বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

ইরানের ওপর আবারও যুক্তরাষ্ট্রের আঘাত

কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

ইরানের তেলবাণিজ্যকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। পারমাণবিক কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়নের অভিযোগে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নিষেধাজ্ঞাটি জারি হয়েছে বিশ্ববাজারে ইরানের তেল বিক্রির সঙ্গে জড়িত ও হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত একটি গোষ্ঠীর ওপর। এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নিষেধাজ্ঞা জারির পর মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, তেহরানের রাজস্বের উৎসের ওপর আমাদের চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমে ইরানি শাসকগোষ্ঠীর অস্থিতিশীল কার্যকলাপের জন্য ব্যবহৃত আর্থিক সম্পদগুলোতে প্রবেশাধিকার ব্যাহত করার জন্য অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা হবে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরান থেকে কোটি কোটি ডলারের জ্বালানি তেল ক্রয় ও পরিবহন করা হচ্ছে, এমনটা বলেছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়।

মার্কিন সরকার আরও বলছে, এর সঙ্গে জড়িত আছে ইরাকি-ব্রিটিশ ব্যবসায়ী সালিম আহমেদ সাইদ পরিচালিত একাধিক প্রতিষ্ঠানের একটি চক্র। ওই ব্যক্তি অন্তত ২০২০ সাল থেকে এই কাজ করে আসছেন বলে মার্কিন প্রশাসন জানতে পেরেছে।

অর্থমন্ত্রী কার্যালয় থেকে আরও বলা হয়, সাইদের প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে ইরানের তেল ইরাকের তেলের সঙ্গে মেশানো হয়। ভুয়া নথি ব্যবহার করে এগুলোকে ইরাকের তেল হিসেবে ইরাক বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রি হচ্ছে।

২০১৪ সালে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, জ্বালানি তেল বিক্রির গোপন চক্রের মাধ্যমে বছরে অন্তত ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করছে ইরান। এমনকি ২০২২ সাল থেকে ইরাকে তেহরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও ফুলেফেঁপে উঠেছে।

নতুন আদেশে যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি তেলবাহী জাহাজের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এগুলো গোপনে ইরানি তেল পরিবহনে যুক্ত ছিল বলে দাবি করছে দেশটি। এতে ইরানের তথাকথিত শ্যাডো ফ্লিটের (গোপনে তেল বহনে নিযুক্ত নৌবহর) ওপর চাপ আরও বাড়ল।

এ ছাড়া তেহরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রাণাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আল-কারদ আল-হাসান ও এর কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের মতে, ওই ব্যক্তিরা কোটি কোটি ডলার মূল্যের লেনদেন করে গোপনে সহায়তা করেছে লেবাননের হিজবুল্লাহকে।

এসব নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মার্কিন ভূখণ্ডে থাকা সম্পদ জব্দ করতে পারবে দেশটির প্রশাসন এবং তাদের সঙ্গে মার্কিনিরা কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে না।

