শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪ ভাদ্র ১৪৩২

বাংলাদেশে ঠেলে দিতে বিশেষ বিমানে করে ২০০ জনকে সীমান্তে আনল ভারত

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১০:১৫ পিএম
আটক ২০০ জনকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত রাজ্যগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়ে। ছবি : দেশগুজরাট.কম
আটক ২০০ জনকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত রাজ্যগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়ে। ছবি : দেশগুজরাট.কম

ভারতের গুজরাট রাজ্যে বসবাসকারী দুইশরও বেশি ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন অবৈধ বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর তাদের বিশেষ একটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর ফ্লাইটে করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত রাজ্যগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গেছে, এসব মানুষকে বাংলাদেশে পুশইন বা জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, আটক ২০০ জন সন্দেহভাজনকে একটি বিশেষ বিমানে করে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সীমান্ত রাজ্যগুলোর দিকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কাছে হস্তান্তর করা হবে।

খবরে আরও জানানো হয়, বিএসএফের কাছে হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

গুজরাট পুলিশের বরাতে বলা হয়, গত দুই মাস ধরে এ রাজ্যে বসবাসরত অবৈধ বিদেশিদের শনাক্তে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছিল। এ অভিযানের আওতায় ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের প্রথমে অস্থায়ী বন্দিশিবিরে রাখা হয় এবং পরে কঠোর নিরাপত্তায় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে স্থানান্তর করা হয়।

এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং বিদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন দপ্তর (FRRO)-এর সহায়তায় এই বিতাড়নের প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এইসব ‘অবৈধ অভিবাসী’দের সীমান্তবর্তী রাজ্যে নামিয়ে দেওয়া হবে, যেখান থেকে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পাঠাবে।

সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ‘অবৈধ বিদেশি’ শনাক্ত ও দেশ থেকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশি ‘অবৈধ অভিবাসী’ বলে ধরপাকড় হয়। তবে এ ধরনের ব্যাপক আকারে এবং বিমানযোগে অভিবাসী স্থানান্তরের ঘটনা বিরল।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

