শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪ ভাদ্র ১৪৩২

চবিতে আন্দোলনের মুখে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামির পদোন্নতি বোর্ড প্রত্যাহার

চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৯ পিএম
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামির পদোন্নতির বোর্ড প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। অভিযুক্ত সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী। এর আগে এ শিক্ষককে নিয়ে ছুটির দিনে পদোন্নতি বোর্ড বসার ক্ষোভে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুরু হয় এ বিক্ষোভ। পরে সাড়ে ৩টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের ৩টি গেটে তালা দেয় তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, বিতর্কিত ওই শিক্ষকের পদোন্নতি বোর্ডের খবর পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে একে একে এসে উপস্থিত হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখে বিকেল ৩টার দিকে ভিসি কার্যালয়ে গিয়ে উপস্থিত হন বিক্ষুব্ধরা। উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে উপস্থিত হন স্বয়ং কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী এবং ওই শিক্ষকের মধ্যে উচ্চবাচ্য হয়। তবে কোনো হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি। এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উচ্চবাচ্যের সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য ও দুই উপ-উপাচার্য। এরপর উপ-উপাচার্যদ্বয় ধমক দিয়ে ওই শিক্ষককে পাশের রুমে পাঠিয়ে দেন। পরে কুশল বরণ চক্রবর্ত্তীর বোর্ড বাতিল ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বেরিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে আরও জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা ভিসি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর টানা ১ ঘণ্টা বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন। এ সময় ওই ভবনে ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসাইন ও বোর্ডের অন্য সদস্যরা।

জানা গেছে, গত বছর ২৬ নভেম্বর হেফাজতে ইসলামের কর্মী এনামুল হক চৌধুরী চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের হামলার শিকার হন। এ সময়ে তিনি কিরিচের কোপে মাথায় গুরুতর জখম হন এবং তার ডান হাত ভেঙে যায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে তিনি গত ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রধান আসামি করে ১৬৪ জনের নামে মামলার আবেদন করেন। এই মামলার ২০ নম্বর আসামি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী বলেন, ভাইবা বোর্ড স্থগিত হয়েছে এমন কোনো তথ্য এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়নি। আমি যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভাইভা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। এখনো কেউ আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

তিনি বলেন, জুলাই মাসে আমি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে ফ্যাসিবাদের পক্ষে কোনো কিছু করেছি এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ।

আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আরিয়ান খান রাকিব বলেন, কাদের অনুমতি নিয়ে আপনারা এই খুনিদের সঙ্গে বসেছেন? কীভাবে আপনারা বসতে পারেন? আপনারা আপনাদের যোগ্যতায় এই চেয়ারে বসেননি। আপনারা শহীদদের রক্তের ওপর দিয়ে এই প্রশাসনে বসেছেন। কুশল বরণ, ইতিহাস বিভাগের রণ্ঠু দাস এরা সবাই খুনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ যে বোর্ড বসার কথা ছিল সংস্কৃত বিভাগের কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী- তার বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছে। গণমাধ্যমে ওই শিক্ষকের বিষয়ে কিছু সংবেদনশীল সংবাদ দেখতে পেয়েছি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সার্বিক বিষয় বিবেচনায় তার এই বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে কোনো ব্যক্তিকে কোর্টের মতো বিচার করতে পারে না। আমরা কারও জেল-জরিমানাও করতে পারি না। এটা আমাদের এখতিয়ারভুক্ত না।