মন্তব্য করুন

ব্রিকসের দেশগুলোর ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্কের হুমকি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিকস জোটের সহযোগীদের ওপর নতুন করে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। সোমবার (৭ জুলাই) এ ঘোষণা দেন তিনি। খবর শাফাক নিউজের। ট্রাম্প বলেন, ব্রিকসের ‘অ্যান্টি-আমেরিকান’ নীতিগুলোর সমর্থনে থাকা কোনো দেশের জন্য কোনো ছাড় থাকবে না। তবে তিনি সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি, কোন নীতিগুলোর কারণে এ সিদ্ধান্ত। ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরিওতে অনুষ্ঠিত ব্রিকসের বার্ষিক সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণার পর এ মন্তব্য আসে। সম্মেলনে ব্রিকস সদস্যরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) কেন্দ্রিক, নিয়মভিত্তিক, স্বচ্ছ ও বৈষম্যহীন বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। ওয়াশিংটনে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেনসেন্টও নিশ্চিত করেছেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। তবে নির্দিষ্ট দেশগুলো যদি তার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছায়, তাহলে এ শুল্ক এড়ানো যাবে। এর আগে গত এপ্রিলেই ট্রাম্প ১০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছিলেন। যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রাখছে তাদের বিরুদ্ধে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে সে সময় আলোচনার সুযোগ রেখে চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ জুলাই। নতুন এ শুল্ক নীতি ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্রিকসের দেশগুলোর ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্কের হুমকি
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির হুমকিতে ইউরোপীয় পণ্য, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে ঘিরে। হোয়াইট হাউস সূত্র বলছে, আজ সোমবার (৭ জুলাই) ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ববাজারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়েই ঘোষণা আসতে পারে আজ। যদি এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়, তাহলে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক দুই অংশীদার, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ, এর মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য দ্বন্দ্ব শুরু হতে পারে। সংবাদ সংস্থা এপি জানায়, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। ২০২৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে পণ্য ও সেবা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল প্রায় ১.৭ ট্রিলিয়ন ইউরো, অর্থাৎ দিনে গড়ে ৪.৬ বিলিয়ন ইউরো। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে রপ্তানি করে তেল, ওষুধ, বিমান ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতির মতো পণ্য। অন্যদিকে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায় বিলাসবহুল গাড়ি, বিমান, রাসায়নিক, ওষুধ ও ওয়াইন-স্পিরিটস। তবে এই বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভারসাম্য একপেশে। ইউরোপের সঙ্গে পণ্য বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১৯৮ বিলিয়ন ইউরো, যদিও সেবা খাতে যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা এগিয়ে থাকায় সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়ায় ৫০ বিলিয়নের মতো। এমন এক পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ইইউ স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ৫০ শতাংশ এবং গাড়ি ও যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে পণ্যের দাম বাড়বে এবং শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদেরই এর বোঝা বহন করতে হবে। জার্মান গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ-বেঞ্জ এখনো দাম বাড়ায়নি, তবে ভবিষ্যতে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ইতালির বিখ্যাত মদ প্রস্তুতকারক ক্যাম্পারি গ্রুপ জানিয়েছে, প্রতিযোগীরা দাম বাড়ালে তাদেরও দাম ধরে রাখা কঠিন হবে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, এই শুল্কনীতি আমেরিকায় উৎপাদন ফিরিয়ে আনবে এবং কর্মসংস্থান বাড়াবে। যদিও বাস্তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া। ফ্রান্সভিত্তিক বিলাসবহুল ব্র্যান্ড এলভিএমএইচের সিইও জানিয়েছেন, যদি শুল্ক বাড়ে, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রেই উৎপাদন বাড়াতে বাধ্য হবেন। বিশ্ব অর্থনীতির ওপর এই বাণিজ্যনীতির নেতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। ব্রাসেলসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুয়েজেলের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে যেতে পারে ০.৩ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কমতে পারে ০.৭ শতাংশ পর্যন্ত। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনো উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। সমঝোতা না হলে বর্তমান ১০ শতাংশ ভিত্তিক শুল্ক বহাল থাকবে এবং তার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে গাড়ি, রেল ও ইস্পাত খাতে অতিরিক্ত শুল্ক। সমঝোতার সম্ভাবনার বিষয়ে অর্থনীতিবিদদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো কিছু পণ্যে ছাড় দিতে পারে, আর ইউরোপ তার খাদ্য ও কৃষিপণ্যে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করতে পারে। তবে সবশেষে যাদের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হবে, তারা হলো সাধারণ ভোক্তা—যাদের জন্যই এসব পণ্য বাজারে আসে। বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক শক্তির এই দ্বন্দ্ব কোন দিকে গড়ায়, তা এখন সময়ই বলে দেবে। তবে যেভাবেই শেষ হোক না কেন, এর রেশ গিয়ে পড়বে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়ের ওপর। 
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির হুমকিতে ইউরোপীয় পণ্য, বিশ্ববাজারে অস্থিরতা
আল জাজিরার বিশ্লেষণ / ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব, গাজায় যুদ্ধ কি থামবে?