ভারতে রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধের পর নাটকীয়তা
ভারতে রয়টার্স নিউজ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় এক্স। এরপর সেটি উদ্ধারে শুরু হয় নাটকীয়তা। অবশেষে একদিন পর রোববার সেটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের। একটি আইনি দাবির কারণে শনিবার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছিল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স। তবে সেটি স্পষ্ট করা হয়নি। রোববার রাতে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করে এক্স রয়টার্সের সোশ্যাল মিডিয়া দলকে একটি ইমেইলে জানিয়েছে, ‘এই মুহূর্তে, আমরা ভারতে আপনার অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস আর সীমাবদ্ধ করছি না।’   এক্স এবং ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।   এর আগে রোববারের শুরুতে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, কোনো ভারতীয় সরকারি সংস্থা রয়টার্স হ্যান্ডেল বন্ধ করার নির্দেশ দেয়নি। কর্মকর্তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য এক্সের সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।   তখন রয়টার্সের একজন মুখপাত্র জানান, সংস্থাটি এক্সের সঙ্গে এই বিষয়টি সমাধান করতে এবং ভারতে রয়টার্স অ্যাকাউন্ট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরুদ্ধার করতে কাজ করছে।   রয়টার্স ওয়ার্ল্ড নিউজ এজেন্সির আরেকটি এক্স অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লক করা হয়েছিল। তাও রোববার গভীর রাতে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।   প্রধান রয়টার্স অ্যাকাউন্টে বিশ্বব্যাপী ২৫ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। শনিবার রাত থেকে সেটিও ভারতে ব্লক করা হয়। একটি বিজ্ঞপ্তিতে এক্স ব্যবহারকারীদের জানানো হয়, ‘@Reuters ভারতে একটি আইনি দাবির প্রতিক্রিয়ায় বন্ধ করা হয়েছে।’   এদিকে ১৬ মে রয়টার্সের সোশ্যাল মিডিয়া দলকে পাঠানো একটি ইমেইল নিয়ে জল্পনা চলছে। সেই ইমেইলে এক্স জানিয়েছিল, "আমাদের নীতি হলো, কোনো অনুমোদিত সংস্থা (যেমন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি সংস্থা) থেকে কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে কনটেন্ট সরানোর জন্য আইনি অনুরোধ পেলে অ্যাকাউন্টধারীকে জানানো। ভারতের স্থানীয় আইনের অধীনে এক্সের বাধ্যবাধকতা পালন করার জন্য, আমরা ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর অধীনে ভারতে আপনার এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছি; তবে অন্যত্র কনটেন্টটি উপলব্ধ রয়েছে।’  রয়টার্স নিশ্চিত করতে পারেনি যে ১৬ মে-র ইমেইলটি শনিবারের অ্যাকাউন্ট স্থগিতের সঙ্গে সম্পর্কিত কি না, বা কোন নির্দিষ্ট কনটেন্টের জন্য দাবিটি করা হয়েছিল। কেন এটি সরানোর অনুরোধ করা হয়েছিল, বা কোন সংস্থা অভিযোগটি দায়ের করেছিল।   যদিও ইমেইলটিতে কোন সংস্থা অনুরোধটি করেছে বা কোন কনটেন্ট সরানোর জন্য চাওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, এই ধরনের ক্ষেত্রে একজন ব্যবহারকারী ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ভারতে রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধের পর নাটকীয়তা
দিল্লি থেকে শেখ হাসিনার লন্ডনে যাওয়ার খবর নিয়ে যা জানা গেল
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দাবি করা হয়—বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে লন্ডনের পথে রওনা হয়েছেন এবং তাকে বহনকারী সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ভারতের আকাশসীমায় উড্ডয়ন করছে। ভিডিওটিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক বাংলার লোগোও দেখা যায়।  ভিডিওতে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লির দিকে যাচ্ছে এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি সেখান থেকে লন্ডন যাবেন। একই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পর ঢাকার রাস্তায় বিক্ষোভের উত্তাল চিত্র দেখা যাচ্ছে’—যা ভিডিওটিতে ‘এই মুহূর্তের’ দৃশ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।  সত্য ঘটনা কী?  রোববার (৬ জুলাই) রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়; বরং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রকাশিত একটি পুরোনো ভিডিও। ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভারতীয় গণমাধ্যম রিপাবলিক বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে ‘দিল্লি হয়ে লন্ডনের পথে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার বিমান কোন পথে। এক্সক্লুসিভ তথ্য একমাত্র রিপাবলিকে’ শীর্ষক শিরোনামে গত ০৫ আগস্টে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেই পুরোনো প্রতিবেদন থেকে ভিডিওটি নেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছিল, শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতের আকাশে উড্ডয়ন করছেন এবং দিল্লি হয়ে লন্ডনের পথে রওনা হচ্ছেন। রিউমর স্ক্যানার তার অনুসন্ধানে উল্লেখ করেছে, ওই প্রতিবেদনের যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা যাচাই করে শেখ হাসিনার দিল্লি থেকে লন্ডনে যাওয়ার বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র বা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া, ৫ আগস্টে ঢাকায় কোনো বিক্ষোভ বা সহিংস পরিস্থিতির প্রমাণও