : সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যু যেন সবাইকে বিস্মিত করেছে। মৃত্যুর মাত্র দুই দিন আগেও তিনি ছিলেন একেবারে স্বাভাবিক, প্রাণবন্ত। একটি ফটোশুটে অংশ নিয়ে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন, যা ভক্তদের মধ্যে প্রশংসা কুড়ায়।

কিন্তু তার দুদিন পর, ২৭ জুন হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। এরপর থেকেই শুরু হয় আলোচনা। যদিও তিনি কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন, তবুও এভাবে হঠাৎ মৃত্যু কেন? গুঞ্জন ওঠে, তিনি নাকি বয়স ধরে রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অনিয়ন্ত্রিতভাবে কিছু ওষুধ সেবন করতেন।

সম্প্রতি অভিনেত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে একটি মন্তব্য করেছেন ভারতের আলোচিত যোগগুরু রামদেব। তিনি বাবা রামদেব নামেই সমধিক পরিচিত। অভিনেত্রীর সম্পর্কে এমন বক্তব্যকে অনেকেই সমালোচনা করছেন। আবার কেউ কেউ তার বক্তব্যের পজিটিভ ব্যাখ্যা করছেন।

এক সাক্ষাৎকারে শেফালির শারীরিক অবস্থার ব্যাখ্যায় রামদেব বলেন, তার হার্ডওয়্যার ভালো ছিল, কিন্তু সফটওয়্যারে সমস্যা ছিল। বাইরে থেকে উপসর্গ কিছুই বোঝা যায়নি, কিন্তু ভেতরের যন্ত্রপাতি ঠিক ছিল না।

রামদেবের এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই একে ‘সংবেদনশীলতার অভাব’ বলে সমালোচনা করছেন। তবে অনেকে বলছেন, তিনি হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন- দেখতে সুস্থ মনে হলেও ভেতরে বাসা বেঁধেছিল কোনো গুরুতর অসুখ।

জানা গেছে, মৃত্যুর সময় শেফালির রক্তচাপ হঠাৎ করেই আশঙ্কাজনকভাবে নেমে গিয়েছিল, যা তার হৃদ্‌রোগজনিত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য করুন

নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং: উপমা
নতুন একটি নাটকে অভিনয় করলেন ফারজানা মেহমুদ উপমা। নাটকের নাম ‘শেষ ভালোবাসা’। সম্প্রতি ঢাকা শহরের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে নাটকটির চিত্রায়ণ করা হয়েছে।  মেজবাহ শিকদারের নির্মিত এই নাটকের একটি উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে উপমাকে। পারিবারিক টানাপোড়েনে একসময় নেশার জগতে প্রবেশ করে উপমা এবং নেশার কারণে তার প্রেমিকের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। জীবনে চরম অবনতি ঘটে। বাড়ি ছেড়ে টাকা জোগানোর জন্য বন্ধুরা তাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে।  এমন নানা ঘটনায় এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।  কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা প্রসঙ্গে উপমা বলেন, ‘শেষ ভালোবাসা’ নাটকের গল্প আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। একজন নেশাগ্রস্ত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে আমার কাছে। তবে কাজটা করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। নেশা কীভাবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে, পরিবারকে ধ্বংস করে দেয় তা এই নাটকের গল্পে তুলে ধরা হয়েছে। নেশা যে কতটা বিধ্বংসী তার স্পষ্ট মেসেজ রয়েছে নাটকটিতে।  প্রসঙ্গত, এ যাবৎ অর্ধশতাধিক নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন উপমা। 
নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং: উপমা
নাটক নির্মাণে চিকন আলী 
চলচ্চিত্র অভিনেতা শামিনুর রহমান ওরফে চিকন আলী। বাংলা চলচ্চিত্রের খুবই পরিচিত একটি নাম। মানুষকে হাসানো সবচেয়ে কঠিন একটি কাজ। আর সেই কাজটিই তিনি করে যাচ্ছেন দীর্ঘ সময় ধরে। ২০০৬ সালে ‘রঙিন চশমা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। তারপর আর পেছনে ফেরা নয় শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে চলা। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের ইউটিউবের জন্য কনটেন্ট নির্মাণ করছেন এই অভিনেতা। এবার নাটক ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন চিকন আলী। অভিনেতার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘সি এ কমেডি টিভি’-এর জন্য নিয়মিত নির্মাণ করবেন। চিকন আলী বলেন, ‘এখন চলচ্চিত্রে কাজ কম। আমরা যারা এই আয়ের ওপর নির্ভরশীল তাদের কাজ কম থাকায় বেশ বিপাকে পড়তে হয়। সেই ভাবনা থেকে ইউটিউবের জন্য নির্মাণের পরিকল্পনা করি। এখানে স্বাধীনভাবে অভিনয় করা যায়। কমেডি ঘরানার গল্পে দর্শকদের আগ্রহ বেশি থাকে। কারণ প্রতিটি দর্শকই গ্রামের মানুষ। তারা দিনশেষে গ্রামটাকে খুব পছন্দ করেন। বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া গল্পগুলো নিয়েই মেকিং করছি।’
নাটক নির্মাণে চিকন আলী 
কোনাল-আমিনুলের ‘আমার কি হও তুমি’ 
সোমনুর মনির কোনাল। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী। শুধু চলচ্চিত্র নয়, সংগীতের সব ক্ষেত্রেই অবদান রেখে যাচ্ছেন সমানতালে। সিনেমায় প্লেব্যাকের পাশাপাশি নিয়মিত গান করছেন অডিও অঙ্গনে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রকাশ পাচ্ছে কোনালের নতুন গান ‘আমার কি হও তুমি’। গানটিতে কোনালের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন এই সময়ের প্রতিভাবান কণ্ঠশিল্পী আমিনুল ইসলাম।  গানটির কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন প্রিন্স রুবেল। সংগীতায়োজনে ছিলেন এস পুলক। মিক্সড অ্যান্ড মাস্টারিং করেছেন তাহান খান তামিম।   ভালোবাসার খুনসুটির গল্পে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত। ভিডিওতে অভিনয় করেছেন আলভী মামুন ও আঁখি। আছে কোনাল ও আমিনুলের উপস্থিতিও। গানটি প্রকাশ করছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)।  গানটি নিয়ে কোনাল বলেন, অনেকদিন পর একটি সুন্দর রোমান্টিক গান গাইলাম। আমিনুল ভাইয়ের গায়কী আমাকে মুগ্ধ করেছে। লালমাটি ও সবুজেঘেরা সুন্দর একটি লোকেশনে আমরা গানটির শুটিং করেছি। আশা করছি, গানটি সবার ভালো লাগবে।  কোনালের সঙ্গে জুটি বেঁধে উচ্ছ্বসিত আমিনুল জানালেন, কোনাল আপুর সঙ্গে গাইতে পারা আমার কাছে স্বপ্ন পূরণের মতো। আপু অনেক হেল্পফুল একজন মানুষ। এত চমৎকারভাবে গেয়েছেন গানটি। আমি চেষ্টা করেছি আমার সেরাটুকু দেওয়ার। আশা করছি গানটি সবার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।  ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) জানায়, ১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার তাদের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হবে ‘আমার কি হও তুমি’ গানটির ভিডিও। এর পাশাপাশি গানটি শুনতে পাওয়া যাবে স্বাধীন মিউজিক, স্পটিফাই, অ্যাপল মিউজকসহ দেশি ও বিদেশি সব মিউজিক প্ল্যাটফর্মে।
কোনাল-আমিনুলের ‘আমার কি হও তুমি’ 
কেবিনে নেওয়া হয়েছে ফরিদা পারভীনকে
বাউল সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ফরিদা পারভীন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। ফরিদা পারভীন বছরের শুরুতে একবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। তারপর আবারও অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শরীর আর আগের মতো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছে না। তিন দিন আগে আবারও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এই শিল্পীকে। শুরুতে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে রোববার (৬ জুলাই) থেকে তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম এ তথ্য জানিয়েছেন। গাজী আবদুল হাকিম আরও জানান, ফরিদা পারভীনের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় কেবিনে নেওয়া হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এই গুণী শিল্পীর জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। গত কয়েক মাসে তিনবার আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছে ফরিদা পারভীনকে। সংগীতাঙ্গনে অনন্য অবদান রাখা এই শিল্পীর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত ও সহশিল্পীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। সবাই তার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছেন। ফরিদা পারভীন বাংলাদেশের লোকসংগীতের অন্যতম প্রধান কণ্ঠস্বর। লালন সংগীতের প্রচারে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তার গাওয়া ‘নারী আমার জানে দুঃখের ভাষা’, ‘তোমার বাঁশিতে’, ‘ভ্রমর কইও গিয়া’ প্রভৃতি গান মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক লাভ করেন। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে সম্মানিত হন তিনি। 
কেবিনে নেওয়া হয়েছে ফরিদা পারভীনকে
৪৫ বছরে পদার্পণ করল লোক নাট্যদল
৪৫ বছরে পদার্পণ করল লোক নাট্যদল
বিয়ে না করেই মা হচ্ছেন ভারতীয় এই অভিনেত্রী
বিয়ে না করেই মা হচ্ছেন ভারতীয় এই অভিনেত্রী
তানিজন তিশার ২৫ লাখ টাকার চ্যালেঞ্জ
তানিজন তিশার ২৫ লাখ টাকার চ্যালেঞ্জ
ঈশালের স্বপ্ন
ঈশালের স্বপ্ন