গাজায় আগ্রাসন চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। প্রতিদিনই বাড়ছে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুদেশের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নতুন করে গতি এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এক প্রস্তাব ঘিরে আলোচনার নতুন পর্ব শুরু হলেও এই প্রস্তাব বাস্তবে যুদ্ধ থামাতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। গত সপ্তাহে ট্রাম্প জানান, ইসরায়েল ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে গাজার ২১ মাসের দীর্ঘ যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টা হবে। তিনি আশাবাদী যে, আজ সোমবার (৭ জুলাই) গাজা নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সঙ্গে একটি চুক্তি হতে পারে। অপরদিকে, কিছু সংশোধনীসহ হামাসও মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে নেতানিয়াহু এই সংশোধনগুলোকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করলেও বর্তমানে কাতারে আলোচনায় অংশ নিচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল। হামাসের তিনটি মূল দাবি # গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) বন্ধ: এই বিতর্কিত ত্রাণ কাঠামোর মাধ্যমে খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৪৩ জন ফিলিস্তিনি। অভিযোগ উঠেছে, ইসরায়েলি সেনারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে খাদ্যের জন্য জড়ো হওয়া মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। # ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার: হামাস চায়, মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতির আগে যেসব অবস্থানে ইসরায়েলি সেনারা ছিল, তাদের সেখানে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। সম্প্রতি ইসরায়েল গাজায় নতুন স্থল অভিযান শুরু করেছে, ‘নেতসারিম’ ও ‘মোরাগ করিডর’ তৈরি করে গোটা উপত্যকাকে বিভক্ত করছে। # যুদ্ধের স্থায়ী অবসানে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা: হামাসের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিধর দেশের পক্ষ থেকে এমন নিশ্চয়তা চাই, যাতে যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল যেন নতুন করে হামলা শুরু না করে। মার্কিন প্রস্তাবে কী আছে? অন্যদিকে মার্কিন প্রস্তাবের মূল কেন্দ্রে রয়েছে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি। প্রথম ধাপে, হামাস ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি এবং ১৮ জনের মরদেহ ফিরিয়ে দেবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। পরে, ত্রাণ সহায়তার জন্য জাতিসংঘ ও রেড ক্রস গাজায় কাজ করবে এবং ইসরায়েলি বাহিনী ধাপে ধাপে পিছু হটবে।  তবে, নেতানিয়াহু যুদ্ধ পুরোপুরি থামানোর পক্ষে নন। তিনি বারবার বলছেন, সব বন্দিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত এবং হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করা বাস্তবসম্মত কোনো লক্ষ্য নয়। বরং নেতানিয়াহু নিজের রাজনৈতিক টিকে থাকার স্বার্থে এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইছেন। দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত নেতানিয়াহু সরকারবিরোধী বিক্ষোভে কোণঠাসা। তার কট্টরপন্থি জোটসঙ্গীরা- ইতামার বেন গভির ও বেজালেল স্মোত্রিচ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে এবং গাজায় ত্রাণ বন্ধে আগ্রহী। বর্তমানে,  ইসরায়েল প্রতিদিনই গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পশ্চিম তীরেও সহিংসতা অব্যাহত। বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনারা স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, বসতভিটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, চলাচলের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। ট্রাম্প চাইছেন চুক্তি হোক, ফিলিস্তিনিরাও মরতে মরতে যুদ্ধ থামার জন্য মরিয়া। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল বাধা হলো ইসরায়েল ও নেতানিয়াহুর মধ্যে যুদ্ধ থামানোর সদিচ্ছার অভাব। কাতার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আদনান হায়াজনে আল জাজিরাকে বলেন, ‘চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।’  তার ভাষায়, ইসরায়েলের লক্ষ্য জনশূন্য গাজা তৈরি করা। ফিলিস্তিনিদের সামনে এখন তিনটি পথ- না খেয়ে মারা যাওয়া, গুলিতে মারা যাওয়া, অথবা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া। তবে ইতিহাস বলছে, ফিলিস্তিনিরা নিজের মাটি ছেড়ে যাওয়ার পক্ষপাতী নয়। 
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব, গাজায় যুদ্ধ কি থামবে?
মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
সাবেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার (৬ জুলাই) এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি, তৃতীয় কোনো রাজনৈতিক দল গড়া একেবারেই হাস্যকর। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে দ্বিদলীয় ব্যবস্থাই চলে আসছে। নতুন দল গঠন করলে তা শুধু বিভ্রান্তি বাড়াবে এবং কোনো কার্যকর ফলাফল বয়ে আনবে না। এর আগে, কয়েক সপ্তাহ ধরে ইলন মাস্ক ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন। অবশেষে শনিবার এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক জানান, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিকল্প হিসেবে তার নতুন দল আত্মপ্রকাশ করেছে। ট্রাম্প ও মাস্ক একসময় ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে পুনর্নির্বাচিত করতে মাস্ক বড় অঙ্কের অনুদান দেন এবং নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প সরকারি ব্যয় হ্রাসে সহায়তার জন্য ‘সরকারি দক্ষতা দপ্তর’ চালু করেন এবং মাস্ককে সেই দপ্তরের প্রধান করেন। তবে ১৩০ দিনের মধ্যেই ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে মাস্ক পদত্যাগ করেন। এরপর থেকেই দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। সম্প্রতি ট্রাম্পের বহুল আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’, যা করছাড় ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির বিল আইনে পরিণত হয়। মাস্ক এই বিলের কড়া সমালোচনা করে পরদিনই নতুন দল গঠনের ঘোষণা দেন। ট্রাম্প গতকাল নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট দিয়ে বলেন, ‘মাস্ককে পুরোপুরি পথহারা হতে দেখে সত্যিই দুঃখ লাগছে।’
মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
ভারতে রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধের পর নাটকীয়তা
ভারতে রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধের পর নাটকীয়তা
‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প
‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মামদানির জয়ে মোদি-ভক্তরা ‘ক্ষুব্ধ’ কেন?
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মামদানির জয়ে মোদি-ভক্তরা ‘ক্ষুব্ধ’ কেন?
ট্রাম্পের গলফ ক্লাবের আকাশে অনধিকার প্রবেশ, অতঃপর...
ট্রাম্পের গলফ ক্লাবের আকাশে অনধিকার প্রবেশ, অতঃপর...