মেলেনি, বরং ভিডিওতে ব্যবহৃত দৃশ্যগুলো পুরোনো ফুটেজ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। রিউমর স্ক্যানার জানাচ্ছে, সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি একটি পুরনো ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন থেকে নেওয়া, যার মাধ্যমে শেখ হাসিনার দিল্লি থেকে লন্ডনে যাত্রার গুজব ছড়ানো হয়েছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন এবং তিনি লন্ডনে গেছেন এমন কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। অতএব, এই ধরনের ভিডিও ও দাবি বিভ্রান্তিকর এবং বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ছড়ানো হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সঠিক তথ্য জানার জন্য নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম অনুসরণ করা জরুরি।  
দিল্লি থেকে শেখ হাসিনার লন্ডনে যাওয়ার খবর নিয়ে যা জানা গেল
এক দেয়াল ও ১৪ দরজা-জানালা রং করতে ৬৫৮ মিস্ত্রি!
বিদ্যালয়ের একটি দেয়াল রং করতে হবে। লাগবে চার লিটার রং। আর এই সামান্য কাজের জন্য নেওয়া হয়েছে ২৩৩ জন মিস্ত্রি। এদের মধ্যে ৬৫ জন রাজমিস্ত্রি ও ১৬৮ জন সহযোগী। এর জন্য খরচ ধরা হয় ১ লাখ ৭ হাজার ভারতীয় রুপি! আরেকটি বিদ্যালয়ের চারটি দরজা ও ১০টি জানালা রং করতে নেওয়া হয়েছে ৪২৫ জন মিস্ত্রি।  ২০ লিটার রং ব্যবহার করবেন তারা। এতে খরচ ধরা হয়েছে দুই লাখ তিন হাজার রুপি। সবমিলিয়ে একটি দেয়াল ও ১৪টি দরজা-জানালা রং করতে লেগেছে ৬৫৮ জন মিস্ত্রি। ভারতের মধ্য প্রদেশে দুই বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজে এমন বেহিসাবি খরচের বিল-ভাউচার এখন ভারতের নেটমাধ্যমে ভাইরাল। যা নিয়ে ইতোমধ্যে শোরগোল পড়েছে।   কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বিদ্যালয় দুটির একটি মধ্যপ্রদেশের শাহদোল জেলার সাকান্দি গ্রামে। আর দ্বিতীয়টি নিপানিয়া গ্রামে। এই দুই বিদ্যালয়ে রঙের কাজের বিলের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে।  বিল দুটির ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দুই বিদ্যালয়েই রঙের কাজ করেছে ‘সুধাকর কনস্ট্রাকশন’ নামে একটি নির্মাণ সংস্থা। বিল তৈরি হয়েছে চলতি বছরের ৫ মে। নিপানিয়া গ্রামের বিদ্যালয়টির বিলে দেখা যাচ্ছে, সেটি বিল তৈরি হয়েছে মাসখানেক আগে। তাতে অনুমোদন দিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। অবশ্য বিল দুটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা। এ বিষয়ে গণমাধ্যমটি জেলা স্কুল পরিদর্শক ফুল সিংহ মারপাচির সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ফুল সিংহবলেন, ‘দুটি স্কুলের বিলের ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে। তদন্ত চলছে। তথ্যপ্রমাণ সঠিক পেলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এক দেয়াল ও ১৪ দরজা-জানালা রং করতে ৬৫৮ মিস্ত্রি!
এক প্রতিভাবান নির্মাতার ট্র্যাজিক জীবন
মাত্র ৩৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ভারতের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা গুরু দত্ত। ১৯৬৪ সালে তার অকালমৃত্যু ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু ‌‘পিয়াসা’, ‘কাগজ কে ফুল’-এর মতো কালজয়ী চলচ্চিত্রের নির্মাতা হিসেবে তিনি আজও দর্শকের হৃদয়ে জীবিত। আসছে সপ্তাহে এই নির্মাতার জন্মশতবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের ৯ জুলাই কর্ণাটকের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া গুরু দত্তের প্রকৃত নাম ছিল বসন্ত কুমার শিবশঙ্কর পাড়ুকোন। তার শৈশব কেটেছে অভাব আর পারিবারিক অশান্তির মধ্যেই। পরবর্তী সময়ে পরিবারসহ পশ্চিমবঙ্গে চলে আসার পর তিনি বাঙালি সংস্কৃতির গভীর প্রভাবে বেড়ে ওঠেন, যা তার চলচ্চিত্রে গভীর ছাপ রেখে যায়।   চলচ্চিত্র জগতে তার পথচলা শুরু হয় কোরিওগ্রাফার হিসেবে। পাশাপাশি তিনি টেলিফোন অপারেটরের কাজও করেছেন জীবিকা নির্বাহের জন্য। ১৯৪০-এর দশকের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা তার মনোজগতে গভীর প্রভাব ফেলে। সে সময়েই তিনি লিখেছিলেন কশমকশ, যা এক শিল্পীর সমাজবিমুখতা ও হতাশার গল্প। এই ভাবনা থেকেই পরবর্তী সময়ে জন্ম নেয় তার মাস্টারপিস হিন্দি ড্রামা ফিল্ম `পিয়াসা'। বন্ধুত্ব, প্রেম ও চলচ্চিত্রজগতের উত্থান গুরু দত্তের চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশে বড় ভূমিকা রাখেন তার বন্ধু অভিনেতা দেব আনন্দ। ১৯৫১ সালে দেব আনন্দের প্রযোজনায় ‘বাজি’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর তার জীবনেই আসে প্রেম। কণ্ঠশিল্পী গীতা রায়ের সঙ্গে তার পরিচয় ও পরবর্তী সময়ে বিয়ে হয়। তার বোন ললিতা লাজমি বলেন, `পিয়াসা ছিল তার স্বপ্নের ছবি। এই সিনেমা নিয়ে তিনি ছিলেন অতি আবেগপ্রবণ ও পারফেকশনিস্ট।' নির্মাণের সময় তিনি বারবার চিত্রনাট্য ও ক্যামেরা সেটিংসে পরিবর্তন আনতেন। শেষ দৃশ্যটি পর্যন্ত তিনি ১০৪ বার শুট করেছিলেন।  
এক প্রতিভাবান নির্মাতার ট্র্যাজিক জীবন
আবর্জনার স্তূপে পোড়ানো হলো ভারতের পতাকা, ভিডিও ভাইরাল
আবর্জনার স্তূপে পোড়ানো হলো ভারতের পতাকা, ভিডিও ভাইরাল
২ বিলিয়ন ডলার কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি
২ বিলিয়ন ডলার কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে চীন ও তুরস্ক
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে চীন ও তুরস্ক
ট্রাম্পের হুমকি, পাত্তা দিচ্ছে না ভারত
ট্রাম্পের হুমকি, পাত্তা দিচ্ছে না ভারত