মন্তব্য করুন

ঢাবি শিক্ষার্থী মুন্নাছ বাঁচতে চান
দুরারোগ্য ব্যাধি লিউকেমিয়াতে আক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের ১০১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুন্নাছ আলী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সহযোগিতায় তার চিকিৎসার প্রায় পুরো টাকা জোগাড় হয়েছে। গত ৬ মাস ধরে ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন তিনি।  জানা গেছে, প্রায় ৩০টি কেমোথেরাপির পর তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই উন্নতির দিকে ছিল। আগামী মাসে তার একটা কেমোথেরাপি বাকি আছে।  তবে, অল্প সময়ের ব্যবধানে এত কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তার নাক ও মাথার খুলির মাঝের হাড়ে ক্ষত দেখা দিয়েছে। যে কারণে কিছুদিন যাবৎ তিনি ডান চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। পাশাপাশি তার বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তিও কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা তাকে ২১ দিনের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছেন। এতে সুস্থ না হলে তার সার্জারি করা লাগবে। চিকিৎসকরা তাকে  হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে তাকে বাসা থেকেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অ্যান্টিবায়োটিক ও সার্জারি মিলিয়ে তার চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা লাগবে। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষে এই টাকা জোগাড়ের সামর্থ্য না থাকায় সবার সহায়তা কামনা করেছেন মুন্নাছ। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: বিকাশ/নগদ: 01884654418 অথবা One bank Account number: 1062460000059, Account name: Md. Munnas Ali, Routing number: 165261342, Branch Name: Gulshan Islami Banking Branch
ঢাবি শিক্ষার্থী মুন্নাছ বাঁচতে চান
ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা আটক 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হল থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে বারোটায় তাকে হল ফটক থেকে আটক করা হয়। আল-আমিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের উপ-নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সহ-সদস্য ছিলেন।  এ বিষয়ে ঢাবির ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান বলেন, কয়েকজন জুনিয়র হলে ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিনকে দেখে আমাদের খবর দেয়। আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেই। তিনি হলে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে নামে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। এমনকি পরীক্ষার সময়ও শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, আল-আমিনকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে। তার বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় আরও দুটি মামলা রয়েছে। 
ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা আটক 
সুপারিশের বেড়াজালে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কেন্দ্র করে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে বসছে সম্প্রতি গঠিত হওয়া নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আসা নানা সুপারিশ নিয়ে বেড়াজালে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। এসব সুপারিশের কতটুকুই বা পূরণ করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্বাচন কমিশন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন অংশীজনের কাছ থেকে ৫১টি সুপারিশ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এসব সুপারিশ জমা দিয়েছে কমিশন। এসব সুপারিশকে দুই ভাগ করে এক ভাগের ৩১টি সুপারিশ‌ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ২১টি সুপারিশ নির্বাচন কমিশন সমাধান করবে বলে জানা যায়।  নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেসব সুপারিশ রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার ছাপানো, জুলাই/আগস্টের প্রোগ্রাম মাথায় রেখে ও পরীক্ষার শিডিউল বিবেচনা করে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা, শারীরিকভাবে অক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা রাখা, রিডিং রুমে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা না চালানো, নির্বাচনী পোস্টার নিষিদ্ধ করা, ক্লাস চলাকালীন মাইক বন্ধ রাখা, পোলিং এজেন্ট রাখা, ছুটির দিন ভোটের আয়োজন করা, ভোটগ্রহণ ও গণনার কাজে শিক্ষকদের সংযুক্ত করা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেসব সুপারিশ নিয়ে কাজ করবে এর মধ্যে রয়েছে, ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করার অথবা ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া, আনসারদের প্রক্টরিয়াল টিমে সিভিল ড্রেসে অন্তর্ভুক্ত করা, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচার এবং তারা যাতে কোনোভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, ঢাবি শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-১' ও ' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ-২'-এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা, নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থী হওয়া ও বয়সের সীমা নির্ধারণ করা, হলগুলোতে রাজনৈতিক কার্যক্রমের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া, মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ করা, ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিচার নিশ্চিত ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখা, গঠনতন্ত্র বিষয়ে ঐকমত্য তৈরির জন্য প্রশাসন ও ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে সভার আয়োজন করা। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, বিভিন্ন বাস রুটের কমিটি ও বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের শ্রেণি প্রতিনিধিদের (সিআর) সঙ্গে সভা করবে কমিশন। এরপর অংশীজনের দেওয়া সুপারিশের মধ্য কোনগুলো নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাস্তবায়ন করতে পারবে, সেটা নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। সূত্র জানায়, এসব শেষে আগামী সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করতে পারে, তবে সেটি অনেকটাই অনিশ্চিত। এ বিষয়ে কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. জসীম উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আমরা অনেক সুপারিশ পেয়েছি এবং সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। আবার বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বসা হবে। এরপর তাদের কাছ থেকে যেসব সুপারিশ আসবে সেগুলো আগের সুপারিশের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেওয়া হবে।  তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নির্বাচনে সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ এসেছে; কিন্তু সাংবিধানিকভাবে সেটা হয় না। এজন্য কীভাবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবা হবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা যাতে ভোট দিতে পারে এজন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার ছাপানোর সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে। এই সবকিছু ঠিক না হওয়া ছাড়া এখন ঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না, কবে আমরা তপশিল ঘোষণা করতে পারব।
ডাকসুর নির্বাচন কমিশন 
অভিযুক্তকে বাঁচাতে মানববন্ধন করতে বললেন তদন্ত কমিটির সদস্য 
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ছাত্রদল কর্মী শামীম আশরাফীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির (হাবিপ্রবিসাস) অফিসরুম ভাঙচুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তকে বাঁচাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে মানববন্ধন করার নির্দেশনা দিয়েছেন ওই তদন্ত কমিটিরই সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হাসান। এমনি একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  শনিবার (০৫ জুলাই) সকালে সাংবাদিক সমিতির অফিস ভাঙচুরের তদন্তে  ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি জকির উদ্দিন আবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হাসান ও সাইদুল ইসলাম রয়েছেন।  এদিন তদন্ত কমিটি গঠনের পরপরই হঠাৎ ফেসবুকে একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরতে দেখা যায়। যেখানে ওই তদন্ত কমিটিরই সদস্য রাব্বি হাসান হোয়াটঅ্যাপে কাউকে লেখেন, ‘একটা মানববন্ধন করাও ছেলেটার ব্যাচমেটগুলো দিয়ে। করতে পারলে খুব ভালো হবে৷’ এ বিষয়ে হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফাহিমুল্লাহ বলেন, কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক গঠিত কমিটি যখন তদন্তের আগেই একটা বিভাগকে সাংবাদিক সমিতির বিপক্ষে দাঁড় করানোর নির্দেশনা দিয়ে বিভাগীয় ইস্যু তৈরির পরামর্শ দেয়। তখন তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এখন মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংসদের তদন্ত কমিটি আই ওয়াশ মাত্র। হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন বলেন, ভাঙচুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেটার প্রতি আমাদের ভরসা ছিল। কিন্তু কমিটি গঠনের কিছুক্ষণ পর একটি স্কিনশট ভাইরাল হলো। যেখানে তদন্ত কমিটির একজন সদস্য দোষীদের সহায়তা করছেন। বিষয়টা দুঃখজনক। এই তদন্ত কমিটি সঠিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে কি না সেটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। আমরা এই তদন্ত কমিটির ওপর ভরসা করতে পারছি না। এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. রাব্বি হাসানকে একাধিক বার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অভিযুক্তকে বাঁচাতে মানববন্ধন করতে বললেন তদন্ত কমিটির সদস্য 
‘বিআইটি মডেল’ বাস্তবায়ন দাবিতে উত্তাল ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
‘বিআইটি মডেল’ বাস্তবায়ন দাবিতে উত্তাল ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
দাবি-দাওয়া, খাওয়া-দাওয়া ক্যাম্পাসে নির্বাচনী জোয়ার
দাবি-দাওয়া, খাওয়া-দাওয়া ক্যাম্পাসে নির্বাচনী জোয়ার
ছাত্রদল নেতা বলে কথা!
ছাত্রদল নেতা বলে কথা!
ছাত্রদল নেতাদের বিশেষ বিবেচনা, অন্যদের ক্ষেত্রে বঞ্চনা!
ইবিতে মাস্টার্সে পুনঃভর্তি / ছাত্রদল নেতাদের বিশেষ বিবেচনা, অন্যদের ক্ষেত্রে বঞ্চনা!